জহিরুল আলম পিলু ,শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা)
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত। মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। সেতুর ফুটপাতে হকারদের দৌরাত্ম্যে লোকজনের চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
গার্ডার সেতুটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্টাফ কোয়ার্টার ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীনগর এলাকার মধ্যে সংযোগ গড়েছে। এলাকার পুরোনো বাসিন্দাদের মতে, প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির নির্মিত এই সেতু প্রথম থেকেই যানবাহন ও মানুষের সুষ্ঠু চলাচলের জন্য উপযোগী ছিল না। এ সেতুর মাধ্যমে এলাকার আশপাশের অনেকগুলো সড়ক পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
দিনের শুরু থেকেই এই সেতু পার হয়ে লাখো মানুষ ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। সেতুর বিপরীত দিকের অঞ্চলগুলো থেকেও ডিএনডির অভ্যন্তরে অবস্থিত স্কুল-কলেজ, অফিসসহ কর্মস্থলে যায় হাজারো শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ। এতে বিশেষ করে সকালে সেতুটিতে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যান ও মানুষের জট লেগে থাকে।
প্রায় ৭০ ফুট লম্বা গার্ডার সেতুটি মাত্র ১৫ ফুট ৩ ইঞ্চি চওড়া। এর মধ্যে যানবাহন চলাচলের রাস্তা সাড়ে ১২ ফুটের বেশি। পথচারীদের জন্য দুই পাশে ১ ফুট ৪ ইঞ্চি করে ফুটপাত রাখা হয়েছে। কিন্তু সেই ফুটপাত দখল করেছে হকাররা। সরু এই সেতু দিয়ে দুটি ছোট পিকআপ গাড়িও পাশাপাশি চলতে পারে না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এখানে প্রথমে ১৯৯৯ সালে বিদেশি অর্থায়নে বেইলি ব্রিজ হওয়ার কথা ছিল। ২০০১ সালে কাজ শুরুর পর প্রকল্পটির আওতায় খালের তিনটি পিলার নির্মাণ করা হয়। পরে অর্থদাতা ডেনমার্কের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হওয়ায় এলজিইডির নিজের বরাদ্দে নতুন করে দুটি পিলার নির্মাণ করা হয়। এরপর আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে স্বল্প প্রশস্ত এই গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সেতুটিতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় এর ওপর দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী আনোয়ার বলেন, ‘সেতুটি স্বল্প প্রশস্ত হওয়ায় স্থানীয় অধিবাসীদের অনেককে যানবাহনসহ অন্তত দুই মাইল রাস্তা বাড়তি ঘুরতে হয়। তাই আমরা জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রশস্ত সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
শিউলি নামের একজন নারী পথচারী জানান, সেতুর দুপাশের ফুটপাতে হকাররা দোকান বসানোয় লোকের চলাচলে সমস্যা হয়। ভিড় ঠেলে চলতে গিয়ে অনেক নারী ও কম বয়সী মেয়ে শিক্ষার্থী উত্ত্যক্তকরণের শিকার হন। এলাকায় ক্রমেই জনসংখ্যা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়ে চলেছে। কাজেই ভবিষ্যতে এই সেতুর ওপর চাপ আরও বাড়বে। তাই একটি পরিকল্পিত প্রশস্ত সেতু নির্মাণ করা এখন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।
ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার-সংলগ্ন হাজিনগর সেতু দিয়ে প্রতিদিন দু-তিন লাখ লোক যাতায়াত করে। কিন্তু এটি খুবই সংকীর্ণ এবং গাড়ি চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত। যানবাহন ও লোকের আধিক্যের কারণে এখান দিয়ে যান চলাচলের গতি অনেক কমে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির অঞ্চল-৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের এনওসির জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে আবেদন করেছি। এর ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে সেতুটি পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে পর্যবেক্ষণ ও নকশার কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতুটি প্রশস্ত করার ব্যাপারে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত। মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে। সেতুর ফুটপাতে হকারদের দৌরাত্ম্যে লোকজনের চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
গার্ডার সেতুটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্টাফ কোয়ার্টার ও ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীনগর এলাকার মধ্যে সংযোগ গড়েছে। এলাকার পুরোনো বাসিন্দাদের মতে, প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির নির্মিত এই সেতু প্রথম থেকেই যানবাহন ও মানুষের সুষ্ঠু চলাচলের জন্য উপযোগী ছিল না। এ সেতুর মাধ্যমে এলাকার আশপাশের অনেকগুলো সড়ক পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
দিনের শুরু থেকেই এই সেতু পার হয়ে লাখো মানুষ ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। সেতুর বিপরীত দিকের অঞ্চলগুলো থেকেও ডিএনডির অভ্যন্তরে অবস্থিত স্কুল-কলেজ, অফিসসহ কর্মস্থলে যায় হাজারো শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ। এতে বিশেষ করে সকালে সেতুটিতে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যান ও মানুষের জট লেগে থাকে।
প্রায় ৭০ ফুট লম্বা গার্ডার সেতুটি মাত্র ১৫ ফুট ৩ ইঞ্চি চওড়া। এর মধ্যে যানবাহন চলাচলের রাস্তা সাড়ে ১২ ফুটের বেশি। পথচারীদের জন্য দুই পাশে ১ ফুট ৪ ইঞ্চি করে ফুটপাত রাখা হয়েছে। কিন্তু সেই ফুটপাত দখল করেছে হকাররা। সরু এই সেতু দিয়ে দুটি ছোট পিকআপ গাড়িও পাশাপাশি চলতে পারে না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এখানে প্রথমে ১৯৯৯ সালে বিদেশি অর্থায়নে বেইলি ব্রিজ হওয়ার কথা ছিল। ২০০১ সালে কাজ শুরুর পর প্রকল্পটির আওতায় খালের তিনটি পিলার নির্মাণ করা হয়। পরে অর্থদাতা ডেনমার্কের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হওয়ায় এলজিইডির নিজের বরাদ্দে নতুন করে দুটি পিলার নির্মাণ করা হয়। এরপর আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে স্বল্প প্রশস্ত এই গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সেতুটিতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় এর ওপর দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী আনোয়ার বলেন, ‘সেতুটি স্বল্প প্রশস্ত হওয়ায় স্থানীয় অধিবাসীদের অনেককে যানবাহনসহ অন্তত দুই মাইল রাস্তা বাড়তি ঘুরতে হয়। তাই আমরা জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রশস্ত সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
শিউলি নামের একজন নারী পথচারী জানান, সেতুর দুপাশের ফুটপাতে হকাররা দোকান বসানোয় লোকের চলাচলে সমস্যা হয়। ভিড় ঠেলে চলতে গিয়ে অনেক নারী ও কম বয়সী মেয়ে শিক্ষার্থী উত্ত্যক্তকরণের শিকার হন। এলাকায় ক্রমেই জনসংখ্যা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়ে চলেছে। কাজেই ভবিষ্যতে এই সেতুর ওপর চাপ আরও বাড়বে। তাই একটি পরিকল্পিত প্রশস্ত সেতু নির্মাণ করা এখন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।
ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার-সংলগ্ন হাজিনগর সেতু দিয়ে প্রতিদিন দু-তিন লাখ লোক যাতায়াত করে। কিন্তু এটি খুবই সংকীর্ণ এবং গাড়ি চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত। যানবাহন ও লোকের আধিক্যের কারণে এখান দিয়ে যান চলাচলের গতি অনেক কমে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির অঞ্চল-৮ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের এনওসির জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে আবেদন করেছি। এর ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে সেতুটি পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে পর্যবেক্ষণ ও নকশার কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতুটি প্রশস্ত করার ব্যাপারে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৬ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৬ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৬ ঘণ্টা আগেনুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
৭ ঘণ্টা আগে