মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি রণাঙ্গন থেকেই শুরু: বীর মুক্তিযোদ্ধা আলো

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ০১
Thumbnail image
মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি ও দলীয়করণের সূচনা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ২ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক আলো। আজ শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আব্দুল খালেক আলো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গঠিত বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ) ছিল একটি উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক নেতাদের সংগঠন। বিএলএফে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ব্যক্তিরা মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে সক্রিয় ছিলেন না। বরং এঁরা যুদ্ধের পর নেতৃত্বদানের প্রস্তুতিতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। এর মধ্য দিয়েই বিভাজনের বীজ বপিত হয়েছিল।’

এবারের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে আগের তুলনায় লোকসমাগম ছিল কম। মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিও ছিল হাতে গোনা। অনেকে মনে করেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটই এর প্রধান কারণ।

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তবে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধির উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন।

স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা শেখ মোহাম্মদ তোরাব হোসেন নামে এক সহমুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁর বাড়ি খুলনার চিতলমারী। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখলেও তিনি কখনো কোনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেননি। তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছি, কোনো স্বীকৃতির প্রয়োজন নেই।’ সেই সঙ্গে স্মৃতিসৌধটি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত