শিশুর কান্না শুনে ঘরের মেঝেতে মিলল গলায় গামছা পেঁচানো মায়ের মরদেহ

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ মে ২০২৩, ০১: ০৬
Thumbnail image

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে ভাড়া বাড়ির মেঝ থেকে মোছা. মরিয়ম খাতুন নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে কোনাবাড়ির দক্ষিণ হরিনাচালার মো. ইকবাল হোসেনের বাড়ি থেকে মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকে নিহত নারীর স্বামী মো. জয়নাল পলাতক রয়েছেন।  

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আলী আশরাফ নারীর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী পালিয়েছে। ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। স্বজনদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়ার পর মামলা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়,  নিহত মরিয়ম খাতুনের (৩৩) বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার হরিপুর গ্রামে। বাবার নাম শফিজ উদ্দিন। স্বামী মো. জয়নাল আজমেরী পরিবহন গাড়ির চালক। কোনাবাড়ির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ হরিনাচালার গ্রামের মো. ইকবালের বাড়িতে থাকতেন। নিঃসন্তান এই দম্পতির চার বছর বয়সী সন্তান নুসরাত জাহান মায়াকে দত্তক নেয়। 

গত ২৬ মে রাতে তারা ভাড়া বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া মোছা. করুনা বেগম মরিয়মের মেয়ে নুসরাত জাহান মায়া শিশুটির কান্না শুনতে পেয়ে ঘরে গিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ পান। পরে দরজার সিটকানি খুলে ঘরে ঢুকে গলায় গামছা পেঁচানো মরিয়মের মরদেহ মেঝেতে পরে থাকতে দেখেন। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ যোগাযোগ করে পুলিশে খবর দেন। এ সময় নিহতে স্বামী জয়নালকে ঘরে পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত