শিশুর মুখে মাটি ভরে ঘাড় মটকে হত্যা: আদালতে ফুপার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ১৮: ২৪

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে পাঁচ বছরের শিশুর মুখে মাটি ভরে ঘাড় মটকে হত্যার ঘটনায় ফুপা দিদারুল ইসলাম পায়েল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুর রহমানের আদালতে এ স্বীকারোক্তি দেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নিহত শিশু রাব্বির ফুপা মো. দিদারুল ইসলাম পায়েল (৩৩) ও তাঁর বন্ধু তনয় খান (১৯)। দিদারুল উপজেলার ছাতিরচর দক্ষিণপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে ও তনয় একই উপজেলার কূর্শা মাইজহাটি গ্রামের জমশেদ খানের ছেলে।

ওসি সারোয়ার জাহান বলেন, নিহত রাব্বির ফুপা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাঁকে ও তাঁর সহযোগী তনয় খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানায়, নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কূর্শা মাইজপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে রাব্বি। সে কূর্শা বিদ্যাময় মডেল একাডেমি কিন্ডারগার্টেনে প্লে শ্রেণিতে পড়ত। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুটি তার মাকে বলে বাসা থেকে বের হয়। পরে শিশুটির ফুপা ও তাঁর বন্ধু তনয় খান তাকে ধরে নিয়ে মুখের ভেতর মাটি ভরে ঘাড় মটকিয়ে হত্যা করেন। ঘটনার পরদিন শনিবার বেলা ২টার দিকে মাইজপাড়া গ্রামের তুহিনের একচালা ছাপরা ঘরের চৌকির নিচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

কিছুদিন আগে শিশুটির ফুপির সঙ্গে ডিভোর্স হয় দিদারুলের। এ কারণে আমিরের সঙ্গে দিদারুলের ঝগড়া ও মারামারি হয়। এ নিয়ে দিদারুল ক্ষোভে আমির হোসেনের পরিবারকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বন্ধু তনয়কে নিয়ে শিশুটিকে হত্যা করেন। শনিবার রাতে শিশুটির বাবা নিকলী থানায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দিদার ও তনয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত