জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদের দুটি হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে ২০ জন ছাত্র আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রফিক-জব্বার হল ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের শিক্ষার্থীরা এতে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার ইতিহাস বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র কাজী মহিউদ্দীন মিরাজ ও তাঁর বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে ইংরেজি বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র মো. রাফি ও তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী মিরাজের বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করেন। পরে গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় মিরাজ তাঁর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের বন্ধুদের নিয়ে রাফিকে দুই হলের মধ্যবর্তী রবীন্দ্র চত্বরে ডাকেন। এ সময় রাফিকে তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধুদেরও ডাকতে বলেন মিরাজ। পরে রাফি তাঁর হলের বন্ধুদের ডাকেন।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন—বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের রবি, শাফায়াত, নিরব এবং শহীদ রফিক-জব্বার হলের সাকিব, ইশতিয়াক, নিশাত ও জাহিদ। তবে বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের মধ্যে ছয়-সাতজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রাফির বন্ধুরা এলে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে দুই হলের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মীমাংসা করে দেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি পটকা ফোটানোর শব্দ শোনা যায়।
ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে কাজী মহিউদ্দিন মিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বুধবার রাতে রফিক-জব্বার হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করে। গতকাল রাতে তাদের মধ্যে রাফি নামের একজনকে হলের বন্ধুদের সঙ্গে রবীন্দ্র চত্বরে দেখতে পাই। এ সময় উত্ত্যক্তের ঘটনার কথা জানতে চাইলে, রফিক-জব্বার হলের কয়েকজনের সঙ্গে আমাদের হলের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল) কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। পরে দুই হলের সিনিয়ররা এসে বিষয়টি সমাধান করে দেন। কিন্তু হঠাৎ রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে জানতে রাফির মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের উপপ্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা আবু জাফর সালেহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই হলের সংঘর্ষ চলাকালীন কয়েক দফায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছয়-সাতজনের অবস্থা গুরুতর। এর মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আজ শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে উভয় হলের দায়িত্বরত শিক্ষক, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা শাখার কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় উভয় হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রনি হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই হলের প্রাধ্যক্ষদের ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তবে এ ঘটনায় আমরা একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দেব। এ ছাড়া এ ঘটনার অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে অধিকতর তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা হলে আনা হয়েছে। তাই যারা ছাত্রসুলভ আচরণ করছে না, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিচার করা হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদের দুটি হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে ২০ জন ছাত্র আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রফিক-জব্বার হল ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের শিক্ষার্থীরা এতে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার ইতিহাস বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র কাজী মহিউদ্দীন মিরাজ ও তাঁর বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখানে ইংরেজি বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র মো. রাফি ও তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী মিরাজের বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করেন। পরে গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় মিরাজ তাঁর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের বন্ধুদের নিয়ে রাফিকে দুই হলের মধ্যবর্তী রবীন্দ্র চত্বরে ডাকেন। এ সময় রাফিকে তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধুদেরও ডাকতে বলেন মিরাজ। পরে রাফি তাঁর হলের বন্ধুদের ডাকেন।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন—বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের রবি, শাফায়াত, নিরব এবং শহীদ রফিক-জব্বার হলের সাকিব, ইশতিয়াক, নিশাত ও জাহিদ। তবে বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের মধ্যে ছয়-সাতজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রাফির বন্ধুরা এলে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে দুই হলের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মীমাংসা করে দেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি পটকা ফোটানোর শব্দ শোনা যায়।
ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে কাজী মহিউদ্দিন মিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বুধবার রাতে রফিক-জব্বার হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করে। গতকাল রাতে তাদের মধ্যে রাফি নামের একজনকে হলের বন্ধুদের সঙ্গে রবীন্দ্র চত্বরে দেখতে পাই। এ সময় উত্ত্যক্তের ঘটনার কথা জানতে চাইলে, রফিক-জব্বার হলের কয়েকজনের সঙ্গে আমাদের হলের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল) কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। পরে দুই হলের সিনিয়ররা এসে বিষয়টি সমাধান করে দেন। কিন্তু হঠাৎ রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে জানতে রাফির মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের উপপ্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা আবু জাফর সালেহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুই হলের সংঘর্ষ চলাকালীন কয়েক দফায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছয়-সাতজনের অবস্থা গুরুতর। এর মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আজ শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে উভয় হলের দায়িত্বরত শিক্ষক, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা শাখার কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় উভয় হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রনি হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই হলের প্রাধ্যক্ষদের ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তবে এ ঘটনায় আমরা একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দেব। এ ছাড়া এ ঘটনার অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে অধিকতর তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা হলে আনা হয়েছে। তাই যারা ছাত্রসুলভ আচরণ করছে না, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিচার করা হবে।’
অভাব আর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হয়েও রহিমা আরা দোলা স্বপ্ন দেখতেন ভালোভাবে বেঁচে থাকার। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সন্তান হারানোর পর বেঁচে থাকার সেই ইচ্ছেটাও মরে যায়। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেই মনোবল হারানো দোলা আজ অনেক নারীর অনুপ্রেরণা। তিনটি জামার ডিজাইন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যব
১ ঘণ্টা আগেছোট্ট দোকান। দোকানের সামনে কোনো সাইনবোর্ড নেই। দোকানটিতে পাওয়া যায় শুধু জিলাপি আর নিমকি। প্রতিবছর রোজার দিনে দুপুরের পর থেকে রাজশাহী নগরের বাটার মোড়ের এই দোকানে জিলাপি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লেগে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেমাছির সংক্রমণ থেকে ফলসহ নানান সবজি রক্ষায় নতুন একটি পদ্ধতি এনেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর খান। দেশে প্রচলিত ট্র্যাপের মধ্যে সাধারণত লিউর ও সাবান-পানি ব্যবহৃত হয়, যার কার্যকারিতা বজায় রাখতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কৃষকেরা এটি
১ ঘণ্টা আগেবর্ষা মৌসুমে বিলে থই থই পানি। তখন পাড়ি দিতে হয় নৌকায়। এরপর হেঁটে কাদা-পানি মাড়িয়ে চলাচল কিছুদিন। আর খরা মৌসুমে বিলের মাঝখানে জেগে ওঠা ভাঙাচোরা রাস্তা। এভাবেই দুর্ভোগ সঙ্গে নিয়ে বছরের পর বছর চলাচল করছেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ।
১ ঘণ্টা আগে