‘পাহাড় অশান্ত হলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

‘২৫ বছরেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। পাহাড় অশান্ত হলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। দেশের উন্নয়নে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে।’

আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) কাপেং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও ফ্রান্স অ্যাম্বেসির সহযোগিতায় ঢাকার ডেইলি স্টার ভবনে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া গতিশীল করার লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে সংলাপে’ বক্তারা এ সব কথা বলেন।

কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমার সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মীজানুর রহমান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের গণতন্ত্রে কোনো ধরনের বৈষম্য থাকতে পারে না, লোক দেখানো অর্ন্তভুক্তিমূলক হলে হবে না, গণতন্ত্র হতে হবে একটি অর্ন্তভুক্তিমূলক এবং কার্যকর। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড শুধু কাঠামোগত উন্নয়ন হলে হবে না, মানবিক উন্নয়ন হতে হবে। রাষ্ট্রের যদি পার্বত্য চট্টগ্রামমে বন্দি করে রাখবার কোনো রকম চিন্তা চেতনা থাকে, সেটা ভুল দর্শন।

মীজানুর রহমান বক্তব্যকালে কয়েকটি সুপারিশ করেন। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নিবার্চনী ইশতেহারে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের কথার উল্লেখ থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র পরিচালনার প্রথম ৩৬৫ দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের একটি রোডম্যাপ নির্বাচনী ইশতেহারে দিতে হবে।

সংলাপে বক্তা হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু বিষয়ক পার্লামেন্টারি ককাসের সমন্বয়ক প্রফেসর মেসবাহ কামাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য এডভোকেট চঞ্চু চাকমা প্রমুখ।

মেজবাহ কামাল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি জাতিগত সমস্যা ও একটি রাজনৈতিক সমস্যা। এটা ক্রমাগত জটিল হচ্ছে। তাই এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। দেশকে তো বিচ্ছিন্নতাবাদের দিকে রাষ্ট্রই ঠেলে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের চোখ দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে দেখতে হবে। কোনো জাতিকে প্রমোশন দেওয়া যায় না, সমমর্যাদা ও সমসম্মান দেওয়া যায়। বাঙালি বানানো, মুসলমান বানানো একটি ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা।

সভাপতির বক্তব্যে কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ভূমি কমিশন গঠন হলেও এখন পর্যন্ত একটিও ভূমি সমস্যার সমাধান হয়নি। ভূমি কমিশনে আইন হয়েছে কিন্তু আজও পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ মূলধারাগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করতে হবে। চুক্তি বাস্তবায়নে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দুই পক্ষের আবার আলোচনায় বসার জন্য আহবান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত