Ajker Patrika

যুবদলের মুন্নার রিমান্ড নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯: ৩২
যুবদলের মুন্নার রিমান্ড নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোল

রাজধানীর রামপুরা থানায় নাশকতার মামলায় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে দুই দিনের রিমান্ডে দেওয়ার পর আদালতে তুমুল হট্টগোল করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় এজলাস থেকে নেমে খাস কামরায় চলে যান বিচারক।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদীর আদালতে এই ঘটনা ঘটে। আদালতের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিমান্ড শুনানি এবং আদালতের আদেশ দেওয়ার পর পরই বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তুমুল হট্টগোল করেন। আদালতের বসার চেয়ার-টেবিল, সোফা ও অন্যান্য আসবাবপত্র উল্টে ফেলে দেন আইনজীবীরা।

এ বিষয়ে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইমরান বলেন, আসামি মোনায়েম মুন্নার পক্ষের আইনজীবীরা এই হট্টগোল করেন।

ঢাকার আইনজীবী সোহেল মিয়া বলেন, আদালতে তুমুল হট্টগোল হয়েছে। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এজলাসের ভেতরে ও বাইরে হট্টগোল করেন। ভেতরে আইনজীবীদের বসার বেঞ্চ সোফা টেবিল উল্টাপাল্টা করেন। তবে শুনানির সময় তিনি ছিলেন না বলে জানান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রামপুরা থানায় দায়ের করা একটি নাশকতার মামলায় মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনসহ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এই আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। মুন্নাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় বিএনপি’র আইনজীবীরা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নামঞ্জুর করার জন্য এবং রিমান্ড না দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন।

আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, গত ৮ মার্চ মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে দেওয়া হয়। এরপর আরও পাঁচটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই পাঁচ মামলায় চারটিতে হাইকোর্ট থেকে জামিন পায় মুন্না। একটিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত জামিন দেন। ওই সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর আবারও তাকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। যাত্রাবাড়ী থানার ওই মামলার জামিন পান তিনি। এরপর মুন্নার পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। রিটে গত ১৬ মে হাইকোর্ট আদেশ দেন এজাহারে নাম না থাকলে মুন্নাকে অন্য কোনো মামলায় যেন গ্রেপ্তার না করা হয়।

এরপর জামিন পাওয়ার সবগুলো মামলায় গত ৩০ আগস্ট মুন্নার পক্ষে জামিননামা দাখিল করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর তাঁর জামিনে মুক্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু এরই মধ্যে রামপুরা থানার এই নাশকতার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন।

মুন্নার পক্ষে আইনজীবীরা বলেন, যেহেতু উচ্চ আদালত তাঁকে গ্রেপ্তার না দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন, সেহেতু রামপুরা থানার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো যাবে না। এ সময় আইনজীবীরা হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগের আদেশও আদালতে দাখিল করেন। একপর্যায়ে আইনজীবীরা তদন্ত কর্মকর্তার গ্রেপ্তার দেখানো আদেশ ও রিমান্ডের আদেশ স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন। আইনজীবীরা বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আবারও হাইকোর্টে যাবেন। কিন্তু আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তখন হইচই শুরু করেন। একপর্যায়ে বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীরা অন্য আইনজীবীদের আদালত কক্ষ থেকে বাইরে বের করে দেন। সেখানেও তাঁরা মিছিল করে এবং আদালতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুন্নার আইনজীবীরা বলেন, আদালত উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করায় আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে ভাঙচুর বা হট্টগোলের ঘটনা ঘটেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুসলিম ছেলে বিয়ে করে পরিবারহারা, স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে ঢাকায় এসে ধর্ষণের শিকার

সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

মাদারীপুরে ৩ খুন: ঘটনার পেছনে পা ভাঙার প্রতিশোধসহ ৩ কারণ

মসজিদে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তাঁর ভাই, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিল প্রতিপক্ষ

ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর ছবি-পরিচয় প্রকাশ করলেই আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত