নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ আর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সমন্বয়হীনতায় স্কুলটির চলতি বছরের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল হয়েছে। বয়স জটিলতায় ভর্তি বাতিল হলেও এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের ভুলের মাশুল কেন শিক্ষার্থীরা দেবে—এমন প্রশ্ন তুলে ভর্তি বহালের দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগীদের অভিভাবকেরা।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ দাবি তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ কাওসার হোসাইন বলেন, ‘মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্ধারিত বয়সসীমা ছয় প্লাস হওয়ার কথা ছিল। অনলাইন আবেদনের সময় ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা টেলিটকের সার্ভারে জন্মতারিখ, শ্রেণি ও এলাকার তথ্য দিলে ভিকারুননিসার নামও আসে। নিয়ম অনুযায়ী আবেদন ফি পরিশোধ করে আমরা ভিকারুননিসাসহ পাঁচটি স্কুল সিলেক্ট করে আবেদন ফরম পূরণ করি। পরে লটারির মাধ্যমে ভিকারুননিসায় ভর্তির সুযোগ পায় আমাদের সন্তানেরা। ফলে তিন মাস ধরে বাচ্চারা অন্য শিশুদের সঙ্গেই নিয়মিত ক্লাস করে আসছিল। এ অবস্থায় ৪ মার্চ স্কুল প্রিন্সিপাল কেকা রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে অভিভাবকদের জানানো হয় যে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জন্ম গ্রহণ করা ১৬৯ জন শিশুর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।’
বছরের এই পর্যায়ে এসে অন্য স্কুল বেছে নেওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এসব অভিভাবকেরা। একই সঙ্গে তাঁদের সন্তানেরাও বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। শিশুরা মানসিক চাপের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া অভিভাবকেরাও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্নও হচ্ছেন।
সুমি আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, স্কুলে ভর্তির জন্য অনেকেই বাসা পরিবর্তন করে স্কুলের কাছাকাছি চলে এসেছেন। অনেকে চাকরিও পরিবর্তন করেছেন। এ ছাড়া অনেকে দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও ঢাকায় এসেছেন সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় বিদ্যালয় ও মাউশির মধ্যে সমন্বয়হীনতার ফলেই এটি ঘটছে। মাউশির নিয়ম ছয় প্লাস কিন্তু ভিকারুননিসা স্কুল আলাদা নিয়ম করেছে।
স্কুলের মূল নোটিশ বোর্ডে নয়, এক কোনায় ছোট করে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির জন্মসীমা উল্লেখ ছিল, যা চোখে পড়ার মতো না। বয়সসীমার এই বিষয়টি তাঁরা ভর্তি বাতিলের নোটিশ পেয়েই জেনেছেন অভিভাবকেরা। এসব উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে মো. আরিফুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, মাউশির নীতিমালা অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা এই ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম পুরো প্রক্রিয়া মেনেই সম্পন্ন করেছেন। ভর্তি প্রক্রিয়ার শুরুতেই ব্যবস্থা নিলে এখন এতগুলো শিশুর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ত না। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্কুলে যদি ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জন্ম নেওয়া শিশুরা প্রথম শ্রেণিতে পড়তে পারে সে ক্ষেত্রে ভিকারুননিসার ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম কেন?
এর আগে ৬ মার্চ ভিকারুননিসার প্রথম শ্রেণিতে শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জানুয়ারি রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন ভিকারুননিসার আইনজীবী। এরপর আদালত শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিতে নির্দেশ দেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ আর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সমন্বয়হীনতায় স্কুলটির চলতি বছরের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল হয়েছে। বয়স জটিলতায় ভর্তি বাতিল হলেও এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের ভুলের মাশুল কেন শিক্ষার্থীরা দেবে—এমন প্রশ্ন তুলে ভর্তি বহালের দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগীদের অভিভাবকেরা।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ দাবি তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ কাওসার হোসাইন বলেন, ‘মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্ধারিত বয়সসীমা ছয় প্লাস হওয়ার কথা ছিল। অনলাইন আবেদনের সময় ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা টেলিটকের সার্ভারে জন্মতারিখ, শ্রেণি ও এলাকার তথ্য দিলে ভিকারুননিসার নামও আসে। নিয়ম অনুযায়ী আবেদন ফি পরিশোধ করে আমরা ভিকারুননিসাসহ পাঁচটি স্কুল সিলেক্ট করে আবেদন ফরম পূরণ করি। পরে লটারির মাধ্যমে ভিকারুননিসায় ভর্তির সুযোগ পায় আমাদের সন্তানেরা। ফলে তিন মাস ধরে বাচ্চারা অন্য শিশুদের সঙ্গেই নিয়মিত ক্লাস করে আসছিল। এ অবস্থায় ৪ মার্চ স্কুল প্রিন্সিপাল কেকা রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে অভিভাবকদের জানানো হয় যে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জন্ম গ্রহণ করা ১৬৯ জন শিশুর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।’
বছরের এই পর্যায়ে এসে অন্য স্কুল বেছে নেওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এসব অভিভাবকেরা। একই সঙ্গে তাঁদের সন্তানেরাও বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। শিশুরা মানসিক চাপের শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া অভিভাবকেরাও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্নও হচ্ছেন।
সুমি আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, স্কুলে ভর্তির জন্য অনেকেই বাসা পরিবর্তন করে স্কুলের কাছাকাছি চলে এসেছেন। অনেকে চাকরিও পরিবর্তন করেছেন। এ ছাড়া অনেকে দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও ঢাকায় এসেছেন সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় বিদ্যালয় ও মাউশির মধ্যে সমন্বয়হীনতার ফলেই এটি ঘটছে। মাউশির নিয়ম ছয় প্লাস কিন্তু ভিকারুননিসা স্কুল আলাদা নিয়ম করেছে।
স্কুলের মূল নোটিশ বোর্ডে নয়, এক কোনায় ছোট করে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির জন্মসীমা উল্লেখ ছিল, যা চোখে পড়ার মতো না। বয়সসীমার এই বিষয়টি তাঁরা ভর্তি বাতিলের নোটিশ পেয়েই জেনেছেন অভিভাবকেরা। এসব উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করে মো. আরিফুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক বলেন, মাউশির নীতিমালা অনুযায়ী বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা এই ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম পুরো প্রক্রিয়া মেনেই সম্পন্ন করেছেন। ভর্তি প্রক্রিয়ার শুরুতেই ব্যবস্থা নিলে এখন এতগুলো শিশুর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ত না। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্কুলে যদি ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জন্ম নেওয়া শিশুরা প্রথম শ্রেণিতে পড়তে পারে সে ক্ষেত্রে ভিকারুননিসার ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম কেন?
এর আগে ৬ মার্চ ভিকারুননিসার প্রথম শ্রেণিতে শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জানুয়ারি রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন ভিকারুননিসার আইনজীবী। এরপর আদালত শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিতে নির্দেশ দেন।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে তিন কৃষকের খরের গাদা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার চেঁচুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, প্রান্তিক কৃষক শাজাহান আলী, আব্দুস সোবহান ও রোজাউল করিম ধান মাড়াই করে গরুর খাদ্য হিসেবে তাঁদের বাড়ির পাশে খলায় খরের গাদা তৈরি করেন।
২ মিনিট আগেনরসিংদীর রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) ভোর থেকে দিনব্যাপী উপজেলার মির্জাচর ইউনিয়নের একটি দুর্গম চরে এ অভিযান চালানো হয়।
২১ মিনিট আগেনাটোরের লালপুরে বাবার ট্রলির নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছে শিশুসন্তান। আজ সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর ঈশ্বরদী ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম মো. মুরসালিন (৩)। সে ওই গ্রামের মো. পিন্টুর ছেলে।
২৭ মিনিট আগেচাঁদপুরে কাভার্ডভ্যান-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মো. অভি (১৭) ও মো. নিলয় (২০) নামের দুজন নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে শহরের পুরান বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে