নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ৪৭ আসামির মামলা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান মামলাটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৫ জুন এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন ৩৭ জন আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগের অভিযোগপত্রে ১০ জন আসামি ছিলেন।
আদালত সূত্র থেকে জানা যায়, নতুন ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করায় তাঁদের অপরাধ আমলে নেওয়া হবে কি না সেই ক্ষমতা রয়েছে সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের। তাই আইনগত প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার জন্য আদালত নথিটি সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে ফেরত পাঠান। একই সঙ্গে আগামী ২৩ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।
এই মামলায় আগে দাখিল করা অভিযোগপত্রের ১০ আসামি হলেন সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খোন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, এ এইচ এম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
সম্পূরক অভিযোগপত্রে আগের ১০ জনকে আসামি রাখা হয়েছে। নতুন করে আরও ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আসলাম খোন্দকার, আসিফুর রহমান, নিশান মাহফুজ, বিল্লাল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, অনিমেষ রায়, সামছুল আলম চৌধুরী, দীপক মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জি, সফিকুল ইসলাম, ফকির বেলায়েত, গোলাম মোহাম্মদ নাসির, জামাল আহমেদ খান, বেলায়েত মোল্লা, আহসান হোসেন খান, অমিতাভ বোস, চৌধুরী মো. হাসান, জাফর ইকবাল, সাজ্জাদের স্ত্রী আফরোজা পারভীন, সোহেলী ইমরুজ, সাহেব সরোয়ার, মো. নাসির, সাজ্জাদ হোসেন, স্বপন কুমার পাল, জাহিদ বেপারী, খলিফা কামাল, নাফিজুল, রিয়াজ আহমদ, আনোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান, সুমন সাহা, আব্দুল জলিল শেখ, মাহতাব, খন্দকার শাহিন আহমেদ ও আরিফুর রহমান দোলন।
এর আগে গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তাঁরা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তাঁরা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
পরে এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হাসান একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানান, এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে অর্থ পাচারের দায় স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে আসামি নিশান মাহমুদ শামীম ও বিল্লাল হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। কিন্তু তাঁদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অন্যদিকে অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তিতে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়ে গেছে এমন কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাঁদেরকেও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আদালত শুনানি শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ৪৭ আসামির মামলা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান মামলাটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৫ জুন এই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন ৩৭ জন আসামি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগের অভিযোগপত্রে ১০ জন আসামি ছিলেন।
আদালত সূত্র থেকে জানা যায়, নতুন ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করায় তাঁদের অপরাধ আমলে নেওয়া হবে কি না সেই ক্ষমতা রয়েছে সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের। তাই আইনগত প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার জন্য আদালত নথিটি সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে ফেরত পাঠান। একই সঙ্গে আগামী ২৩ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।
এই মামলায় আগে দাখিল করা অভিযোগপত্রের ১০ আসামি হলেন সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খোন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, এ এইচ এম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
সম্পূরক অভিযোগপত্রে আগের ১০ জনকে আসামি রাখা হয়েছে। নতুন করে আরও ৩৭ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আসলাম খোন্দকার, আসিফুর রহমান, নিশান মাহফুজ, বিল্লাল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, অনিমেষ রায়, সামছুল আলম চৌধুরী, দীপক মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জি, সফিকুল ইসলাম, ফকির বেলায়েত, গোলাম মোহাম্মদ নাসির, জামাল আহমেদ খান, বেলায়েত মোল্লা, আহসান হোসেন খান, অমিতাভ বোস, চৌধুরী মো. হাসান, জাফর ইকবাল, সাজ্জাদের স্ত্রী আফরোজা পারভীন, সোহেলী ইমরুজ, সাহেব সরোয়ার, মো. নাসির, সাজ্জাদ হোসেন, স্বপন কুমার পাল, জাহিদ বেপারী, খলিফা কামাল, নাফিজুল, রিয়াজ আহমদ, আনোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান, সুমন সাহা, আব্দুল জলিল শেখ, মাহতাব, খন্দকার শাহিন আহমেদ ও আরিফুর রহমান দোলন।
এর আগে গত ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তাঁরা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন ওই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তাঁরা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
পরে এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারিত তারিখে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হাসান একটি দরখাস্ত দিয়ে আদালতকে জানান, এই মামলায় ৬ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে অর্থ পাচারের দায় স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে আসামি নিশান মাহমুদ শামীম ও বিল্লাল হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। কিন্তু তাঁদেরকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অন্যদিকে অন্যান্য আসামির স্বীকারোক্তিতে অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়ে গেছে এমন কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাঁদেরকেও মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আদালত শুনানি শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজ্জাক ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
৪ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সজীব হাওলাদার (২৭) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকার একটি ১০ তলা ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেফেসবুকে আওয়ামী লীগের ভিডিও শেয়ার দেওয়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত দেলোয়ার হোসেন ওরফে বগা (৩৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
২৬ মিনিট আগেরাজশাহীতে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আলেম, ওলামা ও তাওহীদি জনতা, রাজশাহীর ব্যানারে আজ সোমবার দুপুরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
৩৪ মিনিট আগে