Ajker Patrika

রাজৈরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৪, ১৮: ৩০
রাজৈরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মাদারীপুরের রাজৈরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর প্রতিবাদে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা।

আজ বুধবার দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে এই ঘটনা ঘটেছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের দুপাশে গড়ে উঠে অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা। এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন রাজৈর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম।

কোনো নোটিশ ছাড়া এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করার অভিযোগ এনে দখলদাররা প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করেন। এ সময় মহাসড়কের দুপাশে কয়েকশ যানবাহন আটকে পড়ে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা। খবর পেয়ে রাজৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, কোনো নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে প্রায় ৫০টি দোকান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে তাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: সংগৃহীতসহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানটি রোড অ্যান্ড হাইওয়ের। আমি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।’

মাদারীপুর জেলা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগেই আমরা মাইকিং করেছি। প্রতি ঈদের আগেই মহাসড়কের যানজট কমাতেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। এটা আমাদের নিয়মিত কাজ।’

অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ছবি: সংগৃহীতমাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, স্থানীয় বেশ কিছু ব্যক্তি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুপাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন। এতে একদিকে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়, অন্যদিকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। পরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। উচ্ছেদ করা হলে বিক্ষুব্ধরা সড়ক অবরোধ করে। পরে প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত