Ajker Patrika

২৪ কোটির সেতুতে সড়ক হয়নি ৬ বছরেও

  • সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালের জুনে।
  • প্রয়োজনীয় জমির অভাবে সড়ক নির্মাণ করা যায়নি।
বেলাল হোসাইন, শরীয়তপুর
Thumbnail image
সংযোগ সড়ক না থাকা ফাঁকা সেতুতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি ভোজেশ্বর বন্দরের পাশে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় কীর্তিনাশা নদীর ওপর ভোজেশ্বর-মহিষখোলা সড়কে ৯৯ মিটার লম্বা একটি সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয় ২০১৯ সালের জুনে। এতে ব্যয় করা হয় ১০ কোটি টাকা। এরপর আরও ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চার বছর পর সেতুর দুই পাশে ৪০০ মিটার প্রতিরক্ষাদেয়াল নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু গত ছয় বছরেও এ সেতু স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনো কাজে আসেনি। কারণ, এতে নেই সংযোগ সড়ক।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মূল নকশা অনুযায়ী সংযোগ সড়কের জমির ব্যবস্থা না করেই সেতু নির্মাণ করে। ফলে ২৪ কোটি টাকা খরচের পরও সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত জনগণ। এলজিইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোজেশ্বর বন্দরে যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘবে ২০১৬ সালে বন্দরের পাশ দিয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কামারজানি-ব্রোজেন-আনোয়ারা জেভি। ২০১৯ সালে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলেও জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় তখন সড়ক নির্মাণ সম্ভব হয়নি। এরপর ২০২৩ সালের জুনে সুরক্ষাদেয়ালের কাজ শেষ করে আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।

এত টাকা ব্যয় করার পরও সেতু চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। স্থানীয় জপসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মাদবর বলেন, ‘সংযোগ সড়ক নির্মাণে যথেষ্ট সরকারি জায়গা আছে কি না, তা যাচাই-বাছাই না করেই অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ করেছে এলজিইডি। তাদের নাকি জমি অধিগ্রহণের নিয়ম নেই। এর ফলে সড়ক নির্মাণে জটিলতা দেখা দেয়।’

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, এখন জমি সমস্যার সমাধান করে আরও ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সুরক্ষাদেয়ালসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ করবে ডার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।

এ নিয়ে কথা হলে নড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘স্থানীয়রা জমি না ছাড়ায় তখন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এরপর সড়কের নকশা পরিবর্তন করে নতুন পদ্ধতিতে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রিইনফোর্সড আর্থ ওয়াল নির্মাণ শেষ করা হয় দুই বছর আগে। তারপরও জটিলতা কাটেনি। ভূমি সমস্যা সমাধান না হওয়ায় ঠিকাদার কাজ করতে পারেননি। এখন নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে সেতুটি জনসাধারণের জন্য ব্যবহার উপযোগী করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ

তিন ভোটের কর্মকর্তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানে দুদক

মেডিকেলে ভর্তি: সনদ যাচাইয়ে অনুপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ ৪৯ শিক্ষার্থী

২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন কর্মসূচি শুরু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত