Ajker Patrika

হরিরামপুরে রস বৃদ্ধিতে ৫ লাখ খেজুর গাছ রোপণ করবে প্রশাসন

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
হরিরামপুরে রস বৃদ্ধিতে ৫ লাখ খেজুর গাছ রোপণ করবে প্রশাসন

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের গাছিরা খেজুর গাছ ঝাড়া শেষ করেছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন রস থেকে গুড় তৈরির। তবে খেজুর গাছ কমে যাওয়ায় নতুন করে ৫ লাখ খেজুর গাছ রোপণ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। 

এদিকে খেজুর গাছ কেটে রস বের করার কারিগরদের অভাব রয়েছে হরিরামপুরে। অনেকে পরিশ্রমের কাজ আর করতে চান না তাই রাজশাহী জেলা থেকে ৩-৪ মাসের জন্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে গাছিদের আনতে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, রস সংগ্রহের জন্য খেজুর গাছগুলোকে প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। 

হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর ও চালা ইউনিয়নের আগ্রাইল ও খলিলপুর গ্রামে গাছ কাটেন বিল্লাল হোসেন। বিল্লাল বলেন, ‘আমার বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ এলাকায় ৭-৮ বছর ধরে খেজুর গুড় তৈরি করি। এ বছর আমরা দুজন ৭০-৮০টি গাছ কাটছি। কিছুদিন পর থেকে রস থেকে গুড় তৈরি করব। গাছ ঝাড়া ও চুলা তৈরি শেষ হয়েছে।’ 

মানিকগঞ্জের ঐতিহ্য হাজারি গুড় তৈরি হয় বাল্লা, গোপীনাথপুর ইউনিয়ন ও শিবালয় উপজেলার আরোয়া ইউনিয়নের কয়েকটি পরিবারে। তারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

ঝিটকা উজান পাড়া গ্রামের গাছি করিম বলেন, ‘আমার দাদা, বাবা গুড় তৈরি করতেন; আমিও গুড় তৈরি করি। তবে আগের চেয়ে গাছ কমে গেছে। আর গুড়ের চাহিদা ব্যাপক। ৭-৮ দিন পর থেকে গুড় তৈরি করব।’ 

ঝিটকা শিকদারপাড়া গ্রামের গাছি মো. মিজান খন্দকার বলেন, ‘কৃষিকাজ কাজের ফাঁকে শীত মৌসুমে গাছি হিসেবে গাছ কাটি। প্রতি বছরই আমরা গুড় তৈরি করি। তবে আগের মতো এখন আর গাছ নাই। রসও তেমন হয় না। নিজস্ব গাছ কম থাকায় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে গাছ প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে কিনে নিয়ে কাটি। লাল গুড়ের পাশাপাশি হাজারি গুড় বানাই। এ বছর শতাধিক গাছ প্রস্তুত করেছি।’ 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেশি বেশি খেজুর গাছ রোপণ করে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই খেজুরের গুড়ের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে এবং গাছিরাও লাভবান হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘হরিরামপুরের হাজাড়ি গুড় মানিকগঞ্জ জেলার একটি ব্র্যান্ড পণ্য। তবে গাছ দিন দিন কমে গেছে। তাই উপজেলায় এ বছর ৫ লাখ গাছ রোপণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমার বাস ভবনের পাশে খেজুর বাগান করেছি। 

গুড়ের বিষয়ে বলেন, ‘কিছু অসাধু গাছিরা বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে ভেজাল গুড় তৈরি করছেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিবছরই ভেজাল রোধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ বছরও ভেজাল রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত