ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
দাম কমার দুই দিন পর আবারও বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। আজ বুধবার ঘিওর উপজেলাসহ মানিকগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায়।
ঈদ শেষে হঠাৎ করেই মানিকগঞ্জের হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আকাশচুম্বী হয়। ২০ দিন আগেও বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। ঈদের দুই-তিন দিন আগে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। সেই মরিচ ঈদের পরদিন থেকে একলাফে ৮০০ টাকার ওপরে ওঠে। এতে করে চরম বিপাকে পড়ে মানুষ।
কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার পর গত ৩ জুলাই সোমবার বাজারে ভারতের আমদানি করা কাঁচা মরিচ আসে। সেদিন মরিচের দাম কমে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় নামে। এর আগের দিন রোববার মরিচের কেজি ছিল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার জেলার কয়েকটি বাজারে অভিযান পরিচালনা করার পর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
আজ বুধবার হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় ভারত থেকে আমদানি মরিচের পরিমাণ কম। আর দেশে তেমন মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে দাম বেড়ে গেছে।
জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কাঁচা মরিচের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত মানিকগঞ্জের ঘিওর, হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলা। আগে এ অঞ্চলের মরিচ স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেত। কয়েকটি দেশে রপ্তানিও হতো। কিন্তু এ বছর মরিচের ফলন বিপর্যয়ে রপ্তানি তো দূরের কথা, খোদ মরিচচাষিদেরই বাজার থেকে মরিচ কিনে খেতে হচ্ছে।
আজ বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের কাঁচা বাজারে মরিচ কেনার সময় গুজুরী গ্রামের মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ঈদের দুই দিন আগে ২০০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ এক পোয়া কিনলাম ১২০ টাকা দিয়ে।
রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষক মুন্নাফ মোল্লা বলেন, এবার আমি ২ বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচ আবাদ করেছিলাম। কিন্তু খরার কারণে মরিচের ফুল ঝরে যায় এবং গাছ কুঁকড়ে যায়। ঈদের পর থেকে টানা বৃষ্টিতে এখন গাছে পচন ধরেছে। এতে ফলন দশ ভাগের এক ভাগও হয়নি।
আজ মানিকগঞ্জ, ঘিওর, বানিয়াজুরী, পঞ্চ রাস্তা মোড়সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ১২০ টাকায়। আর এক কেজি কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৪৫০ টাকা।
ঘিওর বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রতন সরকার বলেন, ভোরে পাইকারি আড়তে
কাঁচা মরিচের সরবরাহ ছিল খুবই কম। প্রতি কেজি পাইকারি কিনেছি ৩৮০ টাকা দরে। এরপর প্রতি কেজিতে খরচ আছে আরও ১০ টাকা।
মানিকগঞ্জ কাঁচামাল আড়তের পাইকারি ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, আজ মোকামে মরিচ কম। মূলত ভারত থেকে কম আসায় মরিচের দাম আজ হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। দাম বাড়ায় ক্রেতারা কিনছেন না। ফলে লোকসান দিয়ে বিক্রি করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৫৫০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৪৪০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে। আমদানি শুরু হওয়ায় ভারতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। এ জন্য আমদানি করা কাঁচা মরিচের দামও বেশি। আর অতি খরা ও অতি বৃষ্টির কারণে দেশীয় মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই মরিচের দাম একটু বেশি।’
দাম কমার দুই দিন পর আবারও বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। আজ বুধবার ঘিওর উপজেলাসহ মানিকগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায়।
ঈদ শেষে হঠাৎ করেই মানিকগঞ্জের হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আকাশচুম্বী হয়। ২০ দিন আগেও বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। ঈদের দুই-তিন দিন আগে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। সেই মরিচ ঈদের পরদিন থেকে একলাফে ৮০০ টাকার ওপরে ওঠে। এতে করে চরম বিপাকে পড়ে মানুষ।
কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার পর গত ৩ জুলাই সোমবার বাজারে ভারতের আমদানি করা কাঁচা মরিচ আসে। সেদিন মরিচের দাম কমে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় নামে। এর আগের দিন রোববার মরিচের কেজি ছিল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার জেলার কয়েকটি বাজারে অভিযান পরিচালনা করার পর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
আজ বুধবার হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় ভারত থেকে আমদানি মরিচের পরিমাণ কম। আর দেশে তেমন মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে দাম বেড়ে গেছে।
জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কাঁচা মরিচের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত মানিকগঞ্জের ঘিওর, হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলা। আগে এ অঞ্চলের মরিচ স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেত। কয়েকটি দেশে রপ্তানিও হতো। কিন্তু এ বছর মরিচের ফলন বিপর্যয়ে রপ্তানি তো দূরের কথা, খোদ মরিচচাষিদেরই বাজার থেকে মরিচ কিনে খেতে হচ্ছে।
আজ বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের কাঁচা বাজারে মরিচ কেনার সময় গুজুরী গ্রামের মো. ইয়াকুব আলী বলেন, ঈদের দুই দিন আগে ২০০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ এক পোয়া কিনলাম ১২০ টাকা দিয়ে।
রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষক মুন্নাফ মোল্লা বলেন, এবার আমি ২ বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচ আবাদ করেছিলাম। কিন্তু খরার কারণে মরিচের ফুল ঝরে যায় এবং গাছ কুঁকড়ে যায়। ঈদের পর থেকে টানা বৃষ্টিতে এখন গাছে পচন ধরেছে। এতে ফলন দশ ভাগের এক ভাগও হয়নি।
আজ মানিকগঞ্জ, ঘিওর, বানিয়াজুরী, পঞ্চ রাস্তা মোড়সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ১২০ টাকায়। আর এক কেজি কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৪৫০ টাকা।
ঘিওর বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রতন সরকার বলেন, ভোরে পাইকারি আড়তে
কাঁচা মরিচের সরবরাহ ছিল খুবই কম। প্রতি কেজি পাইকারি কিনেছি ৩৮০ টাকা দরে। এরপর প্রতি কেজিতে খরচ আছে আরও ১০ টাকা।
মানিকগঞ্জ কাঁচামাল আড়তের পাইকারি ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, আজ মোকামে মরিচ কম। মূলত ভারত থেকে কম আসায় মরিচের দাম আজ হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। দাম বাড়ায় ক্রেতারা কিনছেন না। ফলে লোকসান দিয়ে বিক্রি করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৫৫০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৪৪০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ হয়েছে। আমদানি শুরু হওয়ায় ভারতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। এ জন্য আমদানি করা কাঁচা মরিচের দামও বেশি। আর অতি খরা ও অতি বৃষ্টির কারণে দেশীয় মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই মরিচের দাম একটু বেশি।’
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস...
৫ মিনিট আগেক্ষোভ প্রকাশ করে জাকির হোসেন বলেন, ‘এমন ছোট্ট সংযোগ সড়কে বিআরটিসির দোতলা বাসে কী করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পিকনিকে নিয়ে এল। সড়কের সামান্য ওপরে বৈদ্যুতিক তার। সেই তারে ছোট পরিবহন চলাচল যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ। সেই সড়কে কী করে বিআরটিসির দোতলা বাস চলাচল করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে
১৫ মিনিট আগেসুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা...
২৬ মিনিট আগেনিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
১ ঘণ্টা আগে