বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে পারেননি কৃষ্ণার মা, অন্য গ্রামে দেখেছেন বাবা

কে এম মিঠু, গোপালপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬: ২৪
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭: ৫৪

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গতকাল সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে জোড়া গোল করেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার। এ নিয়ে গতকাল থেকে সারা দেশের মতো তাঁর গ্রামেও চলছে জয়োল্লাস।

কিন্তু মেয়ের খেলা দেখতে পারেননি তাঁর মা নমিতা রানী। খেলা শেষে ছেলে পলাশ সরকারের মোবাইল ফোনে জয়ের কথা জেনে আনন্দিত হয়েছেন তিনি। বাবা খেলা দেখেছেন পাশের গ্রামে।

বাংলাদেশ নারী ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকারটাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর পাথালিয়া গ্রামের বাসুদেব সরকার চন্দ্র-নমিতা রানী সরকার দম্পতির মেয়ে কৃষ্ণা রানী সরকার। এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছোট-বড় সবার মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। নিভৃত পল্লিগ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে খেলার খবর। সবাই গর্ব করে বলে বেড়াচ্ছেন, ‘তিন গোলের মধ্যে দুই গোলই করেছে আমাদের কৃষ্ণা!’

কৃষ্ণার গ্রামে গিয়ে কথা হয় তাঁর পরিবারের সঙ্গে। তাঁর মা নমিতা রানী সরকার বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে পারিনি। খেলা শেষে ছেলের মোবাইল ফোনে জয়ের কথা জেনে খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমার মেয়ের ফুটবল খেলা নিয়ে যারা একসময় কটাক্ষ করত, তারাই এখন অভিনন্দন জানাচ্ছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’

কৃষ্ণা রানী সরকারের বাড়িকৃষ্ণার বাবা বাসুদেব সরকার বলেন, ‘বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় পাশের গ্রামে গিয়ে খেলা দেখে দারুণ খুশি হয়েছি। এলাকার মানুষ খেলা উপভোগ করেছে। অনেকেই আনন্দে বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে আসছে।’

বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে বিদ্যুতের ইউনিট কম পাওয়া যায়। তাই মাঝে মাঝে এলাকাভিত্তিক সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। সে কারণে হয়তো ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।’

কৃষ্ণা রানীর অর্জন করা মেডেলউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ মল্লিক বলেন, ‘কৃষ্ণা এখন বাংলাদেশের গর্ব। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তাঁর উত্থান শুরু। দেশে ফেরার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এর আগে কৃষ্ণার মাকে রত্নগর্ভা সম্মাননা দিয়েছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত