Ajker Patrika

কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যা

গাজীপুর প্রতিনিধি
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যা

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এক কয়েদি বিছানার চাদর ছিঁড়ে টয়লেটের গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে আজ শনিবার ভোরে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মারা যাওয়া কয়েদির নাম আমিরুল ইসলাম প্রকাশ ওরফে রাশেদ উদ্দীন (৩৪)। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া মধ্য চেঙ্গা এলাকার নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে। 

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় প্রথমে নোয়াখালী জেলা কারাগারে বন্দী ছিল আমিরুল ইসলাম। পরে ২০১৪ সালে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। দণ্ডিত হওয়ার পর ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। 

আজ শনিবার ভোরে কারাগারের ভেতর বাথরুমের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গলায় চাদর পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় আমিরুল ইসলাম। অন্য বন্দীরা বিষয়টি টের পেয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে জানায়। খবর পেরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। পরে সেখান থেকে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মারা যাওয়া এই কয়েদি ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে আসেন। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে হাতিয়ায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১৪ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। 

তিনি বলেন, ওই কয়েদি রাত সাড়ে ৩ টার দিকে  বিছানার চাদর ছিঁড়ে কারাগারের টয়লেটের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে গুরুতর অবস্থায় আমরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই প্রথমে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ পাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ওই কয়েদির রুমে আরও দুইজন বন্দী ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার জামিনের বিষয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছে। এজন্য হয়তো তিনি আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিয়েছেন। মরদেহের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শনিবার ভোররাতে কারাগার থেকে একজন বন্দীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে ফাঁস নিয়েছিল। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত