Ajker Patrika

গাজী টায়ার কারখানার আগুন এখনো নেভেনি, স্বজনদের অপেক্ষা, নিখোঁজ শতাধিক

রাসেল মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ থেকে
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ২৩: ৩৪
গাজী টায়ার কারখানার আগুন এখনো নেভেনি, স্বজনদের অপেক্ষা, নিখোঁজ শতাধিক

নারায়ণগঞ্জের গাজী টায়ার কারখানার আগুন এখনো নেভেনি। আজ মঙ্গলবারও সেখানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। বাইরে অসংখ্য মানুষ নিখোঁজ স্বজনদের অপেক্ষায় আহাজারি করছেন। ঘটনার দুদিন পেরোলেও কতজন নিখোঁজ রয়েছেন সে বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। সরকারিভাবে তালিকা না হলেও শিক্ষার্থীদের একটি দলের তালিকা অনুযায়ী, নিখোঁজ শতাধিক। 

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নিখোঁজ তালিকায় ১২৯ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের একটি দল কারখানার ভেতরে গেটের পাশে নিখোঁজদের স্বজনদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এ তালিকা তৈরি করেন। 

শিক্ষার্থী মাশরাফি বলেন, ‘আমরা নিখোঁজ স্বজনদের কাছ থেকে ছবিসহ তথ্য সংগ্রহ করছি। তথ্য সংগ্রহ শেষে আমরা তালিকা প্রশাসনকে দেব। তাঁরা যেন পরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।’

তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজদের সংখ্যা ৬০-৭০ জন হতে পারে। এর আগে গতকাল সোমবার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম স্বজনদের বরাতে ১৬০ জন নিখোঁজের কথা জানিয়েছিলেন। তবে পরে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কোনো তালিকা করিনি, এটা প্রশাসনের দায়িত্ব।’ 

আজ সরেজমিন কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, নিখোঁজদের খোঁজে কারখানার গেটের সামনে ভিড় করছেন স্বজনেরা। এ সময় স্বজনদের ছবি নিয়ে আহাজারি করেন তাঁরা। 

নিখোঁজদের তালিকা করা হচ্ছে। ছবি: হাসান রাজা বাইরে অপেক্ষা করা রাবেয়া আক্তার নামের এক নারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন মাস আগে মেয়ে ফারজানাকে বিয়ে দেন মো. হজরতের সঙ্গে। মেয়ের জামাই স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। কাজ শেষে রোববার রাত সাড়ে ৮টায় ঘটনা দেখতে এসে কারখানার ভেতরে ঢোকেন। এরপর ভবনে আটকা পড়েন। রাত দেড়টার পর থেকে ফোন বন্ধ। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।’ 

রূপগঞ্জে একটি জামদানি শাড়ির কারখানার মালিক মো. সজীব ভূঁইয়া। রোববার রাতে কারখানার দুই শ্রমিক গাজী টায়ার কারখানায় আটকা পড়লে তাঁদের উদ্ধারের জন্য আসেন। সবুজ নামের এক শ্রমিককে উদ্ধার করলেও তিনি ও অপর শ্রমিক মো. সাদ্দাম হোসেন ভবনে আটকা পড়েন। 

নিখোঁজ সজীবের স্ত্রী কল্পনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাত ১০টায় আমাদের দুই শ্রমিককে উদ্ধার করতে এসে ভেতরে আটকা পড়েন আমার স্বামী। পরে তাঁর আর খোঁজ পাইনি।’ 

গাজী টায়ার কারখানায় আগুনে পুড়ে গেছে মালামাল। ছবি: হাসান রাজা শিশু ওসমান রোববার রাত ৯টায় দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। পরে তাকে কারখানায় দেখে স্থানীয়রা। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানান বড় বোন আসমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। হাসপাতালেও খোঁজ নিয়ে কোনো খবর পাইনি।’ 

আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনটির সামনে গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভবনটিতে কালো ধোঁয়া উড়ছে। দুই-এক জায়গায় জ্বলছে আগুনও। ধোঁয়া ও আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কারখানার প্রায় সবগুলো ভবনেই লুটপাট ও আগুনের চিহ্ন। আগুন লাগা ছয় তলা ভবনটির প্রায় সবগুলো ফ্লোরই পুড়ে গেছে। কোনো কোনো ফ্লোরের বাইরের দেয়াল খসে পড়েছে। 

কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে থাকা কমান্ডার ও মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের ভাইস-প্রিন্সিপাল মানিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনটিতে টায়ার তৈরির দাহ্য পদার্থ ও কাঁচামাল ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। এখনো ধোঁয়া উঠছে। ভেতরেও প্রচণ্ড তাপ রয়েছে। পুরোপুরি নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত ভেতরে কী অবস্থা তা বলা যাবে না। নিখোঁজদের বিষয়ে তখনই জানা যাবে।’ 

তবে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী বলেন, ‘তিনতলা পর্যন্ত উঠে দেখেছি। সবকিছু পুড়ে কোমর সমান ছাই হয়ে আছে। আগুন নির্বাপণের পর এগুলো সার্চ করে দেখতে হবে মরদেহ আছে কিনা।’ 

পুরো কারখানা ঘুরে দেখা যায়, কারখানার ভেতরে থাকা কোনো ভবনেই টায়ার বা যন্ত্রপাতি দেখা যায়নি। সবগুলো ভবনেই লুটের চিহ্ন। পুড়েছে অধিকাংশ স্থাপনা। কারখানার সামনে থাকা একটি খালেও দেখা মিলে কেরোসিনসহ বিভিন্ন তরল জাতীয় পদার্থ। সেগুলো কাপড় ও ছাঁকনি দিয়ে ড্রামে করে নিচ্ছে মানুষ। 

জানা গেছে, গত রোববার হামলার আগে সকালে প্রায় দেড় শ শ্রমিক ও কর্মচারী কারখানায় কাজ করছিল। হামলার সময় তাঁরা ভয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে যায়। 

লুটপাটের পর গাজী টায়ার কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ছবি: হাসান রাজাগাজী গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানার সবকিছু লুটপাট করে নিয়েছে এলাকার লোকজন। অন্য কোনো এলাকা থেকে কেউ এসে করেনি। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে। তবে আমাদের কোনো কর্মী নিখোঁজ নেই।’ 

এদিকে এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, ‘শুরুতে আমাদের তথ্যটা জানানো হয়নি। আগুন লাগার পর রাত ১টার দিকে আমরা খবর পাই। শত শত মানুষ জড়ো হয়ে লুট করেছে। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে বলে আশা করি।’ 

গত রোববার বিকেলে গাজী গ্রুপের মালিক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে আদালতে তোলার খবর এলেই একদল দুর্বৃত্ত গাজীর টায়ার কারখানায় হামলা চালায় এবং লুটপাট শুরু করে। 

লুটপাটের একপর্যায়ে এক পক্ষকে ভেতরে রেখে আরেক পক্ষ আগুন ধরিয়ে দেয় বলে দাবি করছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তাফালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাদল মুন্সীর বাড়ি রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা-চালিতাবুনিয়া গ্রামে। আহত চালক জান্নাত আকনের বাড়ি উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল মুন্সী জুমার নামাজ পড়তে বেলা সোয়া ১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। স্কুলের সামনে রাস্তা পার হতে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এতে চালক ও বাদল মুন্সী দুজনে আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদল মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফ মোহাম্মদ জানান, বাদল মুন্সীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার গেটে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা থানা গেটে অবস্থান নিয়ে ওসমান হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়।

উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্যসচিব মো. আলা উদ্দিন, জাতীয় যুবশক্তির জেলা আহ্বায়ক নুরুল আমিন রিপন, উপজেলা আহ্বায়ক ইউসুফ রেজা, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয় উপপ্রকাশনা ও গ্রন্থনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, হাতিয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর এখন প্রকাশ্যে এনসিপি প্রার্থী হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

তাঁরা হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ সব খুনিকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার, হান্নান মাসউদকে দেওয়া হুমকির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানান।

বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেন যে ওসমান হাদি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং হান্নান মাসউদকে হুমকির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৮
শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল জোহর নামাজের পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল জোহর নামাজের পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে।

আজ শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান (পিপিএম) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জানাজা অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে শনিবার সকাল থেকে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিকল্প সড়কসমূহ

১. মিরপুর রোড টু ফার্মগেট ভায়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী যানবাহন মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট/সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহন গণভবন ক্রসিং-লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে গমন করবে।

২. ফার্মগেট টু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী ভায়া ইন্দিরা রোডগামী যানবাহন ফার্মগেট হতে খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-গণভবন ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।

৩. ধানমন্ডি থেকে ফার্মগেটগামী যানবাহন ধানমন্ডি ২৭ থেকে আগত যানবাহন আসাদগেট-গণভবন ক্রসিং ডানে ইউটার্ন করে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমনাগমন করবে।

৪. আসাদগেট থেকে ফার্মগেট ক্রসিংগামী যানবাহন আসাদগেট-বাঁয়ে মোড় নিয়ে গণভবন ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।

৫. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে ধানমন্ডিগামী যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে আগত যানবাহন খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-বায়ে মোড় নিয়ে আসাদগেট-সোজা পথে ধানমন্ডির দিকে গমন করবে।

৬. মিরপুর রোড থেকে ধানমন্ডি ২৭ গামী যানবাহন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ব্লকেড সরিয়ে ফেলা হবে বিধায় মিরপুর রোড থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন শ্যামলী-শিশুমেলা-গণভবন-আসাদগেট থেকে সোজা ধানমন্ডি ২৭-এর দিকে গমনাগমন করবে।

৭. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েগামী যানবাহনসমূহকে জানাজা চলাকালীন ফার্মগেট এক্সিট র‍্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র‍্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।

নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট সীমান্তে খাসিয়াদের গুলিতে ২ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে পৃথক স্থানে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলায় সীমান্তের দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের পূর্ব তুরুং গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিনের ছেলে মো. আশিকুর রহমান এবং একই এলাকার বরম সিদ্দিপুরের আজমন আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে খাসিয়াদের সুপারিপুঞ্জিতে ঢুকলে তাঁরা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন মারা যান। লাশ দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দমদমিয়া সীমান্ত পিলার নম্বর ১২৬০/৪-এসের পাশ দিয়ে বাংলাদেশি কয়েক ব্যক্তি আনুমানিক এক থেকে দেড় কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে রাজন টিলার সুপারিবাগানে ঢোকে।

এ সময় সেখানে অবস্থানরত ভারতীয় বাগানমালিক খাসিয়ারা তাদের লক্ষ্য করে বন্দুকের কয়েক রাউন্ডটি গুলি ছোড়ে। এতে মো. আশিকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা লাশ বাংলাদেশে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।

অন্যদিকে একই দিন বেলা ৩টায় সীমান্ত পিলার ১২৫৫/২ এস থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বরম সিদ্দিপুর নামক স্থান দিয়ে দুই ব্যক্তি সুপারিবাগানে ঢুকলে খাসিয়ারা তাঁদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে মো. ইয়াকুব আলী নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত ইয়াকুবকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত