Ajker Patrika

সিরাজদিখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, এক পক্ষের হামলায় পুলিশের ৯ সদস্য আহত 

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ৫৯
সিরাজদিখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, এক পক্ষের হামলায় পুলিশের ৯ সদস্য আহত 

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার জেরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান বারেক গ্রুপের হামলায় পুলিশের পরিদর্শকসহ ৯ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

হামলায় ৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হওয়া এবং ১১ জনকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় গতকাল রাতে উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’ 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড়বর্তা গ্রামের স্থানীয় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক ব্যাপারি, রেজাউল বারি, তায়েফ ভূইয়া তৌফিক আহমেদ তুষার, আমিনুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেন; কুচিয়ামোড়া গ্রামের ইসরাফিল শেখ, মো. রুবেল, আ. হাকিম ও সৈকত হোসেন এবং ইসলামপুরের মো. আসাদুজ্জামান। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেয়াইন ইউপির চেয়ারম্যান আশ্রাফ আলী ও তাঁর ছেলে আসিফ শেখ স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবীরকে সমর্থন দিয়ে তাঁর পক্ষে কাজ করেন। একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক এবং রাকিব রাজু ও ফরহাদসহ কয়েকজন মহিউদ্দিন আহমেদকে সমর্থন দিয়ে তাঁর পক্ষে কাজ করেন। 

নির্বাচনে মহিউদ্দিন আহমেদ জয়ী হন। এরপর বিভিন্ন স্থানে গোলাম সারোয়ার কবীরের সমর্থক আসিফসহ তাঁদের লোকজনদের উসকানিমূলক কথাবার্তাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন জয়ী প্রার্থী মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থকেরা। 

গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে কুচিয়ামোড়া কলেজগেট এলাকায় কয়েকজন বন্ধুসহ আসিফ আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় তাঁদের দেখতে পেয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য করেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক গ্রুপের রাকিব রাজু ও ফরহাদসহ কয়েকজন। আসিফরা এর প্রতিবাদ করলে রাকিব রাজু ও ফরহাদদের সঙ্গে তাঁদের মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে বারেক গ্রুপের রাকিবসহ আরও একজন আহত হন। 

মারধরের জেরে কেয়াইন ইউপির চেয়ারম্যান আশ্রাফ আলীর সমর্থক সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান আলীকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক ও তাঁর লোকজন। পরে শাহজাহান আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

খবর পেয়ে সিরাজদিখান থানার পুলিশ কুচিয়ামোড়া কলেজগেট এলাকায় হাজির হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারেকের নেতৃত্বে রাজু ও ফরহাদসহ ১০০ থেকে ১৫০ জনের সংঘবদ্ধ দল পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে সিরাজদিখান থানার পুলিশ পরিদর্শকসহ ৯ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক গ্রুপের ১১ জনকে আটক করা হয়। জাতীয় সংসদের নির্বাচন-পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনায় এ দুই পক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। 

এ বিষয়ে গোলাম সারোয়ার কবীরের সমর্থক মো. আসিফ শেখ বলেন, ‘নির্বাচনে কবীর ভাই হেরে যাওয়ার পর থেকে জয়ী প্রার্থীর সমর্থকেরা আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। তাঁরা আমাদের বিভিন্ন স্থানে পেয়ে উসকানিমূলক কথাবার্তাসহ মারধরের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গতকাল বিকেলে কলেজগেট এলাকায় বসে ছিলাম। তখন রাকিব, রাজু ও ফরহাদ আমাদের ওপর মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেন। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আমাদের মারামারি হয়। পরে পুলিশ এলে তাঁরা পুলিশের ওপর হামলা চালান।’ 

এ বিষয়ে জানতে কেয়াইন ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারেকসহ তাঁর লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

রাকিবের বাবা মো. মফজুলের দাবি, তাঁর ছেলে কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। মফজুল বলেন, ‘বিনা কারণে চেয়ারম্যানের ছেলেসহ ১৫-২০ জন রাকিবকে পিটিয়েছেন। রাকিবের মুখের হাড় ও দাঁত ভেঙে দিয়েছেন। শরীরে বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম হয়েছে। ছেলের অবস্থা ভালো নয়।’ 

সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান আলী বলেন, ‘আমি তো কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। শুধু শুধু আমাকে পিটিয়ে মাথা ফাটানো হলো।’ 

এ বিষয়ে সিরাজদিখান ও শ্রীনগর থানা এলাকার দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘আমরা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বারেক সাহেবের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে যাই। আশ্রাফ চেয়ারম্যানের লোকজন যেপাশে অবস্থান করছিল, সেপাশে আমি গেলে শুনতে পাই সাবেক চেয়ারম্যান বারেক সাহেবের লোকজন পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে।’ 

সহকারী পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন আরও বলেন, ‘হামলায় সিরাজদিখান থানার পুলিশ পরিদর্শকসহ আনুমানিক ৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে কেউ গুরুতর আহত নন। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত