ঢাবি প্রতিনিধি
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে রাষ্ট্র গঠন হয়েছিল, কিন্তু বর্ণবাদ চলে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জয় ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত দাস। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে হরিজন সম্প্রদায়ের ৫ শিক্ষার্থীকে ভর্তি না করানোর প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় হেমন্ত দাস বলেন, ‘বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে রাষ্ট্র গঠন হয়েছিল কিন্তু বর্ণবাদ চলে যায়নি। এখনো হরিজন সম্প্রদায়ের লোকদের পেশা দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে, পেশা দিয়ে তাকে আচরণ করা হচ্ছে। পেশার দিকে তাকিয়ে তাকে সম্মান করা হচ্ছে। কিন্তু কথা ছিল মানুষ হিসেবে বিবেচনা করার! আমরা সেই সমাজ তৈরি করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন রয়েছে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রয়েছে পূজা উদ্যাপন কমিটি রয়েছে কিন্তু তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে না। তারা কী চায়?’ সমাজে যারা পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাজ করে তারা কোনো কিছু সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না, তারা শান্তি মতো ঘুমাতে পারছে না, সামজে তারা সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। আমাদের এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
বাংলাদেশ জয় ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন হেমন্ত দাস এবং সঞ্চালনা করেন ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার। এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সভাপতি উৎপল বিশ্বাস, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. হারুনুর রশিদ, সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট ইফতেখার বাবু, নারী অধিকার কর্মী মার্জিয়া প্রভা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সংগঠক ফয়জুল হাকিমসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা জানান, আজকে যারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এ দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু তারা সুযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু কথা ছিল তাঁরাও সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সরকার সেই সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে পারছে না, সেই বর্ণবাদী বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। পার্বতীপুরের ৫ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়য়ে ভর্তি না করালে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
উৎপল বিশ্বাস বলেন, ‘বর্ণবাদকে প্রত্যাখ্যান করে নতুন রাষ্ট্র হয়েছিল সেখানেও জাতপাত নিয়ে বৈষম্য চলছে। সারা দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে করে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী ভালো মজুরি পায় না। তাদের নাগরিক অধিকার নেই, তাদের অধিকারের পাশে শামিল হওয়ার দায়িত্ব আমাদের। ২০০৫ সালে বৈষম্য বিরোধী আইন উত্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু এখনো তা পাশ হয়নি। কেন পাশ হয়নি! তা আমাদের জানা, কারণ পাশ হলে সামাজিক যে বৈষম্য রয়েছে তা ভেঙে যাবে। তথাকথিত ছোট জাতের লোকের জেগে উঠবে।’
ডা. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের অনেকেই নিজেকে ধার্মিক দাবি করে বসেন, আপনি নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন। কিন্তু ইসলাম ধর্মে আশরাফ ও আতরাফের কোনো জায়গা আছে? নবী করীম (সা.) হযরত বেলালকে বিশেষ সম্মান দিয়েছিলেন কিন্তু আপনি কেন বৈষম্য তৈরি করছেন! আপনি কীভাবে নিজেকে ধার্মিক দাবি করেন। আপনি আপনার পাশে থাকা হরিজন, পাহাড়িদের সঙ্গে বৈষম্য করছেন, তাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করছেন। তাহলে কীভাবে আপনি ধার্মিক? ধর্মের কোথাও বৈষম্যের কথা উল্লেখ নেই!’
তিনি আরও বলেন, ‘সিলেটে শিক্ষার্থীদের একটি আন্দোলনে জাফর ইকবাল গিয়ে কলাপস করলেন, পরে শিক্ষামন্ত্রী গেলেন, উনার (শিক্ষামন্ত্রী) সময় হয় না। এখনো তিনি পার্বতীপুরের অবস্থা জানেন কিনা জানি না। তবে, অন্যরা যখন বেহুশ হয়ে যাবে তখন শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশ হবে।’
রাষ্ট্রের কর্ণধারদের মানুষের আওয়াজ শুনার আহবান জানান এই চিকিৎসক।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে রাষ্ট্র গঠন হয়েছিল, কিন্তু বর্ণবাদ চলে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জয় ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত দাস। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে হরিজন সম্প্রদায়ের ৫ শিক্ষার্থীকে ভর্তি না করানোর প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় হেমন্ত দাস বলেন, ‘বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে রাষ্ট্র গঠন হয়েছিল কিন্তু বর্ণবাদ চলে যায়নি। এখনো হরিজন সম্প্রদায়ের লোকদের পেশা দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে, পেশা দিয়ে তাকে আচরণ করা হচ্ছে। পেশার দিকে তাকিয়ে তাকে সম্মান করা হচ্ছে। কিন্তু কথা ছিল মানুষ হিসেবে বিবেচনা করার! আমরা সেই সমাজ তৈরি করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন রয়েছে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রয়েছে পূজা উদ্যাপন কমিটি রয়েছে কিন্তু তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে না। তারা কী চায়?’ সমাজে যারা পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাজ করে তারা কোনো কিছু সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না, তারা শান্তি মতো ঘুমাতে পারছে না, সামজে তারা সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। আমাদের এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
বাংলাদেশ জয় ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন হেমন্ত দাস এবং সঞ্চালনা করেন ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার। এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সভাপতি উৎপল বিশ্বাস, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. হারুনুর রশিদ, সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট ইফতেখার বাবু, নারী অধিকার কর্মী মার্জিয়া প্রভা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সংগঠক ফয়জুল হাকিমসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা জানান, আজকে যারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এ দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু তারা সুযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু কথা ছিল তাঁরাও সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সরকার সেই সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে পারছে না, সেই বর্ণবাদী বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। পার্বতীপুরের ৫ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়য়ে ভর্তি না করালে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
উৎপল বিশ্বাস বলেন, ‘বর্ণবাদকে প্রত্যাখ্যান করে নতুন রাষ্ট্র হয়েছিল সেখানেও জাতপাত নিয়ে বৈষম্য চলছে। সারা দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে করে একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী ভালো মজুরি পায় না। তাদের নাগরিক অধিকার নেই, তাদের অধিকারের পাশে শামিল হওয়ার দায়িত্ব আমাদের। ২০০৫ সালে বৈষম্য বিরোধী আইন উত্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু এখনো তা পাশ হয়নি। কেন পাশ হয়নি! তা আমাদের জানা, কারণ পাশ হলে সামাজিক যে বৈষম্য রয়েছে তা ভেঙে যাবে। তথাকথিত ছোট জাতের লোকের জেগে উঠবে।’
ডা. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের অনেকেই নিজেকে ধার্মিক দাবি করে বসেন, আপনি নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন। কিন্তু ইসলাম ধর্মে আশরাফ ও আতরাফের কোনো জায়গা আছে? নবী করীম (সা.) হযরত বেলালকে বিশেষ সম্মান দিয়েছিলেন কিন্তু আপনি কেন বৈষম্য তৈরি করছেন! আপনি কীভাবে নিজেকে ধার্মিক দাবি করেন। আপনি আপনার পাশে থাকা হরিজন, পাহাড়িদের সঙ্গে বৈষম্য করছেন, তাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করছেন। তাহলে কীভাবে আপনি ধার্মিক? ধর্মের কোথাও বৈষম্যের কথা উল্লেখ নেই!’
তিনি আরও বলেন, ‘সিলেটে শিক্ষার্থীদের একটি আন্দোলনে জাফর ইকবাল গিয়ে কলাপস করলেন, পরে শিক্ষামন্ত্রী গেলেন, উনার (শিক্ষামন্ত্রী) সময় হয় না। এখনো তিনি পার্বতীপুরের অবস্থা জানেন কিনা জানি না। তবে, অন্যরা যখন বেহুশ হয়ে যাবে তখন শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশ হবে।’
রাষ্ট্রের কর্ণধারদের মানুষের আওয়াজ শুনার আহবান জানান এই চিকিৎসক।
পদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১৪ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
২২ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
২৪ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
৪৪ মিনিট আগে