Ajker Patrika

জামিন পেলেন টিকটকার প্রিন্স মামুন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামিন পেলেন টিকটকার প্রিন্স মামুন 

আলোচিত-সমালোচিত এক নারী টিকটকারকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আরেক টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন জামিন দেন। 

গত ১১ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তার প্রিন্স মামুনকে হাজির করার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। 

এরপর প্রিন্স মামুনের পক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত আজ সোমবার শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন দেন। 

মামলার এজাহার অনুযায়ী—জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে দাবি করেন। আসামিপক্ষ থেকে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

জামিনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার নুরুল মুত্তাকিন। 

মামুনকে গত ১০ জানুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে গ্রেপ্তার করে দাউদকান্দি থানা-পুলিশ। এরপর রাত ১২টায় তাকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 
 
এর আগে গত ৯ জুন বহুল আলোচিত-সমালোচিত ৪৮ বছর বয়সী এক নারী টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়—আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে বাদীর তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাঁকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে মামুন নারী টিকটকারকে জানায়, তাঁর ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন বিয়ে করবে বলে জানান। তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে বাদী নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন। 

 ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে বাদীর বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। ওই দিন থেকে দুজন একই রুমে থাকতে শুরু করেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার মামুন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। কিন্তু পরে বিয়ে করা নিয়ে টালবাহানা শুরু করে। সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ মামুন বাদীর বাসায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে বাদী মামুনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মামুন ও বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। 

উল্লেখ্য, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই বাদী তাঁকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গত বছর ১২ ডিসেম্বর একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর গত ৪ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন মামুন। এরপরই আবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত