Ajker Patrika

বিএনপির বিদেশে থাকা নেতার নির্দেশে দেশীয় এজেন্টরা নাশকতা করছে: ডিএমপি কমিশনার 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ১৫
বিএনপির বিদেশে থাকা নেতার নির্দেশে দেশীয় এজেন্টরা নাশকতা করছে: ডিএমপি কমিশনার 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বিএনপির বিদেশে থাকা নেতার নির্দেশেই তাদের দেশীয় এজেন্টরা হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও ও নাশকতা করছে। এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তিনি আরও বলেছেন, ‘যারা অবরোধ-হরতাল দিয়েছে, তারাই রেলে আগুন দিয়েছে।’ 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) গেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে, তারাই এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছিল।’ 

নাশকতার দায় কাদের সে বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা অবরোধ করছে, হরতাল করছে, তারাই এটি করছে। এর আগে যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল, তারা ধরাও পড়েছিল। গাজীপুরের লাইন যারা কেটে ফেলেছিল, সেখানেও একজনকে হত্যা করা হয়েছে বলব আমি। আজও যে ঘটনা, সেটাকেও আমি সরাসরি হত্যা বলতে চাই।’ 

কমিশনার হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘যারা এটা করেছে, তারা হরতাল ও অবরোধকারীদের অংশ বলে আমি মনে করি। কেবল একটি অংশ নয়, এটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অংশ এবং তার অংশ হিসেবেই তাদের যারা অনুসারী রয়েছে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করে।’ 

বিএনপির অধিকাংশ নেতাই জেলে রয়েছেন, তার পরও কাদের নির্দেশে এ ধরনের নাশকতা হচ্ছে—এমন এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা হরতাল করছে, জ্বালাপোড়াও করছে, নাশকতা করছে, তাদের বিদেশি নেতাদের নির্দেশে দেশীয় এজেন্ট, অনুসারী হিসেবে তারাই যে এটা করছে, তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।’ 

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কোনো অবস্থাতেই পার পাবে না। তারা অতীতেও পার পায়নি। ট্রেনে, বাসে যেসব জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে, এর প্রতিটি ঘটনায় আমরা প্রত্যেককে শনাক্ত করতে পেরেছি। তারা স্বীকারও করেছে তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তাদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আমাদের সতর্কতা ছিল, তার পরও যেহেতু এ ঘটনা ঘটেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সিআইডি, ডিবি ও রেলওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে, যেন পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা না ঘটতে পারে।’ 

ট্রেনের ভেতরে থাকা কয়েকজন আগুন দিয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা আহত একজনের কাছে যেটুকু জানতে পেরেছি, ভেতরে যারা ছিল তারাই সেখানে আগুন দিয়েছে। তিনি নিজেও সেখানে ছিলেন। তিনি দেখেছেন, সিটের ভেতরে প্রথম আগুন দিয়েছে এবং সেই আগুন আস্তে আস্তে ছড়িয়ে গেছে। যেহেতু ভোর ছিল, অনেকেই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। আমরা দেখেছি, একজন মা তাঁর সন্তানকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিল, হয়তো বাঁচার চেষ্টা করেছিল।’ 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ভোর ৫টার সময় ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছায়। সেখান থেকে কমলাপুরের উদ্দেশে রওনা করে বনানী-কাকলির কাছাকাছি এলে জ-বগির ভেতরে যাত্রীরা আগুন দেখতে পায়। অনেকেই লাফ দিয়ে বগি থেকে বেরিয়েছে। তবে চারজনকে পুড়িয়ে সেখানে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে এক মা ও তাঁর ছেলে ইয়াসিনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকি দুজনকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাঁদের শনাক্ত করার জন্য সিআইডি চেষ্টা করছে। তাঁদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বীভৎসভাবে পুড়ে যাওয়ায়। তাঁদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে, যাতে পরে শনাক্ত করা যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত