Ajker Patrika

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৫৫৫ জনকে আসামি করে মামলা

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি 
পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৫৫৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাব্বি মোরসালিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম আজকের পত্রিকাকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় ১০৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৪৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাফায়েত গাজী (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওসি বলেন, গতকাল রোববার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা—এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ বন্ধ করতে গেলে বাগ্‌বিতণ্ডা বাধে। তখন আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে একজনকে আটক করলে স্থানীয়রা পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।

ওসি খোরশেদ আরও বলেন, এসআই রাব্বি মোরসালিন এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪৫০ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের লিফলেট বিতরণ বন্ধ করতে গেলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে পুলিশ। এ সময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় সাফায়েত গাজী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে এক পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে স্থানীয়রা।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে নেন। তার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সাঁজোয়া যান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে অবস্থান করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও একজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে—এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে উত্তেজিত জনতাকে বুঝিয়ে সেই পুলিশ সদস্যকে ছাড়িয়ে ওসির কাছে পৌঁছে দিই। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত