Ajker Patrika

রাজধানীতে ১২ হাজার নাগরিকের জন্য একজন দমকলকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯: ৪৭
রাজধানীতে ১২ হাজার নাগরিকের জন্য একজন দমকলকর্মী

রাজধানীর প্রতি ১২ হাজার নাগরিকের জন্য মাথাপিছু একজন দমকলকর্মী রয়েছেন। সারা দেশে ১১ হাজার ৭০০ জনে একজন ফায়ার ফাইটার রয়েছেন। তা ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অভিযানের জন্য নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

সোমবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে নবগঠিত ‘ফায়ার সার্ভিস রিপোর্টার্স ফোরামের’ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিচয়পর্ব অনুষ্ঠানে সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, রাজধানীতে ১২ হাজারে একজন ফায়ার কর্মী। আর সারা দেশে ১১ হাজার ৭০০ জনে একজন করে ফায়ার ফাইটার রয়েছেন। আমেরিকায় ৯০০ জনে একজন করে ফায়ার ফাইটার রয়েছেন। তবে কত মানুষে কতজন ফায়ার ফাইটার থাকবেন সেটা নিয়ে আন্তর্জাতিক কোনো হিসাব নেই। আমরা তো ২০৪১ সালে উন্নত দেশে যেতে চাইছি। তাহলে তো ৯০০ জনে না হোক ১ হাজার জনে একজন লাগবে।

মাইন উদ্দিন বলেন, এই মুহূর্তে দেশব্যাপী ৪৯৫টি স্টেশন চালু রয়েছে। আর ৪৩টি চালুর অপেক্ষায় আছে, যা অক্টোবরের মধ্যে চালু হবে। আগামী দুই বছরে স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৩৫। 

ডিজি বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কোনো ম্যাজিস্ট্রেট নেই; কিন্তু এটা আমাদের প্রয়োজন। ফায়ার সার্ভিস নীতিমালার মধ্যে থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’

একই দিন ফায়ার সার্ভিস রিপোর্টার্স ফোরামের নেতৃবৃন্দ সংগঠনের পক্ষ থেকে মহাপরিচালককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিটির কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করেন।

রাজউকের বরাত দিয়ে মাইন উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর ৯০ হাজার ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১৪ হাজার ভবনের অনুমোদন দেন তারা। তাহলে বাকি ৭৫ হাজার কোথায়।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব কোনো ম্যাজিস্ট্রেট নেই। কিন্তু থাকা প্রয়োজন। আমরা আমাদের নীতিমালার মধ্য থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। বর্তমানে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে আছে। সচিব মহোদয়ের সভা শেষে উনি যদি সম্মতি দেন, তাহলে পেতে পারি। আমরা ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চাইছি না; তবে ম্যাজিস্ট্রেট থাকা প্রয়োজন।’ 

মাইন উদ্দিন বলেন, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কেউই নতুন করে লাইসেন্স বা নবায়ন করছে না। তাতে ব্যবসা বন্ধ হয়েছে বা কমেছে কি?

আমরা কিন্তু একটি ভবনের আগুনের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করি, স্ট্রাকচারালকে ঘোষণা করি না। যেমন—ভবনের একটি জায়গায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার থাকার কথা, সেটা নেই। এটা কিন্তু আমরা দেখি। বাকিটা আমাদের দেখার দায়িত্ব নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুসলিম ছেলে বিয়ে করে পরিবারহারা, স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে ঢাকায় এসে ধর্ষণের শিকার

সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

মাদারীপুরে ৩ খুন: ঘটনার পেছনে পা ভাঙার প্রতিশোধসহ ৩ কারণ

মসজিদে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তাঁর ভাই, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিল প্রতিপক্ষ

ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর ছবি-পরিচয় প্রকাশ করলেই আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত