নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৮৫ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও গত বছর (২০২১ সাল) ৫ হাজার ৬২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৮০৯ জন মারা গেছে এবং ৯ হাজার ৩৯ জন আহত হয়েছে। সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ গাড়িচাপায় মারা গেছে। একই সময় রেলপথে ৪০২টি দুর্ঘটনায় ৩৯৬ জন নিহত, ১৩৪ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৮২টি দুর্ঘটনায় ৩১১ জন নিহত, ৫৭৮ জন আহত এবং ৫৪৪ জন নিখোঁজ হয়েছে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনার এই বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রসমূহে প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তাঁরা।
প্রতিবেদেনে দেখা গেছে, এসব দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ২ হাজার ৩৫০ জন চালক, ১ হাজার ৭১৫ জন পথচারী, ১ হাজার ১৭ জন পরিবহনশ্রমিক, ৪৩০ জন ছাত্রছাত্রী, ১১১ জন শিক্ষক, ২৩৭ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ১ হাজার ৭৬ জন নারী, ৬৩৮ জন শিশু, ৪২ জন সাংবাদিক, ২৭ জন চিকিৎসক, ১৪ জন আইনজীবী ও ১৮ জন প্রকৌশলী এবং ১৬১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা।
উল্লেখিত সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৭ হাজার ৭৩০টি যানবাহনের পরিচয় গণমাধ্যমে পাওয়া গেছে, যার ৩০ দশমিক ৪২ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, লরি ও কাভার্ড ভ্যান; ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ বাস, ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা, রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক, ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ কার-মাইক্রোবাস।
সংগটিত মোট দুর্ঘটনার ৫৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ খাদে পড়ে, ৬ দশমিক ২১ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁছিয়ে এবং শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সংঘটিত যানবাহনের শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেলে, শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাসে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে ৮৫ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বাস দুর্ঘটনা, ১ শতাংশ নসিমন-মাহিন্দ্র-লেগুনা দুর্ঘটনা, শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক দুর্ঘটনা কমেছে।
এ সময় বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনা একটা জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এত আইন আছে, সুপারিশ আছে, কিন্তু তার কোনো কিছুই বাস্তবায়ন নেই।
মানবাধিকারকর্মী নুর খাল লিটন বলেন, গণপরিবহনে নারী যাত্রীদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়, তা বলার মতো নয়। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় দেখা যায়, চালকদের কোনো বিশ্রাম দেওয়া হয় না। সারা দিন গাড়ি চালাচ্ছে, ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। তা ছাড়া মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। কিন্তু তার কোনো নিতিমালা নেই। সবকিছুর মূলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৮৫ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও গত বছর (২০২১ সাল) ৫ হাজার ৬২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৮০৯ জন মারা গেছে এবং ৯ হাজার ৩৯ জন আহত হয়েছে। সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ গাড়িচাপায় মারা গেছে। একই সময় রেলপথে ৪০২টি দুর্ঘটনায় ৩৯৬ জন নিহত, ১৩৪ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৮২টি দুর্ঘটনায় ৩১১ জন নিহত, ৫৭৮ জন আহত এবং ৫৪৪ জন নিখোঁজ হয়েছে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনার এই বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রসমূহে প্রচারিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তাঁরা।
প্রতিবেদেনে দেখা গেছে, এসব দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন ২ হাজার ৩৫০ জন চালক, ১ হাজার ৭১৫ জন পথচারী, ১ হাজার ১৭ জন পরিবহনশ্রমিক, ৪৩০ জন ছাত্রছাত্রী, ১১১ জন শিক্ষক, ২৩৭ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ১ হাজার ৭৬ জন নারী, ৬৩৮ জন শিশু, ৪২ জন সাংবাদিক, ২৭ জন চিকিৎসক, ১৪ জন আইনজীবী ও ১৮ জন প্রকৌশলী এবং ১৬১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা।
উল্লেখিত সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৭ হাজার ৭৩০টি যানবাহনের পরিচয় গণমাধ্যমে পাওয়া গেছে, যার ৩০ দশমিক ৪২ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, লরি ও কাভার্ড ভ্যান; ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ বাস, ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা, রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক, ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ কার-মাইক্রোবাস।
সংগটিত মোট দুর্ঘটনার ৫৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬ দশমিক ১৩ শতাংশ খাদে পড়ে, ৬ দশমিক ২১ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁছিয়ে এবং শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সংঘটিত যানবাহনের শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ মোটরসাইকেলে, শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাসে শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে ৮৫ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বাস দুর্ঘটনা, ১ শতাংশ নসিমন-মাহিন্দ্র-লেগুনা দুর্ঘটনা, শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক দুর্ঘটনা কমেছে।
এ সময় বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনা একটা জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এত আইন আছে, সুপারিশ আছে, কিন্তু তার কোনো কিছুই বাস্তবায়ন নেই।
মানবাধিকারকর্মী নুর খাল লিটন বলেন, গণপরিবহনে নারী যাত্রীদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়, তা বলার মতো নয়। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় দেখা যায়, চালকদের কোনো বিশ্রাম দেওয়া হয় না। সারা দিন গাড়ি চালাচ্ছে, ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। তা ছাড়া মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। কিন্তু তার কোনো নিতিমালা নেই। সবকিছুর মূলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিকের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। নিয়োগ দেওয়া হয় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুনকে (মুনতাসীর মামুন)।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে আবিদ হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী
২ ঘণ্টা আগে