শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে নগদ টাকায় মিলছে বাহারি দার্জিলিং কমলা। সতেজ কেমিক্যাল মুক্ত কমলা পেয়ে দারুণ খুশি ক্রেতারা। বাগানে দুই জাতের কমলা রয়েছে তবে, দার্জিলিং কমলাতে ক্রেতার ভিড়। সপ্তাহ জুড়ে চলছে বিক্রি। মানুষের এমন আগ্রহে উদ্যোক্তারাও আনন্দে আছেন।
উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে মিশ্র বাগানে চাষ করা হয়েছে দার্জিলিং কমলা ও চায়না মেন্ডারিন কমলা। চার উদ্যোক্তা মিলে মিশ্র এ ফলের বাগান গড়ে তোলেন। বাগানে অন্তত ১০ জাতের আম, ড্রাগন, বল সুন্দরী বরইসহ বেশ কিছু ফলের গাছ রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সারি করে লাগানো কমলা গাছের ফাঁক দিয়ে পায়ে হাঁটার পথ রয়েছে। তিন বছর আগে রোপণ করা কমলা গাছগুলো সবই এখন প্রাপ্তবয়স্ক। প্রায় সব গাছেই কমলা ধরেছে। এক সঙ্গে ডালে ডালে ঝুলে আছে দার্জিলিং জাতের হলুদ কাঁচা রঙের বাহারি কমলা। গাছে গাছে ঝুলছে রসে টইটুম্বুর পাকা কমলার থোকা। চায়না ম্যান্ডারিন জাতের কমলা থোকায় থোকায় ঝুলে আছে। রং ও আকার দেখে গাছ থেকে পছন্দ মতো কমলা তুলে নিচ্ছেন ক্রেতা। বাগান ঘুরে পছন্দ মতো কমলা কেনার সুযোগে ক্রেতাদের মধ্যে ভিন্ন একটা আনন্দ দেখা গেছে।
কমলা কিনতে বাগানে আসেন আল আমিন মিয়া। তিনি বলেন, ‘এটা দারুণ উদ্যোগ। কেমিক্যালমুক্ত কমলা বাগান থেকে নিজ হাতে কেনা অন্য রকম আনন্দ। একই সঙ্গে বাগানের গাছে ঝুলে থাকা দৃষ্টি নন্দন কমলা দেখারও আনন্দ আছে বেশ। এমন অভিনব পদ্ধতিতে কমলা বিক্রিতে চমৎকার সারা মিলবে আশা করছি। মানুষ কমলা চাষেও আগ্রহী হতে পারে।’
মৌসুমি সুলতানা নামে এক নারী ক্রেতা তার শিশু কন্যাকে নিয়ে বাগানে আসেন কমলা নিতে। তিনি বলেন, ‘দারুণ লাগছে বাগানে কমলা দেখে। তরতাজা রসযুক্ত কমলা হাতে নেওয়া দারুণ আনন্দের। আমার ছোট্ট মেয়ে গাছে ঝুলন্ত কমলা দেখে আনন্দিত।’
বাগান তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা মো. সবুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এ বাগানে ১০০টি দার্জিলিং কমলা ও ৫০টি চায়না ম্যান্ডারিন জাতের চারা রোপণ করা হয়। মাওলানা অলিউল্লাহ বাইজিদ, ফারুক আহমেদ, আব্দুল মতিন ও আইনুল হক মিলে গত ২০২১ সালে বাগানটি শুরু করেন। পরে তারাই এ বাগানের নাম রাখেন তাওয়াক্কালনা ফ্রুট অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেড।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এ বাগানে দুই জাতের কমলা রয়েছে। দার্জিলিং কমলা ও চায়না ম্যান্ডারিন কমলা। এ ছাড়াও বিভিন্ন জাতের আম, বল সুন্দরী বরই, সফেদা, জাম্বুরা ও ড্রাগন ফল চাষ করা হয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে বাগান থেকে কমলা বিক্রি শুরু হয়েছে। কিছু কাটিমন আম বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। দার্জিলিং কমলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।’
সবুজ মিয়া আরও বলেন, ‘বাগানে ১০০টি দার্জিলিং ও ৫০টি চায়না ম্যান্ডারিন কমলা গাছের চারা আছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ গাছে আশানুরূপ ফলন এসেছে। একেকটি দার্জিলিং জাতের কমলা ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজন হয়ে থাকে। দেখতেও দারুণ সুন্দর সজীব–সতেজ। বাগান থেকে তরতাজা কমলা কিনতে মানুষ আসছে প্রতিদিন। কিনে নিয়ে যাচ্ছে, আর বাগানের ছবি তুলছে।’
উদ্যোক্তা মাওলানা অলিউল্লাহ বাইজিদ বলেন, ‘দুই বছর আগে ১০ বছরের চুক্তিতে জমি নিয়ে এখানে বাগান করা হয়। ক্রেতাদের কাছে অরগানিক তরতাজা ফল তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই চার উদ্যোক্তা মিলে এ কাজ শুরু করি। এবারই প্রথমবার দারুণ ফলন মিলেছে। আশা করি, এ বছর অনেক কমলা বিক্রি করতে পারব। বাগানে কেউ আসলেই চার–পাঁচ কেজি করে কমলা কিনে নিচ্ছেন। ক্রেতাদের এমন সাড়া আমাদের কাজের আনন্দ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা আজকের পত্রিকা বলেন, ‘ব্যক্তি উদ্যোগে দার্জিলিং কমলা চাষে চার উদ্যোক্তা বেশ সফল। তাদের বাগানের কমলার মান চমৎকার। কমলার আকার–রং খুবই সুন্দর। তাদের এমন সাফল্য অন্যদের আগ্রহী করবে কমলা চাষে। তবে, তাদের বাগান থেকে ক্রেতা পছন্দমতো কিনতে পারবে এটা দারুণ ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এমন উদ্যোগও সবার নজর কাড়ছেন।’
তিনি বলেন, ‘শ্রীপুরে অন্তত আট হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হচ্ছে। আমাদের এ আবহাওয়াতে দার্জিলিং কমলা চাষে বেশ উপযোগী। কমলার আকার রং ও স্বাদে চমৎকার। আমার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি কমলা চাষে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে নগদ টাকায় মিলছে বাহারি দার্জিলিং কমলা। সতেজ কেমিক্যাল মুক্ত কমলা পেয়ে দারুণ খুশি ক্রেতারা। বাগানে দুই জাতের কমলা রয়েছে তবে, দার্জিলিং কমলাতে ক্রেতার ভিড়। সপ্তাহ জুড়ে চলছে বিক্রি। মানুষের এমন আগ্রহে উদ্যোক্তারাও আনন্দে আছেন।
উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামে প্রায় তিন একর জমিতে মিশ্র বাগানে চাষ করা হয়েছে দার্জিলিং কমলা ও চায়না মেন্ডারিন কমলা। চার উদ্যোক্তা মিলে মিশ্র এ ফলের বাগান গড়ে তোলেন। বাগানে অন্তত ১০ জাতের আম, ড্রাগন, বল সুন্দরী বরইসহ বেশ কিছু ফলের গাছ রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সারি করে লাগানো কমলা গাছের ফাঁক দিয়ে পায়ে হাঁটার পথ রয়েছে। তিন বছর আগে রোপণ করা কমলা গাছগুলো সবই এখন প্রাপ্তবয়স্ক। প্রায় সব গাছেই কমলা ধরেছে। এক সঙ্গে ডালে ডালে ঝুলে আছে দার্জিলিং জাতের হলুদ কাঁচা রঙের বাহারি কমলা। গাছে গাছে ঝুলছে রসে টইটুম্বুর পাকা কমলার থোকা। চায়না ম্যান্ডারিন জাতের কমলা থোকায় থোকায় ঝুলে আছে। রং ও আকার দেখে গাছ থেকে পছন্দ মতো কমলা তুলে নিচ্ছেন ক্রেতা। বাগান ঘুরে পছন্দ মতো কমলা কেনার সুযোগে ক্রেতাদের মধ্যে ভিন্ন একটা আনন্দ দেখা গেছে।
কমলা কিনতে বাগানে আসেন আল আমিন মিয়া। তিনি বলেন, ‘এটা দারুণ উদ্যোগ। কেমিক্যালমুক্ত কমলা বাগান থেকে নিজ হাতে কেনা অন্য রকম আনন্দ। একই সঙ্গে বাগানের গাছে ঝুলে থাকা দৃষ্টি নন্দন কমলা দেখারও আনন্দ আছে বেশ। এমন অভিনব পদ্ধতিতে কমলা বিক্রিতে চমৎকার সারা মিলবে আশা করছি। মানুষ কমলা চাষেও আগ্রহী হতে পারে।’
মৌসুমি সুলতানা নামে এক নারী ক্রেতা তার শিশু কন্যাকে নিয়ে বাগানে আসেন কমলা নিতে। তিনি বলেন, ‘দারুণ লাগছে বাগানে কমলা দেখে। তরতাজা রসযুক্ত কমলা হাতে নেওয়া দারুণ আনন্দের। আমার ছোট্ট মেয়ে গাছে ঝুলন্ত কমলা দেখে আনন্দিত।’
বাগান তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা মো. সবুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এ বাগানে ১০০টি দার্জিলিং কমলা ও ৫০টি চায়না ম্যান্ডারিন জাতের চারা রোপণ করা হয়। মাওলানা অলিউল্লাহ বাইজিদ, ফারুক আহমেদ, আব্দুল মতিন ও আইনুল হক মিলে গত ২০২১ সালে বাগানটি শুরু করেন। পরে তারাই এ বাগানের নাম রাখেন তাওয়াক্কালনা ফ্রুট অ্যান্ড এগ্রো লিমিটেড।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এ বাগানে দুই জাতের কমলা রয়েছে। দার্জিলিং কমলা ও চায়না ম্যান্ডারিন কমলা। এ ছাড়াও বিভিন্ন জাতের আম, বল সুন্দরী বরই, সফেদা, জাম্বুরা ও ড্রাগন ফল চাষ করা হয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে বাগান থেকে কমলা বিক্রি শুরু হয়েছে। কিছু কাটিমন আম বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। দার্জিলিং কমলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।’
সবুজ মিয়া আরও বলেন, ‘বাগানে ১০০টি দার্জিলিং ও ৫০টি চায়না ম্যান্ডারিন কমলা গাছের চারা আছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ গাছে আশানুরূপ ফলন এসেছে। একেকটি দার্জিলিং জাতের কমলা ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজন হয়ে থাকে। দেখতেও দারুণ সুন্দর সজীব–সতেজ। বাগান থেকে তরতাজা কমলা কিনতে মানুষ আসছে প্রতিদিন। কিনে নিয়ে যাচ্ছে, আর বাগানের ছবি তুলছে।’
উদ্যোক্তা মাওলানা অলিউল্লাহ বাইজিদ বলেন, ‘দুই বছর আগে ১০ বছরের চুক্তিতে জমি নিয়ে এখানে বাগান করা হয়। ক্রেতাদের কাছে অরগানিক তরতাজা ফল তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই চার উদ্যোক্তা মিলে এ কাজ শুরু করি। এবারই প্রথমবার দারুণ ফলন মিলেছে। আশা করি, এ বছর অনেক কমলা বিক্রি করতে পারব। বাগানে কেউ আসলেই চার–পাঁচ কেজি করে কমলা কিনে নিচ্ছেন। ক্রেতাদের এমন সাড়া আমাদের কাজের আনন্দ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা আজকের পত্রিকা বলেন, ‘ব্যক্তি উদ্যোগে দার্জিলিং কমলা চাষে চার উদ্যোক্তা বেশ সফল। তাদের বাগানের কমলার মান চমৎকার। কমলার আকার–রং খুবই সুন্দর। তাদের এমন সাফল্য অন্যদের আগ্রহী করবে কমলা চাষে। তবে, তাদের বাগান থেকে ক্রেতা পছন্দমতো কিনতে পারবে এটা দারুণ ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এমন উদ্যোগও সবার নজর কাড়ছেন।’
তিনি বলেন, ‘শ্রীপুরে অন্তত আট হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হচ্ছে। আমাদের এ আবহাওয়াতে দার্জিলিং কমলা চাষে বেশ উপযোগী। কমলার আকার রং ও স্বাদে চমৎকার। আমার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি কমলা চাষে।’
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা মহানগরীতে প্রায় দুই কোটি লোকের বসবাস। ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে। দায়িত্ব থেকে আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কল্যাণ সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন..
৭ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় বলেশ্বর ও ভৈরব নদীর তীর দীর্ঘদিন পর পরিষ্কার করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে কচুয়া জিরো পয়েন্ট থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
১৩ মিনিট আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়তে থাকবে। তাই দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
৩৫ মিনিট আগেভাঙচুর–ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুরে সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান ওমর বীর উত্তমসহ ৫৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আরও দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে