সাভারে রেস্তোরাঁয় বসে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগ, জামায়াতের ২২ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, ১৬: ২৪
Thumbnail image

ঢাকার সাভারে রেস্তোরাঁয় বসে নাশকতা করার পরিকল্পনার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর ২২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ ডেন্ডাবর এলাকার ফুড প্ল্যানেট রেস্টুরেন্ট থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারের বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের একটি নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার সকালে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের আদালতে পাঠানো হয়। তদন্তের জন্য তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।’ 

গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীরা হলেন মাদারীপুরের শিবচরের জলিল খান (৪৩); টাঙ্গাইলের নাগরপুরের রফিকুল ইসলাম (৪২); জামালপুরের আব্দুর রাজ্জাক (৫১); লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের সোহেল রানা (২৮); রাজবাড়ীর পাংশার জিলুর রহমান (৪২); বগুড়ার ধুনটের রুহুল আমিন ওরফে আব্দুল করিম (২৯); ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোজাম্মেল হক (৪০); সিরাজগঞ্জ সদরের আমিনুল ইসলাম (৩৩); চৌহালীর জাহিদ হাসান (৩৯) ও শাহাজাদপুরের মো. সেলিম হোসেন (৪০); টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের আব্দুল কাদের (৬০); মেহেরপুরের গাংনীর আবুল বাশার ওরফে মেগা (৪৩); নাটোরের বাগাতিপাড়ার আশিকুর রহমান রিপন (৩৮); জয়পুরহাটের পাঁচবিবির নাহিদ হাসান (২৯); নীলফামারীর ডোমারের নুরুন নবী (৩৮); দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানা এলাকার মেরাজ হোসেন ওরফে মুরাদ (৩৪); গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর ফিরোজ কবির (৩৫); বরিশাল সদরের চরকালামতি এলাকার জসিম উদ্দীন জোমাদ্দার (৪১), বন্দর থানা এলাকার সিদ্দিকুর রহমান (৩৮) ও মুলাদির মো. হাসান (৩৫) ; যশোর চৌগাছার মো. আয়াতুল্লাহ (৩৬) এবং পাবনার সাথিয়ার হাফিজুল ইসলাম (৩২)। তাঁরা আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার জামায়াতের নেতা-কর্মীরা রেস্তোরাঁয় বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ৩১ জুলাই আশুলিয়ার জিরাব এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে জামায়েতের আমির শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের আটক সব নেতা–কর্মীর মুক্তির দাবিতে ও কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছিল জামায়াত-শিবিরের নেতা–কর্মীরা। 

বিক্ষোভ মিছিল করে গাড়ি ভাঙচুরের খবরে ওই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। তখন পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যান তাঁরা। ওই ঘটনায় আহত হন পুলিশের দুই সদস্য। পরদিন ১ আগস্ট আশুলিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলায় ২৩ জনের নামসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত