কঠোর নিরাপত্তায় চলছে রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচন, কেন্দ্রে ভোটারের দীর্ঘ সারি

সংঘাত-সহিংসতার কথা মাথায় রেখে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচন। ইভিএমে অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। বিশেষ করে নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। 

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। 

নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও লড়ছেন পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) ও সাবেক মেয়র আবুল বাশার (মোবাইল ফোন প্রতীক) এবং কাঞ্চন পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম (জগ প্রতীক)। বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা এই নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। 

নির্বাচন সংশ্লিষ্টজন জানিয়েছেন, নির্বাচনে সহিংসতার কথা মাথায় রেখে ১৯টি কেন্দ্রে মোট ১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হয়েছে। ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলেও ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ভুল করছেন অনেকেই। 

সকাল ৮টায় সরেজমিনে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সলিমউদ্দিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। ভোটারদের পাশাপাশি কেন্দ্রটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিও ব্যাপক। 

সকাল ১০টায় ৪৬ নম্বর কেন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কেন্দ্রে ভোটারদের ইভিএমে ভোট দিতে সময় লাগায় সহযোগিতা করছেন পোলিং অফিসাররা। 

তুষার আহমেদ নামে একজন ভোটার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইভিএম তো বুঝি না। আগের ব্যালটই ভালো। সহজে ভোট দেওয়া যায়।’ 

কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানকার মানুষ ইভিএমে অভ্যস্ত নয়, তাদের সহযোগিতা করছেন আমাদের পোলিং অফিসারেরা।’ 

নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন দুই প্রার্থী। এ ছাড়া ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও চারজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আছেন। পৌরসভার ১৯টি কেন্দ্রে ৪০ হাজার ৭৯৮ জন ভোটার নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। 

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। ইভিএমে ভোটারদের সহায়তা করছেন আমাদের পোলিং অফিসারেরা। এবারে ভোটার উপস্থিতি অনেক। স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিত বেশি হয়ে থাকে। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি প্রায় ৪৫০ জন পুলিশ, ৩ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন র‍্যাব ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতেই আমাদের বাড়তি সতর্কতা।’