আঙুলে ‘মেহেদী পরায়’ ভোট দিতে পারেননি এক নারী ভোটার

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ০১
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ৫৭

আঙুলে মেহেদী পরার কারণে ভোট দিতে ব্যর্থ হয়েছেন শেলিনা আক্তার নামে এক নারী ভোটার। ইভিএমএ মেশিনে আঙুলের ছাপ না ওঠায় এ নারীর ভোট নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। 

আজ সোমবার মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচনে শিবালয় উপজেলার একমাত্র ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নারী ভোটার শেলিনা আক্তার শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য। 

জানা গেছে, জেলা পরিষদের নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রে আসেন শেলিনা। এ সময় তাঁর ডান হাতের আঙুলের ছাপ নিলেও বাম হাতের আঙুলের ছাপ মেশিনে নেয়নি। ভোট গ্রহণে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা কয়েক দফা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর পুনরায় চেষ্টা করলেও ইভিএম মেশিন তাঁর আঙুলের ছাপ নিতে পারেননি। 

শেলিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার এক হাতে আঙুলের ছাপ মেশিনে নিলেও অন্য হাতের আঙুলে মেহেদী থাকার কারণে ছাপ নেয়নি। আমি মেম্বার এটা সবাই জানে। আমার ভোটার আইডি কার্ড আছে। ইভিএম মেশিনের কারণে ভোট দিতে পারলাম না।’ এরপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ভোট কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান তিনি। 

মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘হাতের আঙুলের ছাপ মেশিনে না নিলে কোনো ভাবেই ভোট নেওয়া সম্ভব না। ওই নারী ভোটার তাঁর আঙুলে মেহেদীর কেমিক্যাল রং ব্যবহার করেছেন। যে কারণে তাঁর আঙুলের ছাপ মেশিনে নেয়নি। আঙুলের ছাপ না নেওয়ায় তাঁর ভোট প্রদানের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই।’ 

উল্লেখ্য, সারা দেশের ন্যায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে শিবালয় উপজেলায় দুজন পুরুষ সদস্য, চারজন সংরক্ষিত নারী সদস্যা এবং চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় মোট ভোটের সংখ্যা ৯৪ জন থাকলেও উলাইল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আজাহারুল ইসলাম লালনের মৃত্যুতে একটি ভোট কমে যায়। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত