নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আন্দোলন কর্মসূচির নামে ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেছে বিএনপি—এমন অভিযোগ করে বিচারের দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। একই সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারে সদস্যরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি করেছেন।
দুই ঘটনায় সহিংসতার শিকার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গড়া ‘মায়ের কান্না ও অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠনের আলোচনা সভায় এ দাবি জানান বক্তারা। আজ রোববার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সংগঠন দুটো যৌথ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ‘নিহত’ হওয়া বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিবারের সদস্য, ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সহিংসতার শিকার ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবার, ২০১৩-১৪-১৫ বিএনপির আন্দোলনের সময়ে ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ শিকার ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। বক্তারা এসব ঘটনার বিচার করে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান। যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর কেউ ঘটাতে সাহস না করে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষের আগেই ওবায়দুল কাদের চলে যান। এরপর আওয়ামী লীগের কোনো নেতাই বক্তব্য দেননি।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, ডা. নুজহাত চৌধুরী ও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খানের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জিয়াউর রহমানের সামরিক ট্রাইব্যুনালে সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের বিচার, ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আহত ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের কষ্টের কথা তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এতে হৃদয়বিদারক ও অত্যন্ত আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। প্রত্যেকেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে দেওয়া বক্তব্যে আর্তনাদ করেন। আহত ব্যক্তিরা বেঁচে থাকার যন্ত্রণা ও কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের দিন রাজধানীর ফকিরাপুলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের মেয়ে তানহা বক্তব্য দেয়। সে বলে, ‘আমি টাকা জমা করছি, আল্লাহর কাছ থেকে আমার বাবাকে কিনে আনব। আমি বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হব।’
এর আগে আলোচনা সভার শুরুতে বক্তব্য দেন পারভেজের স্ত্রী রুমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমিরুলকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা তার মুখটাও দেখতে পারিনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই আমিরুলকে যেভাবে শাস্তি নিয়ে মারা হয়েছে, ওদেরকে তার চেয়েও যেন কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার এই একটাই দাবি।’
সম্প্রতি রাজধানী যাত্রাবাড়ীতে অছিম পরিবহনের বাসে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুড়ে মারা যায় ঘুমিয়ে থাকা বাসের হেলপার আবু নাঈম। উপার্জনক্ষম একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা নাঈমের মা-বাবা। অনুষ্ঠানে কথা বলেন তাঁরা মা। তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলাম-বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আমার ছেলেকে পুড়িয়ে মেরেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর কঠিন বিচার চাই। জামায়াত-বিএনপি আমার ছেলেকে পুড়িয়ে মেরেছে; তারা যাতে বুঝতে পারে মায়ের কষ্ট কী—সেই জন্য তাদের কঠিন বিচার চাই।’
গাইবান্ধায় শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত জাহিদুল ইলাম জাহিদের বাবা আবুল হোসেন বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের লোকেরা আমার ছেলেকে কুপিয়ে কুপিয়ে, পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে। আমার ছেলের অপরাধ সে আওয়ামী লীগ করত, এই জন্যই তাকে হত্যা করে তারা। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানাই, এদের বিচার যেন নিশ্চিত হয়।’
মায়ের কান্নার সভাপতি কামরুজ্জামান লেলিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সামরিক ট্রাইব্যুনালে হত্যার শিকার বাবার কবর কোথায়, সেটাও আমরা অনেক খুঁজেছি। আজিমপুর কবরস্থানে খুঁজতে গিয়ে সেখানকার লোকদের কাছে জানতে পেরেছি, অনেক লাশ নিয়ে আসা হতো তখন, যাদের গোঙানোর শব্দ শোনা যেত। ওইভাবে তাদের কবর দিতে নির্দেশ দেওয়া হতো। এখনই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করছি আমি।’
আন্দোলন কর্মসূচির নামে ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেছে বিএনপি—এমন অভিযোগ করে বিচারের দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। একই সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারে সদস্যরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি করেছেন।
দুই ঘটনায় সহিংসতার শিকার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গড়া ‘মায়ের কান্না ও অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠনের আলোচনা সভায় এ দাবি জানান বক্তারা। আজ রোববার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সংগঠন দুটো যৌথ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ‘নিহত’ হওয়া বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিবারের সদস্য, ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সহিংসতার শিকার ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবার, ২০১৩-১৪-১৫ বিএনপির আন্দোলনের সময়ে ‘অগ্নিসন্ত্রাস’ শিকার ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। বক্তারা এসব ঘটনার বিচার করে অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান। যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর কেউ ঘটাতে সাহস না করে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষের আগেই ওবায়দুল কাদের চলে যান। এরপর আওয়ামী লীগের কোনো নেতাই বক্তব্য দেননি।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, ডা. নুজহাত চৌধুরী ও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খানের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জিয়াউর রহমানের সামরিক ট্রাইব্যুনালে সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের বিচার, ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আহত ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের কষ্টের কথা তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এতে হৃদয়বিদারক ও অত্যন্ত আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। প্রত্যেকেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে দেওয়া বক্তব্যে আর্তনাদ করেন। আহত ব্যক্তিরা বেঁচে থাকার যন্ত্রণা ও কষ্টের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের দিন রাজধানীর ফকিরাপুলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের মেয়ে তানহা বক্তব্য দেয়। সে বলে, ‘আমি টাকা জমা করছি, আল্লাহর কাছ থেকে আমার বাবাকে কিনে আনব। আমি বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হব।’
এর আগে আলোচনা সভার শুরুতে বক্তব্য দেন পারভেজের স্ত্রী রুমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমিরুলকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা তার মুখটাও দেখতে পারিনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই আমিরুলকে যেভাবে শাস্তি নিয়ে মারা হয়েছে, ওদেরকে তার চেয়েও যেন কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার এই একটাই দাবি।’
সম্প্রতি রাজধানী যাত্রাবাড়ীতে অছিম পরিবহনের বাসে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুড়ে মারা যায় ঘুমিয়ে থাকা বাসের হেলপার আবু নাঈম। উপার্জনক্ষম একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা নাঈমের মা-বাবা। অনুষ্ঠানে কথা বলেন তাঁরা মা। তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলাম-বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আমার ছেলেকে পুড়িয়ে মেরেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর কঠিন বিচার চাই। জামায়াত-বিএনপি আমার ছেলেকে পুড়িয়ে মেরেছে; তারা যাতে বুঝতে পারে মায়ের কষ্ট কী—সেই জন্য তাদের কঠিন বিচার চাই।’
গাইবান্ধায় শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত জাহিদুল ইলাম জাহিদের বাবা আবুল হোসেন বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের লোকেরা আমার ছেলেকে কুপিয়ে কুপিয়ে, পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে। আমার ছেলের অপরাধ সে আওয়ামী লীগ করত, এই জন্যই তাকে হত্যা করে তারা। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানাই, এদের বিচার যেন নিশ্চিত হয়।’
মায়ের কান্নার সভাপতি কামরুজ্জামান লেলিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সামরিক ট্রাইব্যুনালে হত্যার শিকার বাবার কবর কোথায়, সেটাও আমরা অনেক খুঁজেছি। আজিমপুর কবরস্থানে খুঁজতে গিয়ে সেখানকার লোকদের কাছে জানতে পেরেছি, অনেক লাশ নিয়ে আসা হতো তখন, যাদের গোঙানোর শব্দ শোনা যেত। ওইভাবে তাদের কবর দিতে নির্দেশ দেওয়া হতো। এখনই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করছি আমি।’
বরিশালের গৌরনদীতে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীতে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের তাঁরাকূপি আরিফ ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেনওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি দিঘিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও প্রতিপক্ষের মারধরে মাছচাষীসহ চারজন আহত হয়েছেন। এক ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন।
১৫ মিনিট আগেচট্টগ্রামে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলিসহ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের চান্দগাঁও থানার টেকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগেসিলেটে ১ কোটি ২১ লাখ টাকার চোরাই পণ্য আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতি ও আজ শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
৩৯ মিনিট আগে