ঢাবিতে গাফ্‌ফার চৌধুরীর জানাজা সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ মে ২০২২, ১৫: ৫২
Thumbnail image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর। মরদেহ দেশে আনার পর এটিই তাঁর প্রথম জানাজা। জানাজা পড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. এমদাদ উদ্দীন।

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ৩টায় গাফ্‌ফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হয়। এরপর বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ৩টা ৩০ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্দেশে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁর মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।

এর আগে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হয় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ। সেখানে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁদের সামরিক সচিব ফুল দিয়ে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আক্তারুজ্জামান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে ডিআইজি হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাফ্‌রুল্লাহ চৌধুরী, শাহরিয়ার কবির, আনিসুল হক, আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ১৪ দলের পক্ষে রাশেদ খান মেনন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ (ভাসানী), বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ সর্বস্তরের জনগণ। 

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব পরিচালনা করেন।

এর আগে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহবাহী বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ২০২ ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। 

এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে থেকে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন।

গত ১৯ মে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়া গ্রামে। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। স্কুলে পড়ার সময় কংগ্রেস নেতা দুর্গা মোহন সেন সম্পাদিত কংগ্রেস হিতৈষী পত্রিকায় কাজ শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত