ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
ইছামতী নদীর ভাঙনে মানিকগঞ্জের ঘিওর-জিয়নপুর সড়কে কুস্তা বেইলী সেতুর একাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। ফলে তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের লোকজনের যাতায়াত। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা এলজিইডির আওতাধীন ১৯৯৭ সালে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কুস্তা সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। গত বুধবার বিকেল থেকে সেতুর দুই পাশের পাদদেশে ভাঙন শুরু হয়। গার্ডারের কাছ থেকে মাটি সরে সংযোগ সড়ক থেকে সেতুর মাঝে প্রায় দুই ফুট ফাঁকা হয়ে গেছে। এতে সেতুটি একপাশে কাত হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় নদী গর্ভে ধসে পড়তে পারে।
জানা যায়, গত বুধবার থেকে সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। প্রধান রাস্তা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মানুষ। কুস্তা, ভররা, বিনোদপুর, খলসী, কুমুরিয়া, নারচি, গোবর নারচি, শ্রীধরনগন, জিয়নপুর, শোলাকোড়াসহ ২০টি গ্রামের মানুষের প্রধান রাস্তা বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, হাট বাজারে যাওয়া ছাড়াও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে ইছামতী নদী ভাঙনের ভয়াল থাবায় লন্ডভন্ড হয়ে গেছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরোনো গরুর হাট। হাট সংলগ্ন অর্ধশত বসতবাড়িও বিলীন হয়ে গেছে। এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘিওর-গোলাপনগর রাস্তা, কুস্তা বেইলি ব্রিজ, দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্রিজ, কালভার্টসহ নদী তীরবর্তী ১৬টি গ্রামও ভাঙনের কবলে পড়েছে। এ অবস্থায় ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, কুস্তা এলাকায় কফিল উদ্দিন দর্জি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইছামতী নদীর ওপর সেতু, কুস্তা কবরস্থান, আল আকসা জামে মসজিদ ও সর্বজনীন মহাশ্মশান ভাঙনের কবলে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধের ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই এসব প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে কয়েকটি পরিবার ঘর নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, অনেকের বাড়ির অর্ধেক অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আসবাবপত্র, অন্যান্য সামগ্রী অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। কুস্তা কফিল উদ্দিন দরজি উচ্চবিদ্যালয় ও কুস্তা ব্রিজ, ঘিওর-গোলাপ নগরের রাস্তা, ব্যাপারীপাড়া কবরস্থান, রসুলপুর গ্রামের বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে রয়েছে। যেকোনো সময় নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে এসব স্থাপনা ও বসতবাড়ি। এ ছাড়া ইছামতী নদীর অদূরে প্রবাহিত পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে শ্রীধরনগর, মাইলাগী, ঘিওর পূর্বপাড়া, ঘিওর নদীর উত্তর পাড়ের বাজার, উপজেলা খাদ্য গুদাম, ব্রিজসহ ১২-১৩টি প্রতিষ্ঠান হুমকির মধ্যে রয়েছে।
কুস্তা গ্রামের মজিদ মিয়ার বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি ঘর, শৌচাগার ও গাছপালা নদীতে চলে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।’
ঘিওর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৫০ টন ওজনের ধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ক্রেন আনা হয়েছিল কিন্তু তা দিয়ে কাজ করা সম্ভব হয়নি। পরে এলজিইডি দপ্তর থেকে নতুন করে চেইন কপ্পার মাধ্যমে পুনঃস্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। আমার ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের পরিবর্তে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, ‘ঘিওর কুস্তা বেইলি ব্রিজের গার্ডারের কাছ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় দেখতে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। দ্রুত ব্রিজটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এক-দুই দিনের মধ্যে ব্রিজ সংস্কার কাজ শেষ হবে। ব্রিজটিকে রক্ষা করতে এরই মধ্যে দুই পাড়ে ব্রিজের গাইড ওয়ালসহ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘ইছামতী নদীটি খালের মতো সরু। এর উৎস মুখে খনন করায় পানি প্রবাহ বেড়েছে। এতে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সাড়ে আট হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর বেইলী ব্রিজ রক্ষায় গাইড ওয়ালসহ জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পানির প্রবাহ কমে গেলে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
ইছামতী নদীর ভাঙনে মানিকগঞ্জের ঘিওর-জিয়নপুর সড়কে কুস্তা বেইলী সেতুর একাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। ফলে তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের লোকজনের যাতায়াত। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা এলজিইডির আওতাধীন ১৯৯৭ সালে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কুস্তা সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। গত বুধবার বিকেল থেকে সেতুর দুই পাশের পাদদেশে ভাঙন শুরু হয়। গার্ডারের কাছ থেকে মাটি সরে সংযোগ সড়ক থেকে সেতুর মাঝে প্রায় দুই ফুট ফাঁকা হয়ে গেছে। এতে সেতুটি একপাশে কাত হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় নদী গর্ভে ধসে পড়তে পারে।
জানা যায়, গত বুধবার থেকে সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। প্রধান রাস্তা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মানুষ। কুস্তা, ভররা, বিনোদপুর, খলসী, কুমুরিয়া, নারচি, গোবর নারচি, শ্রীধরনগন, জিয়নপুর, শোলাকোড়াসহ ২০টি গ্রামের মানুষের প্রধান রাস্তা বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, হাট বাজারে যাওয়া ছাড়াও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে ইছামতী নদী ভাঙনের ভয়াল থাবায় লন্ডভন্ড হয়ে গেছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পুরোনো গরুর হাট। হাট সংলগ্ন অর্ধশত বসতবাড়িও বিলীন হয়ে গেছে। এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘিওর-গোলাপনগর রাস্তা, কুস্তা বেইলি ব্রিজ, দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্রিজ, কালভার্টসহ নদী তীরবর্তী ১৬টি গ্রামও ভাঙনের কবলে পড়েছে। এ অবস্থায় ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, কুস্তা এলাকায় কফিল উদ্দিন দর্জি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইছামতী নদীর ওপর সেতু, কুস্তা কবরস্থান, আল আকসা জামে মসজিদ ও সর্বজনীন মহাশ্মশান ভাঙনের কবলে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধের ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই এসব প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে কয়েকটি পরিবার ঘর নিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, অনেকের বাড়ির অর্ধেক অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আসবাবপত্র, অন্যান্য সামগ্রী অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। কুস্তা কফিল উদ্দিন দরজি উচ্চবিদ্যালয় ও কুস্তা ব্রিজ, ঘিওর-গোলাপ নগরের রাস্তা, ব্যাপারীপাড়া কবরস্থান, রসুলপুর গ্রামের বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে রয়েছে। যেকোনো সময় নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে এসব স্থাপনা ও বসতবাড়ি। এ ছাড়া ইছামতী নদীর অদূরে প্রবাহিত পুরোনো ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে শ্রীধরনগর, মাইলাগী, ঘিওর পূর্বপাড়া, ঘিওর নদীর উত্তর পাড়ের বাজার, উপজেলা খাদ্য গুদাম, ব্রিজসহ ১২-১৩টি প্রতিষ্ঠান হুমকির মধ্যে রয়েছে।
কুস্তা গ্রামের মজিদ মিয়ার বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি ঘর, শৌচাগার ও গাছপালা নদীতে চলে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।’
ঘিওর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৫০ টন ওজনের ধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ক্রেন আনা হয়েছিল কিন্তু তা দিয়ে কাজ করা সম্ভব হয়নি। পরে এলজিইডি দপ্তর থেকে নতুন করে চেইন কপ্পার মাধ্যমে পুনঃস্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। আমার ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের পরিবর্তে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, ‘ঘিওর কুস্তা বেইলি ব্রিজের গার্ডারের কাছ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় দেখতে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। দ্রুত ব্রিজটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এক-দুই দিনের মধ্যে ব্রিজ সংস্কার কাজ শেষ হবে। ব্রিজটিকে রক্ষা করতে এরই মধ্যে দুই পাড়ে ব্রিজের গাইড ওয়ালসহ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘ইছামতী নদীটি খালের মতো সরু। এর উৎস মুখে খনন করায় পানি প্রবাহ বেড়েছে। এতে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সাড়ে আট হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু হয়েছে। আর বেইলী ব্রিজ রক্ষায় গাইড ওয়ালসহ জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পানির প্রবাহ কমে গেলে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’
অহিংস গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি টিম
৩৯ মিনিট আগেজামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হক। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান এবং এরপরই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন
১ ঘণ্টা আগেঅবশেষে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দাবাদ নামক একটি জাহাজ পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন যাবে
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়নবিষয়ক সম্পাদক ইমন খান জীবনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়
১ ঘণ্টা আগে