Ajker Patrika

নবাবগঞ্জে টিভি সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৫৮
Thumbnail image
সাংবাদিক নাজমুল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার নবাবগঞ্জে সাংবাদিক নাজমুল হোসেন ওরফে অন্তরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাহুতহাটি ছোট সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।

নাজমুল হোসেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার দোহার-নবাবগঞ্জ ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি ওই ইউনিয়নের খানেপুর গ্রামের মো. মানিকের ছেলে। তাঁকে ঢাকার শ্যামলীর জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

আহত সাংবাদিকের প্রতিবেশী মো. সজল নাজমুলের বরাত দিয়ে বলেন, দোহারের জয়পাড়া মাহমুদিয়া আলিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল শেষে ওই এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মুখোশধারী দুজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে হামলা করে। এ সময় নাজমুল মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ওই দুই ব্যক্তি নাজমুলকে পেছন থেকে ধাওয়া দেয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জখম করে নাজমুলের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, নাজমুল রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলের পাশের জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের সামনে গিয়ে চিৎকার করে। ওই ফাউন্ডেশনে কর্মরত ব্যক্তিরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে বান্দুরার মডার্ন ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করে পরিবারকে খবর দেয়। পরে স্বজনেরা এসে নাজমুলের অবস্থার অবনতি দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিলে চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ভর্তি রেখে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আহতের ছোট ভাই নয়ন বলেন, ‘আজ সকালে নাজমুল ভাইয়ের মোটরসাইকেলটি নয়নশ্রী ইউনিয়নের দেওতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন ইছামতী নদীর তীর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। হামলাকারীরা ডাকাত হলে মোটরসাইকেলটি ফেলে যেত না। এতেই বোঝা যায় ঘটনাটি পরিকল্পিত। যারা আমার ভাইকে কুপিয়েছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের উচিত বিচার দাবি করছি।’

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার মো. সাইমুন জানান, রাতে নাজমুলও রক্তাক্ত অবস্থায় এসে তাকে জানিয়েছিল তার ওপর আক্রমণকারীরা দুজন ছিল। তাদের মুখ ঢাকা ছিল। হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র।

নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হরোগবিন্দ সরকার বলেন, নাজমুলের ডান হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় অবস্থা অবনতি দেখে উন্নত চিকিসার জন্য রাতেই তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে আজ সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাজমুলের মোটরসাইকেলটি ইছামতীর নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে এতে পূর্বশত্রুতার জেরে কেউ সাংবাদিকের ওপর এ হামলা করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত