ফেরির চেয়ে লঞ্চে যাত্রীর চাপ বেশি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ০৪
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২২, ১৩: ৪৬

ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে। তবে ফেরির চেয়ে লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। এই সুযোগে অতিরিক্ত যাত্রী ও ভাড়া আদায় করছেন লঞ্চ মালিক-শ্রমিকেরা। অন্যদিকে স্পিডবোটেও বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার সকাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে প্রতিটি নৌযান অন্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৬টার পর থেকেই প্রতিটি লঞ্চ ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসছে। ফলে একপ্রকার গাদাগাদি করেই যাত্রীরা আসতে বাধ্য হচ্ছে। সেই সঙ্গে জনপ্রতি ৩৫ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন শ্রমিকেরা। ফলে যাত্রীদের মাঝে অসন্তোষ রয়েছে। সেই সঙ্গে বাস ও ছোট ছোট যানবাহনে বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে তাঁদের। তার পরও পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আনন্দে শত কষ্ট হলেও ভালো লাগছে বলে জানান তাঁরা।

ভূরঘাটাগামী মাজেদ মিয়া বলেন, ‘আগে লঞ্চে ভাড়া দিতাম ৩৫ টাকা, এখন ৫০ টাকা নিচ্ছে। তার পরেও মনে কষ্ট নাই, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যেতে পারছি সে-ই বড় কথা। তবে লঞ্চে পা ফেলার জায়গা নাই। পুরো লঞ্চে মানুষ ভরা। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়েছে। যাত্রীরা কথা শুনছে না।’ 

এমভি দিপু লঞ্চের সুপারভাইজার শহীদ উদ্দিন বলেন, ‘যাত্রী কিছুটা বেশি হয়েছে। তবে এটা মালিক সমিতি থেকে বলা হয়েছে। আর পদ্মা নদী শান্ত আছে, যাত্রী একটু বেশি হলেও সমস্যা হবে না। আর যাত্রীদের নিষেধ করলেও তারা বাধা শোনে না। ফলে বাধ্য হয়েই কিছু যাত্রী বেশি নেওয়া  হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া নেওয়া  হয় না। যারা বলেছে, তারা আমার সামনে বলুক।’ 

এদিকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য চালক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঘাটে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যাত্রীদের ভোগান্তি ও দুর্ভোগ কমাতে দালাল চক্র, ছিনতাইকারী ও ছোট-বড় যানবাহনের চালক ও শ্রমিকেরা যেন ঈদযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, এ জন্য পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। 

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘ঈদের যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম ঈদের ১০ দিন আগে থেকে ঘাটে টহল দিচ্ছে। কোনো অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। চুরি-ছিনতাই রোধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। ভবিষ্যতে আমাদের কঠোর অবস্থান থাকবে।’ 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাট থেকে ১০টি ফেরি বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি ঘাটে আসছে। এর মধ্যে বাংলাবাজারে ৫টি ও মাঝিরকান্দিতে ঘাটে ৫টি। এ ছাড়া ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। এবারের ঈদে ফেরিতে যাত্রীর চাপ খুবই কম। লঞ্চ ও স্পিডবোট চালু থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ কম হচ্ছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত