নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে। এর মধ্যে রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় সাত ঘণ্টা বিলম্বে রয়েছে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটের এই ট্রেন প্রতিবেদন লেখা (বেলা ৩টা) পর্যন্ত ঢাকা থেকে ছাড়তে পারেনি।
কমলাপুর স্টেশন সূত্র বলছে, লাইন ক্লিয়ার না হওয়ার কারণে জয়দেবপুর হয়ে যে ট্রেনগুলো যাতায়াত করে, সেগুলোর বিলম্ব হচ্ছে। গতকাল থেকেই এসব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে।
কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব ট্রেনই দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে। এখনো লাইন পুরোপুরি ঠিক হয়নি। সকাল থেকে এই রুটে আটটি ট্রেন ছেড়ে গেছে আর সবগুলোই বিলম্বে চলছে।
এদিকে ট্রেন বিলম্বে ছাড়ায় ছুটির দিনেও কমলাপুর স্টেশনে ছিল যাত্রীদের ভিড়।
এর আগে সকাল ৬টার রাজশাহী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৮ টায়, ৬ টা ১৫ মিনিটের কক্সবাজারগামী পর্যটন এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৮ টায়, ৬ টা ৪৫ মিনিটের চিলাহাটিগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ৯ টায়,৭টা ১৫ মিনিটের নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সাড়ে ৯টায়, চট্টগ্রামগামী ৭টা ৪৫ মিনিটের মহানগর প্রভাতী ১০টার দিকে ছেড়ে যায়।
স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, সন্তান ও স্বজন নিয়ে কেউ বসে আছেন, কেউবা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়েছেন বসার জায়গা না পেয়ে। স্টেশনের ভেতর অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ প্রতিবেদকের সামনে ঢাকা স্টেশন ম্যানেজারের কক্ষে রুমে রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা টিকিট রিফান্ডের দাবি নিয়ে আসেন। যাত্রীদের দাবি মেনে তাদের টিকিট রিফান্ড করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
সাধারণত দিনে ৫৩টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছেড়ে যায়। তবে জয়দেবপুর দুর্ঘটনার কারণে গতকাল থেকে সব ট্রেনই দেরি করে ছাড়ছে। এসব ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছেও দেরি করে।
গাজীপুরের জয়দেবপুর রেল জংশনের আউটার সিগন্যালে যাত্রীবাহী ট্রেন ও তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। ঢাকা-জয়দেবপুর ডাবল রেললাইনের একটিতে ট্রেন চলাচল করছে, অপরটি বন্ধ রয়েছে।
ফলে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ-উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণের পথে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ছয় ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী। উদ্ধারকাজ শেষ হতে আজ সারা দিন লেগে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিন জয়দেবপুর রেল জংশনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলার শত শত যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় করছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তারা নির্ধারিত সময়ে ট্রেন স্টেশনে না আসায় অপেক্ষা করছে। অনেকে স্টেশনমাস্টারের কাছে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছে, তাদের ট্রেন কখন আসবে। কিন্তু কোন ট্রেন কখন আসবে, তা তাঁরাও সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। যাত্রীদের চাপ, দুর্ঘটনা-পরবর্তী ওপর মহলের চাপে তাঁরা দিশেহারা অবস্থা।
জামালপুরগামী তিস্তা ট্রেনের যাত্রী আশরাফুল গ্রামের বাড়ি জামালপুর যাওয়ার জন্য স্টেশনে অপেক্ষায় বসে আছেন। আজ সকাল সাড়ে ৭টায় জয়দেবপুর জংশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুপুরেও তাঁর ট্রেন স্টেশনে আসেনি।
জয়দেবপুর রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার আল ইয়াসবাহ বলেন, এক লাইনে ট্রেন চলাচলের কারণে, ঢাকা থেকে নেত্রকোনা চলাচলকারী মহুয়া কমিউটার (ট্রেন নং ৪৩-৪৪), ঢাকা-জয়দেবপুর চলাচলকারী তুরাগ কমিউটার (ট্রেন নং তুরাগ কমিউটার ১-৪) এবং ঢাকা-জামালপুর চলাচলকারী জামালপুর কমিউটার (ট্রেন নম্বর-৫১/৫২)-এর শনিবারের উভয়মুখী যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা প্রায় তিন ঘণ্টা বিলম্বিত হয়েছে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের সিগন্যাল ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, একই লাইনে দুই দিকে ট্রেন চলাচলে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন থেকে আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ময়মনসিংহগামী বলাকা এবং ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ছেড়ে চলে গেছে।
জয়দেবপুর রেলস্টেশন মাস্টার মো. হানিফ মিয়া জানান, দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর এক লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। একটি লাইন বন্ধ থাকায় রেশনিং পদ্ধতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ধীরাশ্রম স্টেশন এবং জয়দেবপুর জংশনে ট্রেন অপেক্ষায় রেখে একটি একটি করে ট্রেন দুই দিকে চলতে দেওয়া হচ্ছে এতে করে কোনো ট্রেনেরই শিডিউল ঠিক থাকছে না।
গাজীপুরের জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে। এর মধ্যে রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় সাত ঘণ্টা বিলম্বে রয়েছে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটের এই ট্রেন প্রতিবেদন লেখা (বেলা ৩টা) পর্যন্ত ঢাকা থেকে ছাড়তে পারেনি।
কমলাপুর স্টেশন সূত্র বলছে, লাইন ক্লিয়ার না হওয়ার কারণে জয়দেবপুর হয়ে যে ট্রেনগুলো যাতায়াত করে, সেগুলোর বিলম্ব হচ্ছে। গতকাল থেকেই এসব ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে।
কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব ট্রেনই দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে। এখনো লাইন পুরোপুরি ঠিক হয়নি। সকাল থেকে এই রুটে আটটি ট্রেন ছেড়ে গেছে আর সবগুলোই বিলম্বে চলছে।
এদিকে ট্রেন বিলম্বে ছাড়ায় ছুটির দিনেও কমলাপুর স্টেশনে ছিল যাত্রীদের ভিড়।
এর আগে সকাল ৬টার রাজশাহী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৮ টায়, ৬ টা ১৫ মিনিটের কক্সবাজারগামী পর্যটন এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৮ টায়, ৬ টা ৪৫ মিনিটের চিলাহাটিগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ৯ টায়,৭টা ১৫ মিনিটের নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সাড়ে ৯টায়, চট্টগ্রামগামী ৭টা ৪৫ মিনিটের মহানগর প্রভাতী ১০টার দিকে ছেড়ে যায়।
স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, সন্তান ও স্বজন নিয়ে কেউ বসে আছেন, কেউবা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়েছেন বসার জায়গা না পেয়ে। স্টেশনের ভেতর অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ প্রতিবেদকের সামনে ঢাকা স্টেশন ম্যানেজারের কক্ষে রুমে রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা টিকিট রিফান্ডের দাবি নিয়ে আসেন। যাত্রীদের দাবি মেনে তাদের টিকিট রিফান্ড করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
সাধারণত দিনে ৫৩টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছেড়ে যায়। তবে জয়দেবপুর দুর্ঘটনার কারণে গতকাল থেকে সব ট্রেনই দেরি করে ছাড়ছে। এসব ট্রেন ঢাকায় পৌঁছেছেও দেরি করে।
গাজীপুরের জয়দেবপুর রেল জংশনের আউটার সিগন্যালে যাত্রীবাহী ট্রেন ও তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। ঢাকা-জয়দেবপুর ডাবল রেললাইনের একটিতে ট্রেন চলাচল করছে, অপরটি বন্ধ রয়েছে।
ফলে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ-উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণের পথে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ছয় ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী। উদ্ধারকাজ শেষ হতে আজ সারা দিন লেগে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিন জয়দেবপুর রেল জংশনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলার শত শত যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় করছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তারা নির্ধারিত সময়ে ট্রেন স্টেশনে না আসায় অপেক্ষা করছে। অনেকে স্টেশনমাস্টারের কাছে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছে, তাদের ট্রেন কখন আসবে। কিন্তু কোন ট্রেন কখন আসবে, তা তাঁরাও সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। যাত্রীদের চাপ, দুর্ঘটনা-পরবর্তী ওপর মহলের চাপে তাঁরা দিশেহারা অবস্থা।
জামালপুরগামী তিস্তা ট্রেনের যাত্রী আশরাফুল গ্রামের বাড়ি জামালপুর যাওয়ার জন্য স্টেশনে অপেক্ষায় বসে আছেন। আজ সকাল সাড়ে ৭টায় জয়দেবপুর জংশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুপুরেও তাঁর ট্রেন স্টেশনে আসেনি।
জয়দেবপুর রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার আল ইয়াসবাহ বলেন, এক লাইনে ট্রেন চলাচলের কারণে, ঢাকা থেকে নেত্রকোনা চলাচলকারী মহুয়া কমিউটার (ট্রেন নং ৪৩-৪৪), ঢাকা-জয়দেবপুর চলাচলকারী তুরাগ কমিউটার (ট্রেন নং তুরাগ কমিউটার ১-৪) এবং ঢাকা-জামালপুর চলাচলকারী জামালপুর কমিউটার (ট্রেন নম্বর-৫১/৫২)-এর শনিবারের উভয়মুখী যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা প্রায় তিন ঘণ্টা বিলম্বিত হয়েছে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের সিগন্যাল ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, একই লাইনে দুই দিকে ট্রেন চলাচলে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন থেকে আজ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ময়মনসিংহগামী বলাকা এবং ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ছেড়ে চলে গেছে।
জয়দেবপুর রেলস্টেশন মাস্টার মো. হানিফ মিয়া জানান, দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পর এক লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। একটি লাইন বন্ধ থাকায় রেশনিং পদ্ধতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ধীরাশ্রম স্টেশন এবং জয়দেবপুর জংশনে ট্রেন অপেক্ষায় রেখে একটি একটি করে ট্রেন দুই দিকে চলতে দেওয়া হচ্ছে এতে করে কোনো ট্রেনেরই শিডিউল ঠিক থাকছে না।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৩ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৩১ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগে