নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বরগুনার বামনায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের পর প্রসূতি মেঘলা আক্তার (১৯) ও তাঁর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্সসহ সব স্টাফ পালিয়ে যায়। অনুমোদনহীন ওই প্রাইভেট হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন বামনার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্তরা হালদার এবং বামনা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম।
প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৮টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে অনুমোদনহীন হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওই উক্ত দুই কর্মকর্তার যোগদানের বিষয়ে ব্যাখ্যা তলবের সুপারিশ করেছে।
আজ বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে এক. সরকারের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক কেন মৃত মেঘলা আক্তারের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে না সে মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সচিবকে অবহিত করা।
দুই. সারা দেশে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ এবং বৈধ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহে একজন ডাক্তার দিয়ে সার্জারি/অপারেশন করার বহুল প্রচলিত চর্চা বন্ধে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে অবহিত করা।
তিন. সুন্দরবন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বরগুনা বামনা উপজেলার ৪ নম্বর ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান ও একই ইউনিয়ন পরিষদের 8 নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করা।
চার. স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে নিবন্ধন প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকরী ও গতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে অবহিত করা।
পাঁচ. সরকারি ডাক্তারদের নিবন্ধনবিহীন হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে অবহিত করা।
ছয়. বামনা উপজেলার সাবেক ইউএনও অন্তরা হালদার ও বামনা থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মো. মাইনুল ইসলাম কর্তৃক অনুমোদন বিহীন একটি প্রাইভেট হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিজ নিজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।
সাত. ভুক্তভোগীর পরিবারের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে ঘটনার বিষয়ে দায়েরকৃত মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করতে, মামলার তদন্তকাজ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বরগুনার পুলিশ সুপারকে অবহিত করা।
আট. বরগুনা জেলার সকল উপজেলা পর্যায়ে সিজার সংক্রান্ত অপারেশন দ্রুত চালুর জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে সচিবকে বলা।
জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বামনার ডৌয়াতলা কলেজ রোডে অবস্থিত সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেঘলা আক্তার (১৯) নামে এক প্রসূতিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে মেঘলার ভুল চিকিৎসা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জীবিত নবজাতক সন্তানকে ফের মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দ্রুত বরিশালে নিতে বলেন চিকিৎসকেরা।
মেঘলা আক্তার বরগুনার বামনা উপজেলার উত্তর রামনা গ্রামের রফিকুল ইসলাম তারেকের স্ত্রী। ভুক্তভোগী নারীর পরিবার জানায়, সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে প্রসব ব্যথায় কাতর মেঘলাকে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সবুজ কুমার দাসসহ ৫-৬ জন মিলে তার অস্ত্রোপচার শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেঘলাকে বরিশালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বরিশালে যাওয়ার পথে অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ভান্ডারিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক, অমানবিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সম্প্রতি ভুল চিকিৎসা এবং চিকিৎসায় অবহেলার কারণে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। কতিপয় চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং অবহেলার কারণে রোগীদের হয়রানি এবং কখনো কখনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের অভাবে যত্রতত্র অনুমোদনহীন হাসপাতাল/ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে চিকিৎসক এবং নার্সদের কোনো ন্যূনতম যোগ্যতা ছাড়াই অস্ত্রোপচার এবং চিকিৎসা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অনতিবিলম্বে এসকল অনুমোদনহীন হাসপাতাল চিহ্নিত করে বন্ধ করার পাশাপাশি, দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বরগুনার ঘটনায় কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) এবং জেলা জজ মো. আশরাফুল আলমকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করে। কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে আজ বুধবার কমিশনের নিকট সংযুক্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
কমিটি নিহত মেঘলা আক্তার এর বাবার বাড়ি সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এসময় মেঘলা আক্তার এর স্বামী রফিকুল ইসলাম তারেক, বাবা মো. ছগির হাওলাদার, চাচা হুমায়ুন কবিরসহ ওই পরিবার ও আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এবং সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে। এরপর কমিটি সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে এবং বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাকিল-আল-মামুন, গাইনী ও প্রসূতি কনসালটেন্ট ডা. মোসাঃ খাদিজা আক্তার (হ্যাপি) এর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও কমিটি ময়না তদন্তকারী ডাক্তার বরগুনা সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. নীহার রঞ্জন বৈদ্য, ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. খায়রুল বাশার, বামনা থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. দেলোয়ার হোসাইন ও বামনা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হাসানের জবানবন্দি গ্রহণ করে।
বরগুনার বামনায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের পর প্রসূতি মেঘলা আক্তার (১৯) ও তাঁর নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্সসহ সব স্টাফ পালিয়ে যায়। অনুমোদনহীন ওই প্রাইভেট হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন বামনার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্তরা হালদার এবং বামনা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম।
প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৮টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে অনুমোদনহীন হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওই উক্ত দুই কর্মকর্তার যোগদানের বিষয়ে ব্যাখ্যা তলবের সুপারিশ করেছে।
আজ বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে এক. সরকারের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক কেন মৃত মেঘলা আক্তারের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে না সে মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সচিবকে অবহিত করা।
দুই. সারা দেশে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ এবং বৈধ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহে একজন ডাক্তার দিয়ে সার্জারি/অপারেশন করার বহুল প্রচলিত চর্চা বন্ধে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে অবহিত করা।
তিন. সুন্দরবন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বরগুনা বামনা উপজেলার ৪ নম্বর ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান ও একই ইউনিয়ন পরিষদের 8 নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করা।
চার. স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে নিবন্ধন প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকরী ও গতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে অবহিত করা।
পাঁচ. সরকারি ডাক্তারদের নিবন্ধনবিহীন হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবকে অবহিত করা।
ছয়. বামনা উপজেলার সাবেক ইউএনও অন্তরা হালদার ও বামনা থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মো. মাইনুল ইসলাম কর্তৃক অনুমোদন বিহীন একটি প্রাইভেট হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিজ নিজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা।
সাত. ভুক্তভোগীর পরিবারের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে ঘটনার বিষয়ে দায়েরকৃত মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করতে, মামলার তদন্তকাজ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বরগুনার পুলিশ সুপারকে অবহিত করা।
আট. বরগুনা জেলার সকল উপজেলা পর্যায়ে সিজার সংক্রান্ত অপারেশন দ্রুত চালুর জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে সচিবকে বলা।
জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বামনার ডৌয়াতলা কলেজ রোডে অবস্থিত সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেঘলা আক্তার (১৯) নামে এক প্রসূতিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে মেঘলার ভুল চিকিৎসা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জীবিত নবজাতক সন্তানকে ফের মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দ্রুত বরিশালে নিতে বলেন চিকিৎসকেরা।
মেঘলা আক্তার বরগুনার বামনা উপজেলার উত্তর রামনা গ্রামের রফিকুল ইসলাম তারেকের স্ত্রী। ভুক্তভোগী নারীর পরিবার জানায়, সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে প্রসব ব্যথায় কাতর মেঘলাকে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সবুজ কুমার দাসসহ ৫-৬ জন মিলে তার অস্ত্রোপচার শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেঘলাকে বরিশালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। বরিশালে যাওয়ার পথে অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ভান্ডারিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক, অমানবিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সম্প্রতি ভুল চিকিৎসা এবং চিকিৎসায় অবহেলার কারণে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। কতিপয় চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং অবহেলার কারণে রোগীদের হয়রানি এবং কখনো কখনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা, প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের অভাবে যত্রতত্র অনুমোদনহীন হাসপাতাল/ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে চিকিৎসক এবং নার্সদের কোনো ন্যূনতম যোগ্যতা ছাড়াই অস্ত্রোপচার এবং চিকিৎসা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অনতিবিলম্বে এসকল অনুমোদনহীন হাসপাতাল চিহ্নিত করে বন্ধ করার পাশাপাশি, দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বরগুনার ঘটনায় কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ আমলে নিয়ে কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) এবং জেলা জজ মো. আশরাফুল আলমকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করে। কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে আজ বুধবার কমিশনের নিকট সংযুক্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
কমিটি নিহত মেঘলা আক্তার এর বাবার বাড়ি সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এসময় মেঘলা আক্তার এর স্বামী রফিকুল ইসলাম তারেক, বাবা মো. ছগির হাওলাদার, চাচা হুমায়ুন কবিরসহ ওই পরিবার ও আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এবং সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে। এরপর কমিটি সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে এবং বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাকিল-আল-মামুন, গাইনী ও প্রসূতি কনসালটেন্ট ডা. মোসাঃ খাদিজা আক্তার (হ্যাপি) এর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও কমিটি ময়না তদন্তকারী ডাক্তার বরগুনা সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. নীহার রঞ্জন বৈদ্য, ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. খায়রুল বাশার, বামনা থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. দেলোয়ার হোসাইন ও বামনা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হাসানের জবানবন্দি গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
১২ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৩৬ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে