মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ)
পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আনতে বাবার চায়ের দোকানেই সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন তপন। চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দেওয়ার বদলে নেমেছিলেন জীবনের পরীক্ষায়। জীবনের পরীক্ষায় নিজের দৃষ্টিতে সফল তপন চন্দ্র দাস আর বিকল্প কোনো পেশা খোঁজেননি।
কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চলের অথই জলরাশি চিরে তৈরি পিচঢালা সড়ক দিয়ে যারা হাওরের সৌন্দর্য দেখতে আসেন তাঁরা মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পুব দিকে তাকালেই চোখে পড়বে মানুষের ভিড়। ভিড় ঠেলে একটু সামনে গেলেই দেখা মিলবে বিশাল একটি টেবিলের চারপাশ ঘুরে মগে দুধ-চিনি-লিকার ঢেলে চামচের টুং টাং শব্দে চা তৈরি করছেন ২৯ বছরের এক যুবক।
তপনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কম দামে অল্প সময়ে ভালো চা পাওয়া যায় তপনের স্টলে। বিশ বছর ধরে চা বিক্রি করে পরিবারকে আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিয়েছেন তপন। বছর দশেক আগে বিয়ে দিয়েছেন এক বড় বোনের। বাকি দুই বোনের একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অন্যজন মাস্টার্স করছেন। কয়েক মাস আগেও নিজেও বিয়ে করছেন।
তপন জানান, তাঁর বড় ভাই লেখাপড়া ছেড়ে স্থানীয় লন্ড্রিতে কাজ নেন। বাবা বানু চন্দ্র দাস স্বল্প পুঁজিতে শুরু করেন চায়ের দোকান। তা দিয়েই চলত তিন বোন, মা-বাবাসহ ৭ জনের সংসার। বাবার বার্ধক্যের কারণে বাবার দোকানেই সহযোগীর। কিন্তু বেতন দিয়ে মানুষ নিলে টান পড়বে সংসারে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া তপন যোগ দেন বাবার চা দোকানে।
১০ বছর আগে বাবা মারা গেলে সংসারের দায় এসে পড়ে তাঁর ঘাড়ে। তখন থেকেই কলেজ পড়ুয়া দুই বোন, মা এবং সংসার সামলান তপন। নিজের লেখাপড়ার স্বপ্ন বোনদের মধ্যে দেখে দোকান ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে শুরু করেন দাঁড়িয়ে চা বিক্রি। খুব অল্প দিনেই তপনের হাতে তৈরি গাঢ় লিকার আর গাভির দুধ মেশানো চায়ের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। পার্শ্ববর্তী কয়েক গ্রামের বহু মানুষ তপনের চায়ের স্বাদ নিতে আসেন নিয়মিত।
তপনের তৈরি রং চায়ের দাম ৫ টাকা। কাপ ভর্তি সর বা মালাই চা বিক্রি করেন ১০ টাকায়। দিনে প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ কাপ চা তৈরি করেন তিনি। ফলে দিনে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার চা বিক্রি হয়। এতেই চলে বোনদের লেখাপড়া, পরিবারের জীবিকা।
তপনের চায়ের পসার চলে প্রতিদিন সকাল ৮টা হতে ১২টা এবং বিকেল ৩টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত। চা বানাতে দরকার হয় ১০ থেকে ১২ কেজি চিনি, ৩০ / ৩৫ কেজি গরুর দুধ ও ২ কেজি মানসম্মত চা পাতা আর কাঠের লাকড়ি। পরিষ্কার কাপ, সুস্বাদু চা আর তপনের আন্তরিক ব্যবহারে মুগ্ধ চা প্রেমীরা।
পার্শ্ববর্তী ঢাকি ইউনিয়নের সোহরাব হোসেন বলেন, ‘মিঠামইন এলে তপনের চা না খেয়ে যাই না। অল্প দামে এত ভালো চা আশপাশে কয়েক উপজেলায় মেলে না।’ কলমা ইউনিয়নের সত্যজিৎ দাস বলেন, ‘গরুর খাঁটি দুধে এমন মানসম্পন্ন চা শহরে দশ টাকায়ও মিলবে না। মাঝেমধ্যে একসঙ্গে দুই কাপ খেতে হয়।’
তপন চন্দ্র দাস বলেন, ‘সৎভাবে মান ধরে রাখা আর ভালো আচরণে সফলতা আসবেই। চা তৈরি আমার ধ্যান জ্ঞান। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি চায়ের মান বাড়াতে। মানুষের তৃপ্তিই আমার পরম পাওয়া। এই পেশাই আমার বাকি জীবন চলবে।’
পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আনতে বাবার চায়ের দোকানেই সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন তপন। চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দেওয়ার বদলে নেমেছিলেন জীবনের পরীক্ষায়। জীবনের পরীক্ষায় নিজের দৃষ্টিতে সফল তপন চন্দ্র দাস আর বিকল্প কোনো পেশা খোঁজেননি।
কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চলের অথই জলরাশি চিরে তৈরি পিচঢালা সড়ক দিয়ে যারা হাওরের সৌন্দর্য দেখতে আসেন তাঁরা মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পুব দিকে তাকালেই চোখে পড়বে মানুষের ভিড়। ভিড় ঠেলে একটু সামনে গেলেই দেখা মিলবে বিশাল একটি টেবিলের চারপাশ ঘুরে মগে দুধ-চিনি-লিকার ঢেলে চামচের টুং টাং শব্দে চা তৈরি করছেন ২৯ বছরের এক যুবক।
তপনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কম দামে অল্প সময়ে ভালো চা পাওয়া যায় তপনের স্টলে। বিশ বছর ধরে চা বিক্রি করে পরিবারকে আর্থিক সচ্ছলতা এনে দিয়েছেন তপন। বছর দশেক আগে বিয়ে দিয়েছেন এক বড় বোনের। বাকি দুই বোনের একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অন্যজন মাস্টার্স করছেন। কয়েক মাস আগেও নিজেও বিয়ে করছেন।
তপন জানান, তাঁর বড় ভাই লেখাপড়া ছেড়ে স্থানীয় লন্ড্রিতে কাজ নেন। বাবা বানু চন্দ্র দাস স্বল্প পুঁজিতে শুরু করেন চায়ের দোকান। তা দিয়েই চলত তিন বোন, মা-বাবাসহ ৭ জনের সংসার। বাবার বার্ধক্যের কারণে বাবার দোকানেই সহযোগীর। কিন্তু বেতন দিয়ে মানুষ নিলে টান পড়বে সংসারে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া তপন যোগ দেন বাবার চা দোকানে।
১০ বছর আগে বাবা মারা গেলে সংসারের দায় এসে পড়ে তাঁর ঘাড়ে। তখন থেকেই কলেজ পড়ুয়া দুই বোন, মা এবং সংসার সামলান তপন। নিজের লেখাপড়ার স্বপ্ন বোনদের মধ্যে দেখে দোকান ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে শুরু করেন দাঁড়িয়ে চা বিক্রি। খুব অল্প দিনেই তপনের হাতে তৈরি গাঢ় লিকার আর গাভির দুধ মেশানো চায়ের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। পার্শ্ববর্তী কয়েক গ্রামের বহু মানুষ তপনের চায়ের স্বাদ নিতে আসেন নিয়মিত।
তপনের তৈরি রং চায়ের দাম ৫ টাকা। কাপ ভর্তি সর বা মালাই চা বিক্রি করেন ১০ টাকায়। দিনে প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ কাপ চা তৈরি করেন তিনি। ফলে দিনে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার চা বিক্রি হয়। এতেই চলে বোনদের লেখাপড়া, পরিবারের জীবিকা।
তপনের চায়ের পসার চলে প্রতিদিন সকাল ৮টা হতে ১২টা এবং বিকেল ৩টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত। চা বানাতে দরকার হয় ১০ থেকে ১২ কেজি চিনি, ৩০ / ৩৫ কেজি গরুর দুধ ও ২ কেজি মানসম্মত চা পাতা আর কাঠের লাকড়ি। পরিষ্কার কাপ, সুস্বাদু চা আর তপনের আন্তরিক ব্যবহারে মুগ্ধ চা প্রেমীরা।
পার্শ্ববর্তী ঢাকি ইউনিয়নের সোহরাব হোসেন বলেন, ‘মিঠামইন এলে তপনের চা না খেয়ে যাই না। অল্প দামে এত ভালো চা আশপাশে কয়েক উপজেলায় মেলে না।’ কলমা ইউনিয়নের সত্যজিৎ দাস বলেন, ‘গরুর খাঁটি দুধে এমন মানসম্পন্ন চা শহরে দশ টাকায়ও মিলবে না। মাঝেমধ্যে একসঙ্গে দুই কাপ খেতে হয়।’
তপন চন্দ্র দাস বলেন, ‘সৎভাবে মান ধরে রাখা আর ভালো আচরণে সফলতা আসবেই। চা তৈরি আমার ধ্যান জ্ঞান। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি চায়ের মান বাড়াতে। মানুষের তৃপ্তিই আমার পরম পাওয়া। এই পেশাই আমার বাকি জীবন চলবে।’
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকা মহানগরীতে প্রায় দুই কোটি লোকের বসবাস। ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে। দায়িত্ব থেকে আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কল্যাণ সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন..
১৪ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় বলেশ্বর ও ভৈরব নদের তীর দীর্ঘদিন পর পরিষ্কার করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে কচুয়া জিরো পয়েন্ট থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
২০ মিনিট আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়তে থাকবে। তাই দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
৪১ মিনিট আগেভাঙচুর–ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুরে সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান ওমর বীর উত্তমসহ ৫৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তালুকদার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আরও দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে