ফরিদপুরে নৌকার দুই সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩: ৪২
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪: ০৬

ফরিদপুর-৩ সদর আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের দুই সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী সমন্বয়কারী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নৌকার আহত দুই সমর্থকের নাম সেলিম (৪০) ও কামরুল (৩৫)। তাঁরা ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

নৌকার সমর্থকেরা জানান, রাতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হকের কয়েকজন সমর্থক পোস্টার লাগানোর কাজ করছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাসে করে আসা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা লোহার রড, হকিস্টিক, লাঠি দিয়ে পেটায় তাঁদের। এতে নৌকার সমর্থক সেলিম ও কামরুল মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। পরে দুজনকেই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
 
আহত সেলিম বলেন, ‘মাইক্রোবাসের লুকিং গ্লাসে ঈগল মার্কার স্টিকার লাগানো ছিল। আমরা পোস্টার উঁচু করে বলেছি নৌকা, তখনই গাড়ি থেকে নেমে আমাদের দুজনের ওপর হামলা করে। আমাদের লাঠি দিয়ে পেটায় এবং পাড়ায়।’
 
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অহিমুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ‘আহত দুজনের অবস্থা গুরুতর। একজনের মাথায় আঘাত রয়েছে, আরেকজনের শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ 

এদিকে আহত দুই সমর্থককে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান নৌকার প্রার্থী শামীম হক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। 

এ সময় শামীম হক এ হামলার জন্য ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের দায়ী করে বলেন, ‘এভাবে একের পর এক সন্ত্রাস করছে তারা। এটি ভোট করার জন্য না, ভোটকে ব্যাহত করার জন্য। আমি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।’ তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। আমি সবাইকে বলব আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে নেবেন না।’

তবে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী সমন্বয়কারী মো. শোয়েবুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনা তারাই ঘটিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছে। এর আগে সেখানে নৌকার লোকেরাই বরং আমাদের কর্মীদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা করে গুরুতর আহত করেছে। এখন পরিকল্পিতভাবে নিজেদের লোকদের ওপর হামলা করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে। এটি একটি রাজনৈতিক স্যাবোটাজ।’ 

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, রাতে ঈশান গোপালপুরে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত