তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা অচল। ট্রাফিক পুলিশ মোড়গুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেন দূর অতীতের হাতের ইশারা পদ্ধতিতে। স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা আবার চালু করতে গত প্রায় দুই দশকে ২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের পরও চিত্র একই রয়ে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে নগরবাসীর মনে আশা জাগিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গত বছর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে ২২টি মোড়ে দেশীয় প্রযুক্তির ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুরুতে চারটি মোড়ে সিগন্যাল বসানোর যে পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়, গত পাঁচ মাসেও এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হয়নি।
স্থানীয় প্রযুক্তির সিগন্যাল বাতি তৈরি ও স্থাপনের কাজটি করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। শিক্ষা ভবনসংলগ্ন হাইকোর্ট মোড় থেকে ফার্মগেট-মহাখালী হয়ে উত্তরার আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কে এ সিগন্যাল স্থাপন করার কথা। শুরুতে রাজধানীর চারটি মোড়–ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল, বাংলামোটর, সোনারগাঁও হোটেল ও ফার্মগেটে ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষামূলক এ উদ্যোগ সফল হলে পর্যায়ক্রমে ২২টি মোড়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে। পাইলট প্রকল্পটি ভালোভাবে চলছে কি না, তা ছয় মাস পর্যবেক্ষণ করে আওতা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এখনো কাজ শুরুই হয়নি।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে ফার্মগেট মোড় পর্যন্ত পথে গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে কোথাও ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানোর দৃশ্যমান কাজ চোখে পড়েনি। এ পথের মোড়গুলোর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নতুন কোনো ধরনের স্থাপনা বা সরঞ্জাম দেখা যায়নি। তবে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) রাজীব খাদেম কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলামোটর আর ইন্টারকন্টিনেন্টালে কাজ শুরু করেছি। পোল বসানোর জন্য ফাউন্ডেশনের কাজ চলছে। ঈদের বন্ধ পড়ে যাওয়ায় এখন শ্রমিক পাওয়া যাবে না। ফলে ১৫-২০ দিন কাজ বন্ধ থাকবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, কবে থেকে কাজ শুরু বা শেষ হবে।’
প্রকল্পটির নেতৃত্বে রয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। এতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বুয়েট। সিটি করপোরেশন হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন ও ডিটিসিএর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব কাজে ধীরগতির কারণ। এ ছাড়া সরকারি ক্রয়ের বিধিমালার (পিপিআর) কারণে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে।
আমরা নকশা দিয়ে দিয়েছি। এখন পূর্ত কাজের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তারা সেগুলো করতে পারেনি। নর্থ সিটি প্রারম্ভিক পেমেন্ট করতে পেরেছে, কিন্তু সাউথ সিটি তা-ও পারেনি। সব মিলিয়ে একটু দেরি হচ্ছে। তবে পরামর্শক হিসেবে আমরা রেডি আছি। অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিবহন বিশেষজ্ঞ
পুরকৌশল বিভাগ, বুয়েট পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা নকশা দিয়ে দিয়েছি। এখন পূর্ত কাজের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তারা সেগুলো করতে পারেনি। নর্থ সিটি প্রারম্ভিক পেমেন্ট করতে পেরেছে, কিন্তু সাউথ সিটি তা–ও পারেনি। সব মিলিয়ে একটু দেরি হচ্ছে। তবে পরামর্শক হিসেবে আমরা রেডি আছি। স্ট্রাকচারগুলো বুঝিয়ে দিলে সিগন্যালিং সিস্টেম দাঁড় করাতে আমাদের ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে।’
ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব আসায় এক সপ্তাহ কাজ বন্ধ ছিল। এরপর সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছিল, ২৩ বা ২৪ তারিখে পূর্ত কাজগুলো করে দেওয়া হবে। কাজের আপডেট জানার জন্য আবার চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আমি এগুলো মনিটর করছি।’
বুয়েট সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পিত ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থায় স্থানীয় প্রযুক্তিতে কন্ট্রোলার ও বাতি তৈরি করা হবে। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ বক্সের মতো স্থাপনা হবে। এর দোতলায় কন্ট্রোলার ও দুজন অপারেটর থাকবেন। এ ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় ও হাতে (ম্যানুয়ালি) দুভাবেই চালানো যাবে। বুয়েটের তৈরি কন্ট্রোলারসহ বাতির জন্য খরচ লাগবে প্রতি মোড়ের জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা। এর বাইরে থাকবে পূর্ত কাজের খরচ।
প্রসঙ্গত, ঢাকার বড় সড়কের সংযোগগুলোতে মোট ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে ১১০টি। তবে এগুলোর কোনোটিই কাজ করে না।
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা অচল। ট্রাফিক পুলিশ মোড়গুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেন দূর অতীতের হাতের ইশারা পদ্ধতিতে। স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা আবার চালু করতে গত প্রায় দুই দশকে ২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের পরও চিত্র একই রয়ে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে নগরবাসীর মনে আশা জাগিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গত বছর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে ২২টি মোড়ে দেশীয় প্রযুক্তির ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুরুতে চারটি মোড়ে সিগন্যাল বসানোর যে পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়, গত পাঁচ মাসেও এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হয়নি।
স্থানীয় প্রযুক্তির সিগন্যাল বাতি তৈরি ও স্থাপনের কাজটি করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। শিক্ষা ভবনসংলগ্ন হাইকোর্ট মোড় থেকে ফার্মগেট-মহাখালী হয়ে উত্তরার আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কে এ সিগন্যাল স্থাপন করার কথা। শুরুতে রাজধানীর চারটি মোড়–ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল, বাংলামোটর, সোনারগাঁও হোটেল ও ফার্মগেটে ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষামূলক এ উদ্যোগ সফল হলে পর্যায়ক্রমে ২২টি মোড়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে। পাইলট প্রকল্পটি ভালোভাবে চলছে কি না, তা ছয় মাস পর্যবেক্ষণ করে আওতা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এখনো কাজ শুরুই হয়নি।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে ফার্মগেট মোড় পর্যন্ত পথে গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে কোথাও ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানোর দৃশ্যমান কাজ চোখে পড়েনি। এ পথের মোড়গুলোর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নতুন কোনো ধরনের স্থাপনা বা সরঞ্জাম দেখা যায়নি। তবে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) রাজীব খাদেম কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলামোটর আর ইন্টারকন্টিনেন্টালে কাজ শুরু করেছি। পোল বসানোর জন্য ফাউন্ডেশনের কাজ চলছে। ঈদের বন্ধ পড়ে যাওয়ায় এখন শ্রমিক পাওয়া যাবে না। ফলে ১৫-২০ দিন কাজ বন্ধ থাকবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, কবে থেকে কাজ শুরু বা শেষ হবে।’
প্রকল্পটির নেতৃত্বে রয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। এতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বুয়েট। সিটি করপোরেশন হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন ও ডিটিসিএর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব কাজে ধীরগতির কারণ। এ ছাড়া সরকারি ক্রয়ের বিধিমালার (পিপিআর) কারণে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে।
আমরা নকশা দিয়ে দিয়েছি। এখন পূর্ত কাজের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তারা সেগুলো করতে পারেনি। নর্থ সিটি প্রারম্ভিক পেমেন্ট করতে পেরেছে, কিন্তু সাউথ সিটি তা-ও পারেনি। সব মিলিয়ে একটু দেরি হচ্ছে। তবে পরামর্শক হিসেবে আমরা রেডি আছি। অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিবহন বিশেষজ্ঞ
পুরকৌশল বিভাগ, বুয়েট পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা নকশা দিয়ে দিয়েছি। এখন পূর্ত কাজের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তারা সেগুলো করতে পারেনি। নর্থ সিটি প্রারম্ভিক পেমেন্ট করতে পেরেছে, কিন্তু সাউথ সিটি তা–ও পারেনি। সব মিলিয়ে একটু দেরি হচ্ছে। তবে পরামর্শক হিসেবে আমরা রেডি আছি। স্ট্রাকচারগুলো বুঝিয়ে দিলে সিগন্যালিং সিস্টেম দাঁড় করাতে আমাদের ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে।’
ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব আসায় এক সপ্তাহ কাজ বন্ধ ছিল। এরপর সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছিল, ২৩ বা ২৪ তারিখে পূর্ত কাজগুলো করে দেওয়া হবে। কাজের আপডেট জানার জন্য আবার চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আমি এগুলো মনিটর করছি।’
বুয়েট সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পিত ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থায় স্থানীয় প্রযুক্তিতে কন্ট্রোলার ও বাতি তৈরি করা হবে। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ বক্সের মতো স্থাপনা হবে। এর দোতলায় কন্ট্রোলার ও দুজন অপারেটর থাকবেন। এ ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় ও হাতে (ম্যানুয়ালি) দুভাবেই চালানো যাবে। বুয়েটের তৈরি কন্ট্রোলারসহ বাতির জন্য খরচ লাগবে প্রতি মোড়ের জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা। এর বাইরে থাকবে পূর্ত কাজের খরচ।
প্রসঙ্গত, ঢাকার বড় সড়কের সংযোগগুলোতে মোট ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে ১১০টি। তবে এগুলোর কোনোটিই কাজ করে না।
ক্ষমতার দৃশ্যপটে নেই আওয়ামী লীগ। তবে এখনো বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নিয়ন্ত্রণ করছে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, কৃষি উপকরণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানটির অধিকাংশ ডিলার সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়। গত ৫ আগস্টের পর ওই সিন্ডিকেটের বাইরে গুদাম থেকে কোনো ডিলার ধানবীজ উত
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ও কমপ্লেক্সের ওপর চোখ পড়েছে ‘মুসল্লী পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের। উন্নয়নের নামে মসজিদের জমি লিখে নেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। আর এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে অস্থায়ী চাকরিতে সেলিম শেখ ঢুকেছিলেন ১৯৯৭ সালে। এখনো তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়নি। চোখের সামনে তিনি দেখেছেন, কয়েকজনের চাকরি স্থায়ী হয়ে গেছে আদালতের আদেশে। কিন্তু তিনিসহ ৬৭ জনের চাকরি স্থায়ী হয়নি। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জনের চাকরি স্থায়ী করার জন্য আদালতের আদেশ থাকলেও তা আমলে নেয়নি বোর্ড। চাকর
৩ ঘণ্টা আগে