সাটুরিয়ায় শিশুকে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তুলল পুলিশ

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
Thumbnail image

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা-বাবার সঙ্গে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেও থানায় এক রাত হাজত বাস করে। পরে আজ বৃহস্পতিবার বাবার সঙ্গে হাতকড়া পরিয়ে তাকে আদালতে পাঠায় সাটুরিয়া থানা-পুলিশ। 

হাতকড়া পরানো ছেলেটি উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পারিবারিক কলহের কারণে সে স্কুলে অনিয়মিত ছিল। ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও শ্রেণি শিক্ষক আব্দুল হালিম এই তথ্য জানিয়েছেন। 

আদালতে চালান করার সময় থানা চত্বরে ওই শিশুর বাবা দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছেলের বয়স ১৬ বছর। ও এখনো শিশু। আমার সঙ্গে একই হাতকড়া তাকেও পরানো হয়।’ 

সাটুরিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, সাটুরিয়া সদর ইউনিয়নের গওলা গ্রামে ভাইবোনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একাধিক মামলা হয়। রুপা আক্তার বাদী হয়ে আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন গত মার্চে। ওই মামলার তদন্ত করার জন্য আদালত সাটুরিয়া থানাকে নির্দেশ দেন। মামলা তদন্ত করেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা। মামলায় এই শিশুর বয়স ১৯ বছর দেখানো হয়। 

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সে স্কুলে লেখাপড়া করে কিনা আমি জানি না। বয়স যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকতে পারে।’ 

সাটুরিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাতে জমি নিয়ে একটি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয় অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী, তার বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৮), মা সুফিয়া বেগম (৪৫) ও সুজন মিয়া নামের আরেকজন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চারজনকে সাটুরিয়া থানা থেকে মানিকগঞ্জ আদালতে তোলা হয়। 

শিশুকে হাতকড়া পরানোর বিষয়টি স্বীকার করে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাজতখানা থেকে গাড়িতে তোলার সময় হাতকড়া পরানো হয়েছিল। কিন্তু গাড়িতে তোলার পর ওই শিক্ষার্থীর হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত