এবার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ মে ২০২৩, ১২: ১৫
Thumbnail image

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের আটটি লোহার দানবাক্স খুলে এবার ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সাধারণত তিন মাস পরপর সিন্দুক খোলা হলেও এবার চার মাস পরে সিন্দুক খোলা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে দানবাক্স কমিটির আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে বাক্সগুলো খোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী ১৯ বস্তা টাকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষকেরা গণনাকাজ তত্ত্বাবধান করছেন। এদিকে মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন গণনাকাজ করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন।

এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২০ বস্তা টাকা। এতে টাকার পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলংকারও মিলেছিল। সে সময় তিন মাসে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছিল মসজিদের দানবাক্সগুলোতে। এবার চার মাস পর দানবাক্স বা সিন্দুকগুলো খোলা হলো।  

আজ সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স বা সিন্দুক খোলা হয়েছে। দান সিন্দুকগুলো খুলে ১৯ বস্তা টাকা আনা হয়েছে গণনার জন্য মসজিদের দোতলায়। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। 

মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি তিন মাস পরপর এই দানবাক্সগুলো খোলা হয়। তবে এবার চার মাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছে। প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে মসজিদ ও মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কবরস্থানের উন্নয়নকাজে ব্যয় করা হয়। জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায়ও সহায়তা করা হয়। পাশাপাশি দরিদ্র ছাত্রদের দেওয়া হয় আর্থিক সহায়তা। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও অর্থ দেওয়া হয়।

সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজের তিনতলা পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রথমে ১০ শতক জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে এর আয়তন আরও বাড়ানো হয়েছে। মসজিটি এখন আছে প্রায় চার একর জায়গাজুড়ে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ বিকেলের মধ্যে টাকা গণনার কাজ শেষ হবে। খরচ বাদে বাকি সব টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত