ডেমরায় পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে লাফ দেওয়া যুবকের লাশ উদ্ধার

শ্যামপুর-কদমতলী, প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১: ৫৪
Thumbnail image

রাজধানীর ডেমরায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফ দেওয়া দুই যুবকের মধ্যে মো. মাসুদের (৩৫) লাশ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ। লাফিয়ে পড়ার এক দিন পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে সারুলিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত করিম জুট মিলসংলগ্ন নদী থেকেই লাশ উদ্ধার করে ডেমরা থানা পুলিশ।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টার দিকে করিম মিলের সামনে লাফ দেন মাসুদ ও তাঁর বন্ধু হাশেম। স্রোতের টানে মাসুদ নদীতে ডুবে যান। ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চালিয়ে সোমবার মাসুদকে উদ্ধার করতে পারেনি। নিহত মাসুদ সারুলিয়ার টেংরা এলাকার আনসার হাজির বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত মো. ইউনুস মিয়ার ছেলে।

অপরদিকে হাশেম নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে ট্রলারে উঠে ওপারে যেতে সক্ষম হন। এ সময় উৎসুক জনতা নদীর তীরে ভিড় জমায়। এদিকে মাসুদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকার মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মাসুদের ভাই বাবু জানান, হাশেমসহ তাঁরা দুই ভাই গাঁজা সেবন করে নদীর পাড় ওয়াকওয়ে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত দুই কনস্টেবলসহ সিভিল ড্রেসে ডেমরা থানার একজন পুলিশ তাঁদের ধাওয়া করে। এ সময় ভয়ে মাসুদ ও হাশেম পানিতে লাফ দেয়।

এ বিষয়ে ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. উসমান গণি বলেন, ‘আমরা সোমবার আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের হেড কোয়ার্টার থেকে ডুবুরি দল আনাই। তারা আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়েও মাসুদকে খুঁজে পায়নি।’

পুলিশের ধাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিঁখোজ মাসুদের পরিবারের লোকজনসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি ওই পুলিশদের পরিচয় জানতে। তাঁরা কারও পরিচয় জানাতে পারেননি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে পলাতক ও নিহত মাসুদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ওদের নামে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ডেমরা থানায় মাদক মামলা রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত