Ajker Patrika

‘আপনি জামায়াত-বিএনপিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন’, কাকে বললেন আইভী?

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
‘আপনি জামায়াত-বিএনপিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন’, কাকে বললেন আইভী?

নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কারা বেশি লাভবান হয়েছে সেটা দেখতে হবে। যারা দেশে থাকে তারাই দেশে নির্যাতন, হামলা মামলার শিকার হয়। ওয়ান ইলেভেনে যখন নেত্রীকে গ্রেপ্তার করল তখন তো আমি কোনো বড় নেতাকে দেখি নাই এই নারায়ণগঞ্জ শহরে। আজকে যারা হুংকার দেয়—দুঃসময় আসছে, এই করে ফেলবে, সেই করে ফেলবে—তো তখন কোথায় ছিলেন ভাই ব্রাদাররা? এত নেতাকর্মীরা কই ছিলেন? এত বড় বড় কথা কন। আজকে যারা আমার আশেপাশে, এই গুটি কয়জনেই তো মিছিল মিটিং করলাম দুঃসময়ে।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন। এদিন শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ। 

মেয়র আইভী বলেন, ‘আমি সবার কাছে অনুরোধ করব, আর দেড় বছর বাকি আছে নির্বাচনের। যেখানেই যান সেখানে এই সরকারের ভালো কার্যক্রম তুলে ধরুন। দেশের এমন কোনো স্থান নেই যেখানে আমাদের সরকার কাজ করেনি। এগুলো আমাদের তুলে ধরতে হবে। যারা বিভেদকারী তারা বিভেদ করবেই। দল ক্ষমতায় আসলে একটা গ্রুপ মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে নাজেহাল করে ফেলে। হকার নামধারী সন্ত্রাসীদের দিয়ে এক বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা করা হলো, সেই ঘটনায় নয় জনের নামে মামলা করায় নাকি আমি মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেলছি। এই ঘটনায় আপনারা ৫০টা মামলা করে বসতেন। ভাগ্য ভালো আপনি বেঁচে গেছেন, আমরা মামলা মোকদ্দমা করি না। আমরা দলকে সংগঠিত করি, মানুষের কল্যাণে কাজ করি। সুতরাং এই হুংকার বন্ধ করে শেখ হাসিনার জন্য কাজ করেন। অন্যথায় আগামীতে আপনার অবস্থান থাকবে না, এখনও নাই।’ 

নারায়ণগঞ্জের একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার উদ্দেশে সেলিনা হায়াৎ আরও বলেন, ‘ফতুল্লা বিএনপির রানিং নেতাকে ধরে এনে কোন কারণে কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বানিয়ে দিলেন? আপনার লজ্জা করে না? আপনি নাকি বিএনপির বিপক্ষে? ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সব বিএনপির লোক বসিয়ে রেখেছেন। এরা কোনো দিন জয় বাংলা মন থেকে বলবে? আপনি টাকার বিনিময়ে মানুষকে দলে নিয়ে আসেন, আবার টাকার বিনিময়ে আপনি মানুষের ক্ষতি করেন। এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকুন। দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিভেদ তৈরি করেন আপনি। আপনি পেট্রোনাইজ (পৃষ্ঠপোষকতা) করেন জামায়াত-বিএনপিকে। আপনি পেট্রোনাইজ করেছেন জামায়াতের লবিস্ট খ্যাত হেফাজতের ফেরদৌসকে। একে এখন কাজে লাগাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। এগুলো বন্ধ করেন, অন্যথায় এর পরিণতি খুব খারাপ হবে।’ 

অনুষ্ঠানে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন—মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন, জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত