নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেন বরখাস্ত ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক বাছির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৭: ১৮
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ২৩: ৫৭

অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ তাঁরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

আজ সোমবার ছিল আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের তারিখ। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছির বলেন, ঘুষ দেওয়া-নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। একই সঙ্গে তাঁরা এই বক্তব্যের সমর্থনে লিখিত বক্তব্য দিতে চান। পরে বিচারক শেখ নাজমুল আলম আগামী ১২ জানুয়ারি লিখিত বক্তব্য দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন। 

গত ২৩ ডিসেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়। মামলায় মোট ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। 

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়। 

নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। ওই বছরের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। পরদিন তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওই মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। 

মামলার তদন্ত চলাকালে মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদক পরিচালক এনামুল বাছির তাঁর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ অভিযোগ ওঠার পর বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শেখ মো. ফানাফিল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও ছিলেন তিনি। 

২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। ১৮ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত