ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের ঘিওরে অসময়ে শুষ্ক প্রায় পুরোনো ধলেশ্বরী নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ছে বড় বড় বোয়াল, আইড় ও রুই মাছ। এ ছাড়া ঝাঁকি জালের টানে উঠছে ট্যাংরা, পুঁটি, বেলেসহ নানা ছোট মাছ। ফলে মাছ ধরার জন্য পাড়ে সকাল থেকেই শৌখিন মাছ শিকারিরা ভিড় করছেন।
স্থানীয় প্রবীণরা জানান, মাঘ মাস চলছে, নদী প্রায় শুকিয়ে গেছে। এই নদীর কয়েক স্থানে গভীর জলাশয় সৃষ্টি হয়েছে। এখানেই বড়শিতে ধরা পড়ছে বড় মাছ। আগে কখনো এত মাছ ধরা পড়ার ঘটনা দেখিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে নদীপাড়ে দেখা যায়, কেউ দাঁড়িয়ে বড়শির ছিপ হাতে, কেউবা নদীর মাঝে নৌকায় বসে আছেন স্থির। কখন টোপ গিলে মাছ সেই অপেক্ষায়। নদীর পাড় থেকে ঝাঁকি জাল, ঠেলা জাল দিয়েও মাছ ধরছেন কয়েকজন। উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন মাছ ধরার দৃশ্য।
শিশু থেকে শুরু করে যুবক এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাও যোগ দিচ্ছেন মাছ ধরতে।
উপজেলার ঘিওর সদর ইউনিয়নের গরুহাঁটার পাশে, স্টিল ব্রিজের নিচে, ডিএন স্কুল ও কলেজের পেছনে, কুস্তা ভাঙা মোড়, বামনা ও পেঁচারকান্দা এলাকায় গত বছর বর্ষায় নদী ভাঙনের ফলে কুম (গভীরতা) পড়েছে। সেখানেই ধরা পড়ছে বড় বড় মাছ। মাছ শিকারিসহ স্থানীয় মানুষ মাছগুলো দেখে আনন্দিত।
স্থানীয়রা অনেকেই ১ কেজি থেকে শুরু করে ৭ কেজি ওজনের মাছ ধরেছেন। উপজেলা সদরের স্টিল ব্রিজের নিচ থেকে শুক্রবার বিকেলে ৭ কেজি ওজনের আইড় মাছ ধরা পড়ে। মাছটি শিকার করেন ঘিওর ইউনিয়নের মাইলাঘী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. ইসমাইল হোসেন। এ মাছ এক নজর দেখতে ভিড় করেন এলাকার মানুষ। উৎসুক অনেকেই মাছটি কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকালেও ইসমাইল মাছটি বিক্রি করেননি।
শৌখিন মাছ শিকারি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে ধলেশ্বরী নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যাই। আজ দুপুর থেকে বড়শি নিয়ে বসেছিলাম। বিকেল পর্যন্ত বড়শিতে কোনো সাড়া নেই। ভাবলাম আর একটু সময় দেখে বাড়ি ফিরে যাব। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বড়শিতে সজোরে টান পড়ল। আধা ঘণ্টা নানা কৌশলে মাছটি ধরলাম। এত বড় আইড় মাছ দেখে নিজে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। খুব খুশি লাগছে। কয়েকজন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দাম করলেও বাড়ির সবাই মিলে খাওয়ার জন্য আমি মাছটি বিক্রি করিনি।
গরুহাঁটার পাশে নদীর মাঝে নৌকায় বসে মাছ শিকার করছেন প্রবীণ ব্যক্তি আয়নাল মিয়া, রহিদাস বাকালী ও জব্বার প্রধানসহ আরও অনেকেই। আয়নাল মিয়া বলেন, ‘গত বুধবার সাড়ে ৪ কেজি ওজনের একটি বোয়াল ধরেছি। আজ একটি মাঝারি বাইম মাছ পেয়েছি।’
রহিদাস বাকালী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়শি দিয়ে মাছ ধরি। গত ১৫ দিনে আমি দুটি বোয়াল আর তিনটি কাতলা মাছ পেয়েছি।’
উপজেলার বামনা এলাকায় স্কুলছাত্র মিজানুর ও রিপন নদীর পাড় ঘেঁষে ঠেলা জাল দিয়ে কেজি খানেক বড় বড় ট্যাংরা, পুঁটি মাছ ধরেছে। তারা জানায়, এই সময় নদীতে পানি কম থাকে। পাড় ঘেঁষে ছোট মাছ ঘুরে। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ মাছ বেশি ধরা পড়ছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘিওরে পুরোনো ধলেশ্বরী নদীতে বড় বড় বোয়াল, আইড়, রুই, কাতল মাছ ধরা পড়ে। এর আগে কয়েকটি বড় বোয়াল এবং আজ একটি বড় আইড় মাছ ধরা পড়েছে বলে শুনেছি। ধলেশ্বরী নদীর মাছ অন্যান্য নদীর মাছের তুলনায় সুস্বাদু এবং বাজারমূল্য অনেক বেশি।’
মানিকগঞ্জের ঘিওরে অসময়ে শুষ্ক প্রায় পুরোনো ধলেশ্বরী নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ছে বড় বড় বোয়াল, আইড় ও রুই মাছ। এ ছাড়া ঝাঁকি জালের টানে উঠছে ট্যাংরা, পুঁটি, বেলেসহ নানা ছোট মাছ। ফলে মাছ ধরার জন্য পাড়ে সকাল থেকেই শৌখিন মাছ শিকারিরা ভিড় করছেন।
স্থানীয় প্রবীণরা জানান, মাঘ মাস চলছে, নদী প্রায় শুকিয়ে গেছে। এই নদীর কয়েক স্থানে গভীর জলাশয় সৃষ্টি হয়েছে। এখানেই বড়শিতে ধরা পড়ছে বড় মাছ। আগে কখনো এত মাছ ধরা পড়ার ঘটনা দেখিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে নদীপাড়ে দেখা যায়, কেউ দাঁড়িয়ে বড়শির ছিপ হাতে, কেউবা নদীর মাঝে নৌকায় বসে আছেন স্থির। কখন টোপ গিলে মাছ সেই অপেক্ষায়। নদীর পাড় থেকে ঝাঁকি জাল, ঠেলা জাল দিয়েও মাছ ধরছেন কয়েকজন। উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন মাছ ধরার দৃশ্য।
শিশু থেকে শুরু করে যুবক এবং বয়স্ক ব্যক্তিরাও যোগ দিচ্ছেন মাছ ধরতে।
উপজেলার ঘিওর সদর ইউনিয়নের গরুহাঁটার পাশে, স্টিল ব্রিজের নিচে, ডিএন স্কুল ও কলেজের পেছনে, কুস্তা ভাঙা মোড়, বামনা ও পেঁচারকান্দা এলাকায় গত বছর বর্ষায় নদী ভাঙনের ফলে কুম (গভীরতা) পড়েছে। সেখানেই ধরা পড়ছে বড় বড় মাছ। মাছ শিকারিসহ স্থানীয় মানুষ মাছগুলো দেখে আনন্দিত।
স্থানীয়রা অনেকেই ১ কেজি থেকে শুরু করে ৭ কেজি ওজনের মাছ ধরেছেন। উপজেলা সদরের স্টিল ব্রিজের নিচ থেকে শুক্রবার বিকেলে ৭ কেজি ওজনের আইড় মাছ ধরা পড়ে। মাছটি শিকার করেন ঘিওর ইউনিয়নের মাইলাঘী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. ইসমাইল হোসেন। এ মাছ এক নজর দেখতে ভিড় করেন এলাকার মানুষ। উৎসুক অনেকেই মাছটি কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকালেও ইসমাইল মাছটি বিক্রি করেননি।
শৌখিন মাছ শিকারি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে ধলেশ্বরী নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যাই। আজ দুপুর থেকে বড়শি নিয়ে বসেছিলাম। বিকেল পর্যন্ত বড়শিতে কোনো সাড়া নেই। ভাবলাম আর একটু সময় দেখে বাড়ি ফিরে যাব। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বড়শিতে সজোরে টান পড়ল। আধা ঘণ্টা নানা কৌশলে মাছটি ধরলাম। এত বড় আইড় মাছ দেখে নিজে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। খুব খুশি লাগছে। কয়েকজন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দাম করলেও বাড়ির সবাই মিলে খাওয়ার জন্য আমি মাছটি বিক্রি করিনি।
গরুহাঁটার পাশে নদীর মাঝে নৌকায় বসে মাছ শিকার করছেন প্রবীণ ব্যক্তি আয়নাল মিয়া, রহিদাস বাকালী ও জব্বার প্রধানসহ আরও অনেকেই। আয়নাল মিয়া বলেন, ‘গত বুধবার সাড়ে ৪ কেজি ওজনের একটি বোয়াল ধরেছি। আজ একটি মাঝারি বাইম মাছ পেয়েছি।’
রহিদাস বাকালী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়শি দিয়ে মাছ ধরি। গত ১৫ দিনে আমি দুটি বোয়াল আর তিনটি কাতলা মাছ পেয়েছি।’
উপজেলার বামনা এলাকায় স্কুলছাত্র মিজানুর ও রিপন নদীর পাড় ঘেঁষে ঠেলা জাল দিয়ে কেজি খানেক বড় বড় ট্যাংরা, পুঁটি মাছ ধরেছে। তারা জানায়, এই সময় নদীতে পানি কম থাকে। পাড় ঘেঁষে ছোট মাছ ঘুরে। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ মাছ বেশি ধরা পড়ছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘিওরে পুরোনো ধলেশ্বরী নদীতে বড় বড় বোয়াল, আইড়, রুই, কাতল মাছ ধরা পড়ে। এর আগে কয়েকটি বড় বোয়াল এবং আজ একটি বড় আইড় মাছ ধরা পড়েছে বলে শুনেছি। ধলেশ্বরী নদীর মাছ অন্যান্য নদীর মাছের তুলনায় সুস্বাদু এবং বাজারমূল্য অনেক বেশি।’
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
২ ঘণ্টা আগে