Ajker Patrika

মাদারীপুরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের হাতাহাতি

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের হাতাহাতি

মাদারীপুরের রাজৈরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজৈর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।  

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে (একুশের প্রথম প্রহরে) রাজৈর উপজেলা চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার অনুসারী রাজৈর উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান মুকিম তার দলীয় অনুসারীদের নিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিতে যান। 

একই সময় মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের অনুসারী রাজৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল মোল্লাও তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ফুল দিতে শহীদ মিনারের বেদিতে ওঠেন। 

এ সময় আগে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্রে করে জাহিদ হাসান মুকিমের সঙ্গে রবিউল মোল্লার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুইগ্রপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। 

এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত থাকা থানা-পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের অনুসারী রাজৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আগে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাই। এ সময় জাহিদ হাসান মুকিম ও তার লোকজন আমাদের বাধা দেয়। পরে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। 

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার অনুসারী রাজৈর উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান মুকিম বলেন, ‘আমরা প্রথমে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাই। এ সময় শাজাহান খান এমপির অনুসারীর কিছু লোকজন আমাদের ফুল দিতে বাধা দেয়। এতে করে হট্টগোল শুরু হলে তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়।’ 

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত