নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ১৩: ৪৬
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৪, ১৪: ২৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে গ্যাসের দাবিতে  মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক ইউটার্নের সামনে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়ে ওই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা। 

মনববন্ধনে অংশ নেওয়া সানারপাড় এলাকার সৈয়দ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ তিন বছর ধরে গ্যাস পাই না। ঠিকমতো রান্নাবান্না করতে পারি না। রাত ৩টায় গ্যাস আসে, ৪টায় চলে যায়। তিতাস গ্যাস অফিসের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে ফল পাইনি। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত গ্যাসের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন করছি।’ 

আরেক অংশগ্রহণকারী মাদানিনগর এলাকার গৃহিণী শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘আশপাশের সব জায়গায় গ্যাস থাকলেও আমাদের এখানে গ্যাস থাকে না। গভীর রাতে আসলে আসে, না আসলে তো নাই। তিতাস কর্মকর্তাদের জানানোর পর তাঁরা শুধু বলেন, দেখতাছি। কিন্তু কিছুই দেখেন না তাঁরা। 

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের টিয়াই এ কে এম শরফুদ্দিন বলেন, ‘গ্যাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। এতে কিছুক্ষণের জন্য সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে তারা সবাই এখন সড়ক থেকে সড়ে গেছে। আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক করে দিয়েছি। এখন আর সড়কে কোনো জ্যাম নাই।’   

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে গ্যাসের সমস্যার কারণে মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিই। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।’ 

তিতাস গ্যাসের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-মহাব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘গ্যাস এখন আমাদের জাতীয় সমস্যা। আমাদের এলএনজি সরবরাহ নাই। এ জন্য মূলত সমস্যা হয়েছে। আমাদের হাতে তো কিছু নাই।’ 

তিন বছর ধরে গ্যাসের সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে গ্যাস নাই এটা যদি বলে থাকে, তাহলে সঠিক না। আমাদের গ্যাসের ক্রাইসিস, তাই রাতে-দিনে মিলিয়ে গ্যাস আসে-যায়। সারা বাংলাদেশে এখন গ্যাসের সমস্যা। গ্যাস যদি সরকার দিতে না পারে, আমরা কী করতে পারি? তবে সরকার ও আমাদের কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে যেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত