রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকার ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লেখা একটি সাইনবোর্ডে। ভেতরে প্রবেশ করে কথা বলে অনাথ শিশুদের সঙ্গে। কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা।
এরপর নিজ দেশে যান প্যাট্রিসিয়া এ্যান। সেখানে গিয়ে তার স্বজন ও বন্ধুদের কাছে আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য সহযোগিতা চান। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামের প্রতিষ্ঠানকে। এতেও প্রশান্তি পাননি তিনি। নিজেই আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এর পর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লী প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
এ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশে হাজারো অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। এমনকি স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। মানব সেবায় হাতকে আরও প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ এই নারী। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পান তিনি।
আশি বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার এর বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা সব সময় মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। বাবা চাকরির বাইরে যতটুকু সময় পেতেন সবটুকুই মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন। বাবার এ সকল কাজ আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করত। তা থেকেই আমার অসহায় আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার আগ্রহ হয়। ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অর্থনৈতিক সহায়তা করতে শুরু করি। শুধু আমার বাবার টাকা নয়, আমার দেশের বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা এনে তাদের সহযোগিতা করতে থাকি। তারপর আমি মনস্থির করি আমি নিজে কিছু করব।’
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার বলেন, ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শ্রীপুরে শিশুপল্লী প্লাস নামে প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয় একের পর এক ভবন। মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনাথ, আশ্রয়হীন শিশুদের আশ্রয় দেওয়া শুরু হয়। তাদের খাওয়া, চিকিৎসা ও পড়াশোনা বাসস্থানসহ সকল ব্যবস্থা করা হয় নিজস্ব অর্থায়নে।
‘যখন আমি দেখলাম একটি অসহায় মা তার একমাত্র শিশু সন্তানটিকে আমার কাছে রেখে সেও অসহায়ত্ব বোধ করছে। এই চিন্তা থেকে আমি শুরু করি স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা একেবারে হতদরিদ্র মায়েদের জন্য কিছু করা। তাঁদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভবিষ্যতের জন্য ৩ বছর মেয়াদি নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১ হাজার ৬০০ টাকা জমা করা। এ ছাড়াও প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য দেওয়া হয় ৬০০ টাকা।’ বলেন, ব্রিটিশ এই নারী।
এ ছাড়াও তাদের থাকা খাওয়া জামাকাপড় সবই বহন করেন প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। তিনি আরও জানান, ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়। মেয়েদের সন্তান প্রসবের সময় এটাই মায়ের বাড়ি মনে করে ওরা চলে আসে। তার জন্যও আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে।
শিশুপল্লী প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব বলেন, শিশুপল্লী প্লাসে বর্তমানে ৪৬৭ জন অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু এবং মা রয়েছে। শিশুদের ক্লাস ওয়ান থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পাঠদান করানো হয়। এরপর ১৮ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব সবই হয় শিশুপল্লী প্লাসে।
তিনি আরও বলেন, মায়েদের জন্য খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের সেলাই, কৃষি এবং কুঠির শিল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হয়। শিশুপল্লী প্লাসে শিক্ষক, প্রশিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে শতাধিক জনবলসহ অসংখ্য মাঠকর্মী রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উৎসবে জড়ো হয় শিশুপল্লী প্লাসের সাবেক শিশু ও মায়েরা। ঈদ, পূজা সব অনুষ্ঠানেই তাঁদের সরব উপস্থিতি। এখানে বিভিন্ন ধর্মের আরাধনা করার জন্য রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ অনন্য উপাসনালয়।

ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকার ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লেখা একটি সাইনবোর্ডে। ভেতরে প্রবেশ করে কথা বলে অনাথ শিশুদের সঙ্গে। কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা।
এরপর নিজ দেশে যান প্যাট্রিসিয়া এ্যান। সেখানে গিয়ে তার স্বজন ও বন্ধুদের কাছে আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য সহযোগিতা চান। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামের প্রতিষ্ঠানকে। এতেও প্রশান্তি পাননি তিনি। নিজেই আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এর পর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লী প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
এ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশে হাজারো অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। এমনকি স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। মানব সেবায় হাতকে আরও প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ এই নারী। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পান তিনি।
আশি বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার এর বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা সব সময় মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। বাবা চাকরির বাইরে যতটুকু সময় পেতেন সবটুকুই মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন। বাবার এ সকল কাজ আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করত। তা থেকেই আমার অসহায় আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার আগ্রহ হয়। ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অর্থনৈতিক সহায়তা করতে শুরু করি। শুধু আমার বাবার টাকা নয়, আমার দেশের বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা এনে তাদের সহযোগিতা করতে থাকি। তারপর আমি মনস্থির করি আমি নিজে কিছু করব।’
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার বলেন, ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শ্রীপুরে শিশুপল্লী প্লাস নামে প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয় একের পর এক ভবন। মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনাথ, আশ্রয়হীন শিশুদের আশ্রয় দেওয়া শুরু হয়। তাদের খাওয়া, চিকিৎসা ও পড়াশোনা বাসস্থানসহ সকল ব্যবস্থা করা হয় নিজস্ব অর্থায়নে।
‘যখন আমি দেখলাম একটি অসহায় মা তার একমাত্র শিশু সন্তানটিকে আমার কাছে রেখে সেও অসহায়ত্ব বোধ করছে। এই চিন্তা থেকে আমি শুরু করি স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা একেবারে হতদরিদ্র মায়েদের জন্য কিছু করা। তাঁদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভবিষ্যতের জন্য ৩ বছর মেয়াদি নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১ হাজার ৬০০ টাকা জমা করা। এ ছাড়াও প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য দেওয়া হয় ৬০০ টাকা।’ বলেন, ব্রিটিশ এই নারী।
এ ছাড়াও তাদের থাকা খাওয়া জামাকাপড় সবই বহন করেন প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। তিনি আরও জানান, ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়। মেয়েদের সন্তান প্রসবের সময় এটাই মায়ের বাড়ি মনে করে ওরা চলে আসে। তার জন্যও আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে।
শিশুপল্লী প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব বলেন, শিশুপল্লী প্লাসে বর্তমানে ৪৬৭ জন অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু এবং মা রয়েছে। শিশুদের ক্লাস ওয়ান থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পাঠদান করানো হয়। এরপর ১৮ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব সবই হয় শিশুপল্লী প্লাসে।
তিনি আরও বলেন, মায়েদের জন্য খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের সেলাই, কৃষি এবং কুঠির শিল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হয়। শিশুপল্লী প্লাসে শিক্ষক, প্রশিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে শতাধিক জনবলসহ অসংখ্য মাঠকর্মী রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উৎসবে জড়ো হয় শিশুপল্লী প্লাসের সাবেক শিশু ও মায়েরা। ঈদ, পূজা সব অনুষ্ঠানেই তাঁদের সরব উপস্থিতি। এখানে বিভিন্ন ধর্মের আরাধনা করার জন্য রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ অনন্য উপাসনালয়।
রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকার ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লেখা একটি সাইনবোর্ডে। ভেতরে প্রবেশ করে কথা বলে অনাথ শিশুদের সঙ্গে। কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা।
এরপর নিজ দেশে যান প্যাট্রিসিয়া এ্যান। সেখানে গিয়ে তার স্বজন ও বন্ধুদের কাছে আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য সহযোগিতা চান। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামের প্রতিষ্ঠানকে। এতেও প্রশান্তি পাননি তিনি। নিজেই আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এর পর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লী প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
এ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশে হাজারো অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। এমনকি স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। মানব সেবায় হাতকে আরও প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ এই নারী। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পান তিনি।
আশি বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার এর বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা সব সময় মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। বাবা চাকরির বাইরে যতটুকু সময় পেতেন সবটুকুই মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন। বাবার এ সকল কাজ আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করত। তা থেকেই আমার অসহায় আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার আগ্রহ হয়। ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অর্থনৈতিক সহায়তা করতে শুরু করি। শুধু আমার বাবার টাকা নয়, আমার দেশের বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা এনে তাদের সহযোগিতা করতে থাকি। তারপর আমি মনস্থির করি আমি নিজে কিছু করব।’
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার বলেন, ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শ্রীপুরে শিশুপল্লী প্লাস নামে প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয় একের পর এক ভবন। মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনাথ, আশ্রয়হীন শিশুদের আশ্রয় দেওয়া শুরু হয়। তাদের খাওয়া, চিকিৎসা ও পড়াশোনা বাসস্থানসহ সকল ব্যবস্থা করা হয় নিজস্ব অর্থায়নে।
‘যখন আমি দেখলাম একটি অসহায় মা তার একমাত্র শিশু সন্তানটিকে আমার কাছে রেখে সেও অসহায়ত্ব বোধ করছে। এই চিন্তা থেকে আমি শুরু করি স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা একেবারে হতদরিদ্র মায়েদের জন্য কিছু করা। তাঁদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভবিষ্যতের জন্য ৩ বছর মেয়াদি নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১ হাজার ৬০০ টাকা জমা করা। এ ছাড়াও প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য দেওয়া হয় ৬০০ টাকা।’ বলেন, ব্রিটিশ এই নারী।
এ ছাড়াও তাদের থাকা খাওয়া জামাকাপড় সবই বহন করেন প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। তিনি আরও জানান, ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়। মেয়েদের সন্তান প্রসবের সময় এটাই মায়ের বাড়ি মনে করে ওরা চলে আসে। তার জন্যও আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে।
শিশুপল্লী প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব বলেন, শিশুপল্লী প্লাসে বর্তমানে ৪৬৭ জন অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু এবং মা রয়েছে। শিশুদের ক্লাস ওয়ান থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পাঠদান করানো হয়। এরপর ১৮ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব সবই হয় শিশুপল্লী প্লাসে।
তিনি আরও বলেন, মায়েদের জন্য খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের সেলাই, কৃষি এবং কুঠির শিল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হয়। শিশুপল্লী প্লাসে শিক্ষক, প্রশিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে শতাধিক জনবলসহ অসংখ্য মাঠকর্মী রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উৎসবে জড়ো হয় শিশুপল্লী প্লাসের সাবেক শিশু ও মায়েরা। ঈদ, পূজা সব অনুষ্ঠানেই তাঁদের সরব উপস্থিতি। এখানে বিভিন্ন ধর্মের আরাধনা করার জন্য রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ অনন্য উপাসনালয়।

ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকার ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লেখা একটি সাইনবোর্ডে। ভেতরে প্রবেশ করে কথা বলে অনাথ শিশুদের সঙ্গে। কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা।
এরপর নিজ দেশে যান প্যাট্রিসিয়া এ্যান। সেখানে গিয়ে তার স্বজন ও বন্ধুদের কাছে আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য সহযোগিতা চান। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামের প্রতিষ্ঠানকে। এতেও প্রশান্তি পাননি তিনি। নিজেই আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এর পর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লী প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
এ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশে হাজারো অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। এমনকি স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। মানব সেবায় হাতকে আরও প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ এই নারী। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পান তিনি।
আশি বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার এর বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা সব সময় মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। বাবা চাকরির বাইরে যতটুকু সময় পেতেন সবটুকুই মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন। বাবার এ সকল কাজ আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করত। তা থেকেই আমার অসহায় আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার আগ্রহ হয়। ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অর্থনৈতিক সহায়তা করতে শুরু করি। শুধু আমার বাবার টাকা নয়, আমার দেশের বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা এনে তাদের সহযোগিতা করতে থাকি। তারপর আমি মনস্থির করি আমি নিজে কিছু করব।’
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার বলেন, ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শ্রীপুরে শিশুপল্লী প্লাস নামে প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয় একের পর এক ভবন। মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনাথ, আশ্রয়হীন শিশুদের আশ্রয় দেওয়া শুরু হয়। তাদের খাওয়া, চিকিৎসা ও পড়াশোনা বাসস্থানসহ সকল ব্যবস্থা করা হয় নিজস্ব অর্থায়নে।
‘যখন আমি দেখলাম একটি অসহায় মা তার একমাত্র শিশু সন্তানটিকে আমার কাছে রেখে সেও অসহায়ত্ব বোধ করছে। এই চিন্তা থেকে আমি শুরু করি স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা একেবারে হতদরিদ্র মায়েদের জন্য কিছু করা। তাঁদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভবিষ্যতের জন্য ৩ বছর মেয়াদি নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১ হাজার ৬০০ টাকা জমা করা। এ ছাড়াও প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য দেওয়া হয় ৬০০ টাকা।’ বলেন, ব্রিটিশ এই নারী।
এ ছাড়াও তাদের থাকা খাওয়া জামাকাপড় সবই বহন করেন প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। তিনি আরও জানান, ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়। মেয়েদের সন্তান প্রসবের সময় এটাই মায়ের বাড়ি মনে করে ওরা চলে আসে। তার জন্যও আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে।
শিশুপল্লী প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব বলেন, শিশুপল্লী প্লাসে বর্তমানে ৪৬৭ জন অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু এবং মা রয়েছে। শিশুদের ক্লাস ওয়ান থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পাঠদান করানো হয়। এরপর ১৮ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব সবই হয় শিশুপল্লী প্লাসে।
তিনি আরও বলেন, মায়েদের জন্য খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের সেলাই, কৃষি এবং কুঠির শিল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হয়। শিশুপল্লী প্লাসে শিক্ষক, প্রশিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে শতাধিক জনবলসহ অসংখ্য মাঠকর্মী রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উৎসবে জড়ো হয় শিশুপল্লী প্লাসের সাবেক শিশু ও মায়েরা। ঈদ, পূজা সব অনুষ্ঠানেই তাঁদের সরব উপস্থিতি। এখানে বিভিন্ন ধর্মের আরাধনা করার জন্য রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ অনন্য উপাসনালয়।

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই শিশুসন্তান।
বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শাতংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আগুনে আয়েশা বেগম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই শিশুসন্তান।
বেলাল হোসেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ দুই শিশু বীথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ শিশুদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দৃর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা দগ্ধ হয়ে মারা যায়। দগ্ধ হন বেলাল হোসেন এবং তাঁর আরও দুই মেয়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস বলেন, এক শিশুকে মৃত এবং অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল বলেন, বেলাল হোসেনের শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দুই শিশুর শরীর ৭০ থেকে ৮০ শাতংশ পুড়ে গেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ। তবে আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিতভাবে নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকা
১২ অক্টোবর ২০২৩
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন (২২) এবং শহরের পিয়ারাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪৫)। নিহত ব্যক্তিরা সম্পর্কে খালা ও ভাগনে ছিলেন। তাঁরা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বিকেলে লালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ঈশ্বরদী শহরে আসছিল। অটোরিকশাটি শহরের স্কুলপাড়ার মহাসড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিব হোসেন (২২) এবং শহরের পিয়ারাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম (৪৫)। নিহত ব্যক্তিরা সম্পর্কে খালা ও ভাগনে ছিলেন। তাঁরা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল বিকেলে লালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ঈশ্বরদী শহরে আসছিল। অটোরিকশাটি শহরের স্কুলপাড়ার মহাসড়কে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশার দুই যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অটোরিকশার চালক পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকা
১২ অক্টোবর ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় হাদি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
এনসিপির শরীয়তপুর জেলার সদস্যসচিব সবুজ তালুকদার বলেন, ‘হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক কণ্ঠরোধের ধারাবাহিকতারই অংশ এই হত্যাকাণ্ড। দিনদুপুরে খুনিরা গুলি করে কীভাবে পালিয়ে গেল? এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও খুনিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অবিলম্বে এই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আমিন মোহাম্মদ জিতু বলেন, ‘এটি শুধু একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড নয়, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এই হত্যার বিচার না হলে তরুণ সমাজ রাজপথে আবারও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
বিক্ষোভে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকা
১২ অক্টোবর ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেআবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকা
১২ অক্টোবর ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামের এক বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চরমনসা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরের স্কুলপাড়ায় ঈশ্বরদী-লালপুর-বাঘা-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জেলা শহরে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে