পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে গাজীপুরে ১৮ স্থানে সাইনবোর্ড 

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ০৭
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ২৩

গাজীপুর-৩ আসনের (শ্রীপুর, গাজীপুর সদর উপজেলা) বিভিন্ন স্থানে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক এবং শ্রমিকদের জন্য কোনো ধরনের চাঁদা না দেওয়ার সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার শ্রীপুর রেলগেট স্ট্যান্ড, কাওরাইদ, বরমী, আনসার রোডসহ ১৮টি স্থানে এ সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এমন সতর্কবার্তায় খুশি স্থানীয় চালক-শ্রমিকসহ পরিবহনসংশ্লিষ্টরা।

সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সতর্কবার্তা, শ্রীপুর রেলগেট সিএনজি/অটোরিকশাচালকসহ সকল পরিবহন শ্রমিক ভাইদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অত্র সিএনজি/অটোরিকশা স্ট্যান্ড বা যেকোনো পরিবহন হতে কেউ কোনো ধরনের অর্থ বা চাঁদা দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে নিম্নে উল্লেখিত নম্বরে যোগাযোগ করুন। শ্রীপুর থানার ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত), ডিউটি অফিসার ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ১৮ স্থানে সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে অংশ নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও এ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসির অনুসারীরা।

এ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি নির্বাচিত হওয়ার পর চাঁদাবাজদের জন্য এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। সতর্কবার্তায় পরিবহন সেক্টরে কেউ কোনো ধরনের অর্থ বা চাঁদা দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে জানানোর কথা বলা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার তিনি প্রথম এলাকায় আসেন। প্রথমে তিনি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কথা শোনেন।

গত শুক্রবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার কিছু জায়গায় চাঁদাবাজি হচ্ছে। আপনারা প্রকৃত চাঁদাবাজদের নামের তালিকা দেন। ব্যক্তিগত বিরোধে কারও নাম দেবেন না। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার এলাকায় কোনো চাঁদাবাজি চলবে না।’

এমসি বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সতর্কতামূলক ফেস্টুন লাগানো হচ্ছে।এমন সতর্কবার্তায় খুশি স্থানীয় চালক-শ্রমিকসহ পরিবহনসংশ্লিষ্টরা। পরিবহনসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি চক্র রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মিনিবাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহনে অর্থ আদায় করত। অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানানো হলে পরিবহন শ্রমিকদের মারধরের শিকার হতে হতো।

মাওনা-শ্রীপুর সড়কে অটোরিকশা চালান মালেক মিয়া। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা না দেওয়ার জন্য সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। আমরা এর ধরনের কার্যক্রমে খুশি।’

মাওনা চৌরাস্তা-শৈলাট-বাটাজোর সড়কে সিএনজি অটোরিকশা চালান আমিনুল। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও বিভিন্ন কৌশলে চাঁদা আদায় করা হতো। আমরা চাই আর কেউ আমাদের কাছে চাঁদা না উঠাক, আমরা এর ধারাবাহিকতা চাই।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ জামান বলেন, চাঁদাবাজি ও চাঁদাবাজদের বিষয়ে এক চুল ছাড় দেওয়া হয় না, হবেও না। এ বিষয়ে প্রশাসন জিরো টলারেন্সে আছে। কোথাও চাঁদাবাজির তথ্য পেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত