নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে রাজধানীতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পানির চাহিদা। তবে চাহিদা অনুযায়ী পানি না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। রাতের দিকে পানির সংকট তেমন না থাকলেও তীব্র গরমের মধ্যে দিনের বেলা পানি পাচ্ছেন না নগরীর বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দা।
সাপ্লাইয়ের পানি না পেয়ে বাধ্য হয়ে মডস জোনগুলো থেকে বিশেষ গাড়িতে করে পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় ঝুঁকছে এসব এলাকার মানুষ। এই ব্যবস্থাতেও পর্যাপ্ত পানি না পেয়ে ক্ষোভে ক্ষুব্ধ তারা।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার, বাড্ডা, মুগদা, মান্ডা, জুরাইন, মাতুয়াইল, মিরপুর, শেওড়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। পানির সংকটে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নারী ও শিশুদের।
মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকার একটি পাঁচতলা বাসায় ভাড়া থাকেন সুলতানা আফরোজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই গৃহিনী বলেন, একে তো তীব্র গরম তার ওপর চার-পাঁচ দিন ধরে পর্যাপ্ত পানির সাপ্লাই নেই। মোটর ছাড়লে দেখা যায় পানি নেই। দিনের বেলায় এই সমস্যা বেশি হয়। তবে রাতে পানি আসে। তখন পানি ট্যাংকিতে তুলে রাখতে হয়। এই গরমে দিনের বেলায় পানি না থাকায় রান্না-বান্নাসহ নিজে ও সন্তানদের গোসল করানো নিয়েও বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পূর্ব রামপুরার ভাড়া বাসায় থাকা বেসরকারি চাকরিজীবী প্রিতম ইসলমও জানান একই রকম ভোগান্তির কথা।
মান্ডা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা তাসীন মল্লিক। তিনি বলেন, ‘গরমের শুরু থেকেই পানি কম আসে আমাদের বাসায়। গত এক সপ্তাহ ধরে সেটি চরম আকার ধারণ করেছে। তাপপ্রবাহের এই সময় পানির সংকটে প্রাণ ত্রাহি অবস্থা। আর পানির সঙ্গে ময়লাতো আছেই।’
উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা মেহেদী হাসান শ্রাবন। তার বাসায় গত ছয় দিন ধরে পানি পাচ্ছেন না বলে জানান। মড জোন থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় গাড়িতে করে পানি সরবরাহের জন্য অর্ডার করেও পানি না পেয়ে গত সোমবার তিনি বেশ ক্ষোভ ঝাড়লেন। তিনি বলেন, ‘পানি না থাকায় আমরা নিজেরা এবং ভাড়াটিয়ারা কীভাবে দিন পার করছি সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। ওয়াসার মড জোনে বারবার যোগাযোগ করেও পানি পাচ্ছি না।’
এই বাসিন্দার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার মডস জোন-৮ এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনুপম কুমার মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘পানির চাহিদা বেড়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার আমার এখানে ১০০টি সিরিয়াল আছে। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ৩০ নাম্বার সিরিয়াল চলছে। পর্যায়ক্রমে বাকিরাও পানি পাবে। বড় একটা এলাকা জুড়ে আমরা পানি সরবরাহ করে থাকি। কখনো কখনো নির্ধারিত এলাকার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত পানির গাড়ি পৌছাতে সময় লাগে। জ্যামে আটকা থাকতে হয়। এই কারণে অনেকের পানি পেতে দেড়ি হয়। পানি পাচ্ছে না, বিষয়টা এমন না।
ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। বর্তমানে টাকা বাড়িয়ে দিয়েও এই গাড়ির পানির সিরিয়াল পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার উপপ্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক বলেন, ‘গরমে গাড়িতে করে পানি নেওয়ার চাহিদা বেড়েছে এটা সত্য। তবে আমরা চাহিদা পূরণ করতে পারছি না, বিষয়টি এমন নয়। আমাদের দৈনিক পানি উৎপাদন ক্ষমতা ২৮০ কোটি লিটার। বর্তমানে আমরা উৎপাদন করছি ২৫৮ থেকে ২৬০ কোটি লিটার। এছাড়াও কোথাও পানির সমস্যা হলে ১৬১৬২ হটলাইন নাম্বারে কল করে জানালেই আমরা সেখানে যতদ্রুত সম্ভব পানি পৌছে দিচ্ছি।’
এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে নগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম জুলাই মাস পর্যন্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। এসব টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। কোনো ব্যত্যয় পেলে পরিদর্শনের সময় তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানাবে তাঁরা।
তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে রাজধানীতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পানির চাহিদা। তবে চাহিদা অনুযায়ী পানি না পেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। রাতের দিকে পানির সংকট তেমন না থাকলেও তীব্র গরমের মধ্যে দিনের বেলা পানি পাচ্ছেন না নগরীর বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দা।
সাপ্লাইয়ের পানি না পেয়ে বাধ্য হয়ে মডস জোনগুলো থেকে বিশেষ গাড়িতে করে পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় ঝুঁকছে এসব এলাকার মানুষ। এই ব্যবস্থাতেও পর্যাপ্ত পানি না পেয়ে ক্ষোভে ক্ষুব্ধ তারা।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার, বাড্ডা, মুগদা, মান্ডা, জুরাইন, মাতুয়াইল, মিরপুর, শেওড়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। পানির সংকটে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নারী ও শিশুদের।
মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকার একটি পাঁচতলা বাসায় ভাড়া থাকেন সুলতানা আফরোজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই গৃহিনী বলেন, একে তো তীব্র গরম তার ওপর চার-পাঁচ দিন ধরে পর্যাপ্ত পানির সাপ্লাই নেই। মোটর ছাড়লে দেখা যায় পানি নেই। দিনের বেলায় এই সমস্যা বেশি হয়। তবে রাতে পানি আসে। তখন পানি ট্যাংকিতে তুলে রাখতে হয়। এই গরমে দিনের বেলায় পানি না থাকায় রান্না-বান্নাসহ নিজে ও সন্তানদের গোসল করানো নিয়েও বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পূর্ব রামপুরার ভাড়া বাসায় থাকা বেসরকারি চাকরিজীবী প্রিতম ইসলমও জানান একই রকম ভোগান্তির কথা।
মান্ডা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা তাসীন মল্লিক। তিনি বলেন, ‘গরমের শুরু থেকেই পানি কম আসে আমাদের বাসায়। গত এক সপ্তাহ ধরে সেটি চরম আকার ধারণ করেছে। তাপপ্রবাহের এই সময় পানির সংকটে প্রাণ ত্রাহি অবস্থা। আর পানির সঙ্গে ময়লাতো আছেই।’
উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা মেহেদী হাসান শ্রাবন। তার বাসায় গত ছয় দিন ধরে পানি পাচ্ছেন না বলে জানান। মড জোন থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় গাড়িতে করে পানি সরবরাহের জন্য অর্ডার করেও পানি না পেয়ে গত সোমবার তিনি বেশ ক্ষোভ ঝাড়লেন। তিনি বলেন, ‘পানি না থাকায় আমরা নিজেরা এবং ভাড়াটিয়ারা কীভাবে দিন পার করছি সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। ওয়াসার মড জোনে বারবার যোগাযোগ করেও পানি পাচ্ছি না।’
এই বাসিন্দার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার মডস জোন-৮ এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনুপম কুমার মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘পানির চাহিদা বেড়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার আমার এখানে ১০০টি সিরিয়াল আছে। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ৩০ নাম্বার সিরিয়াল চলছে। পর্যায়ক্রমে বাকিরাও পানি পাবে। বড় একটা এলাকা জুড়ে আমরা পানি সরবরাহ করে থাকি। কখনো কখনো নির্ধারিত এলাকার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত পানির গাড়ি পৌছাতে সময় লাগে। জ্যামে আটকা থাকতে হয়। এই কারণে অনেকের পানি পেতে দেড়ি হয়। পানি পাচ্ছে না, বিষয়টা এমন না।
ঢাকা ওয়াসার আওতায় ১০টি মডস জোনে বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে পানি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এক্ষেত্রে প্রতি ছয় হাজার লিটারের একটি বড় গাড়ির জন্য নেওয়া হয় ৬০০ টাকা। বর্তমানে টাকা বাড়িয়ে দিয়েও এই গাড়ির পানির সিরিয়াল পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার উপপ্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক বলেন, ‘গরমে গাড়িতে করে পানি নেওয়ার চাহিদা বেড়েছে এটা সত্য। তবে আমরা চাহিদা পূরণ করতে পারছি না, বিষয়টি এমন নয়। আমাদের দৈনিক পানি উৎপাদন ক্ষমতা ২৮০ কোটি লিটার। বর্তমানে আমরা উৎপাদন করছি ২৫৮ থেকে ২৬০ কোটি লিটার। এছাড়াও কোথাও পানির সমস্যা হলে ১৬১৬২ হটলাইন নাম্বারে কল করে জানালেই আমরা সেখানে যতদ্রুত সম্ভব পানি পৌছে দিচ্ছি।’
এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে নগরীর পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে ঢাকা ওয়াসার সব মডস জোনের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করেছে ঢাকা ওয়াসা। পানির সমস্যা সমাধানে এসব টিম জুলাই মাস পর্যন্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। এসব টিম জোনভিত্তিক পাম্পগুলো নিয়মিত ও আকস্মিক পরিদর্শন করবে। কোনো ব্যত্যয় পেলে পরিদর্শনের সময় তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানাবে তাঁরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গত পাঁচ মাসে পাঁচটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৫ জানুয়ারি মিশ্বানী এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে চালবোঝাই ট্রাক ছিনতাই ও একটি গাড়ি ডাকাতির অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগেশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল গবেষকের গবেষণায় উঠে এসেছে, সিলেট বিভাগের ৩২.৭ শতাংশ শিশুর বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম। গবেষণাটি ওই বিভাগের শিশুদের অপুষ্টির চিত্র বিশ্লেষণ করে ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলাগুলো চিহ্নিত করেছে।
৮ মিনিট আগেভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম—এই পাঁচ বিভাগীয় শহরে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আসনবিন্যাসে দেখা গেছে, কেন্দ্র পছন্দক্রমের প্রথমে থাকা সত্ত্বেও রংপুর
১৪ মিনিট আগেরাজধানী, ডেমরা, স্বামী, মোটরসাইকেল, আত্মহত্যা, গৃহবধূ, অভিযোগ, মামলা
১৮ মিনিট আগে