স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যা: শেখ সেলিমসহ ১১৭ জনের নামে মামলা 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ২৮
Thumbnail image

পাঁচ দিন পর গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ ১১৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৪-১৫ শ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

আসামিরা হলেন–বিজিএমইএর সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাবেক সভানেত্রী নাজমা আক্তার, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লে কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খানের মেয়ে কানতার খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম। 

এ ছাড়া মুকসুদপুর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১১৭ জন। এর মধ্যে ১ নম্বর থেকে ৩০ নম্বর পর্যন্ত ব্যক্তিকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। 

মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী স্ত্রী–সন্তানসহ বাবা–মার কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ নেতা-কর্মীদের গাড়ির বহর ছিল। বহরে শওকত আলী দিদারও ছিলেন। 

বহরটি বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরপাথালিয়া এলাকায় পৌঁছা মাত্র আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে গাড়িবহরের লোকজন প্রাণভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র টেটা, রামদা, বল্লাম, চাইনিজ কুড়াল, ধারালো ছোরা ও লাঠি সোঁটা দিয়ে মারপিট শুরু করে। এ সময় শওকত আলী দিদারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠি ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে মহাসড়কের ঢালে ফেলে রাখে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত