হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে চাকরি থাকবে না: গণঅধিকারের নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ২০

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গোপালগঞ্জের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে, তা না হলে সেখানকার প্রশাসনের কারও চাকরি থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে ‘দেশে বেকারত্ব মহামারি নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা’-শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে অথচ তার দোসররা এখনো সক্রিয়। তারা গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের ভেতর গোপালগঞ্জের হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আটক করতে হবে। তা না হলে সেখানকার প্রশাসনের কারও চাকরি থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই গোপালগঞ্জের সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়ে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করেছিল, এটা আমাদের জন্য লজ্জার। তাদের শায়েস্তা করতে না পারলে ভবিষ্যতে বড় রকমের অঘটন ঘটাতে পারে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতার ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে জানিয়ে নুর বলেন, এই সরকার সফল হলে জনগণের জন্য ভালো হবে, আর ব্যর্থ হলে দেশের মানুষকে ভুগতে হবে। তাই সরকারকে সফল করার জন্য সবার সহযোগিতা করা উচিত।

সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা কমানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে ২৫ বছর বয়স হতে হয়, তরুণদের সুযোগ দিতে কমিয়ে ২১ বছর করতে হবে। আগামীতে সংসদে কমপক্ষে ১৫০ জন তরুণ এমপি থাকতে হবে।’

দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়। বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী সুবিধাভোগীদের সরিয়ে আওয়ামী সুবিধাভোগীদেরই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এটা শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।’

সভায় আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন ও ২২ সেপ্টেম্বর সারা দেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা দেন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন। এ ছাড়াও বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি; চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন; সব চাকরিতে আবেদন ফি, জামানত ও বয়স সীমামুক্ত চাকরির ব্যবস্থা; শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সনদ জামানতে সুদবিহীন ঋণ প্রদান; বেকার তরুণদের জন্য ভাতা; জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণসহ ৭ দাবি জানান যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাড. সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী ও ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত